তাহসান-আয়রার আনন্দের মুহূর্ত, ভার্চুয়ালি সঙ্গী মিথিলাও
সদ্য তাহসান কিছু ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মেয়ের সঙ্গে রূপচর্চায় ব্যস্ত তিনি।
মেয়ে আয়রাকে নিয়ে লকডাউনের আগে থেকেই বাংলাদেশে রয়েছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। বাংলাদেশে থাকলে বেশ কিছুটা সময় আয়রা তার বাবা অর্থাৎ তাহসান খানের সঙ্গেও সময় কাটায়। বিবাহ বিচ্ছেদের পরও মিথিলা এবং তাহসান নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। সে কারণেই আয়রার সঙ্গে মজার মুহূর্তের ছবি বা ভিডিয়ো তাহসান সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে, তাতে কমেন্ট করতে অসুবিধে হয় না মিথিলার।
সদ্য তাহসান কিছু ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মেয়ের সঙ্গে রূপচর্চায় ব্যস্ত তিনি। কখনও আয়রা এবং তাহসান মুখে ফেসমাস্ক লাগিয়ে রেখেছেন। কখনও বা বাবার নখ যত্ন করে কেটে শেপ করে দিচ্ছে আয়রা। তাহসান লিখেছেন, ‘স্পা ডে। একজন বাবা মাঝেমধ্যেই এটা চায়’। সেই পোস্টে মিথিলা মজা করে লিখেছেন, ‘আমি জানি না, তুমি প্রায়ই এই সুযোগ পাবে কি না, আমি তো পাব’।
View this post on Instagram
দিন কয়েক আগে একত্রে একটি পেশাদার কাজ করায় ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয় তাহসান-মিথিলাকে। মিথিলা সে সময় জানান, প্রাপ্তবয়স্ক দুজন মানুষ একসঙ্গে কাজ করতেই পারেন। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে মানে কখনও একসঙ্গে কাজ করা যাবে না, তা নয়। পাশাপাশি তিনি এবং তাহসান আয়রার বাবা, মা। তাই মেয়ের কথা ভেবেও তাঁরা নিজেদের সম্পর্ক তিক্ত করতে চান না। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলে তবেই আয়রাকে সুস্থ শৈশব দেওয়া যাবে বলে মনে করেন মিথিলা।
বাংলাদেশে থাকলে আয়রা কখনও মায়ের কাছে, কখনও বা বাবার কাছে থাকে। এ নিয়ে তাঁদের পরিবারে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে ট্রোলিংয়ের শিকার যাতে না হতে হয়, তার অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে এখন আর সকলের কমেন্ট করার অধিকার নেই। বাবা, মেয়ের আনন্দের মুহূর্তে মাও ভাগীদার হবেন, হোক তা ভার্চুয়াল, এটাই তো স্বাভাবিক।