সেপিয়া রঙের একটি ছবি। তাতে দেখা যাচ্ছে এক কিশোরীর নিষ্পাপ মুখ। চোখে ঢেকে যাচ্ছে চুলে। ছোট ছোট করে কাঁটা চাইনিক কাটল। দুই ভুরুর মাঝে আবছা টিপ। মাথায় আবার ঘোমটা— ছবিটি এই মুহূর্তে টলিপাড়ার সবচেয়ে বেশি চর্চিত, আলোচিত এক অভিনেত্রীর। তিনি কে? চিনতে পারছেন?
সূত্র ১: তিনি শুধু অভিনেত্রী নন, তাঁর এক রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে। তিনি বসিরহাটের সাংসদ
সূত্র ২: অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী তাঁর ভাল বন্ধু, ডাকেন বোনুয়া বলে
সূত্র ৩: সম্প্রতি তিনি মা হয়েছেন। তাঁর সন্তানের জন্ম সনদে বাবার পরিচয় হিসেবে লেখা রয়েছে যশ দাশগুপ্তর নাম।
এ বার নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন তিনি কে? হ্যাঁ, তিনি সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ছোটবেলার ছবি নিজেই শেয়ার করেছেন নুসরত। নুসরতের কোল জুড়েই এখন খেলে বেড়াচ্ছে এক একরত্তি। সে ঈশান, বয়স এক মাসও পার হয়নি তার। নুসরত জাহানের সন্তান সে।
নুসরতের সন্তানের পিতৃপরিচয় কী? শেষ কয়েক মাসে ঘুরে ফিরে আসছিল এই একটাই প্রশ্ন। জুন মাসের গোড়ার দিকে সামনে আসে অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহানের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় ফিসফিস, গুনগুন। এত কিছুর মধ্যেও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন নায়িকা। দিন কয়েক আগে TV9 বাংলার কাছে এসে পৌঁছয় এক্সক্লুসিভ তথ্য। ঈশানের জন্মের শংসাপত্রে বাবার নামের জায়গায় স্পষ্ট লেখা দেবাশিস দাশগুপ্ত । দেবাশিস ওরফে যশ দাশগুপ্ত।
গত ২৬ অগস্ট, মাদার টেরেসার জন্মদিনের দিনই, পার্ক-স্ট্রিটের একটি হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন নুসরত। নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সময় থেকে ডেলিভারি পর্ব– সারাক্ষণ অভিনেতা যশ তাঁর সঙ্গে ছিলেন। মা হওয়ার আগের দিন হাসপাতালে যশই তাঁকে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সন্তান জন্মানোর পর যশই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নুসরত ও সদ্যোজাত ভাল আছে। হাসপাতালে ছিলেন নুসরত ও যশের পরিবারের সদস্যরাও।
এ সবের মাঝে নুসরতকে অভিনন্দন জানাতে পিছপা হননি নুসরতের প্রাক্তন ‘সহবাস সঙ্গী’ নিখিল জৈন। নুসরতের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। মা এবং সন্তানকে তিনি দেখতে যাবেন না বলেছেন ঠিকই, কিন্তু নুসরতের সন্তানের মঙ্গল কামনা করেছেন নিখিল। নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জৈন জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন।
অন্য দিকে, নুসরত এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন।