AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dipankar Dey Exclusive: দোলনের মায়ের বয়সি দীপঙ্কর দে, কেমন সম্পর্ক শাশুড়ির সঙ্গে স্বামীর?

Exclusive Dipankar Dey: বয়স কেবলই নম্বর তাঁদের কাছে, বারবারই প্রমাণ করেছেন দীপঙ্কর-দোলন। মাঝরাতে অভিনেতার ব্লাড সুগারের মাত্রা কমে গেলেও, সম্পর্কে ‘চিনি কম’ নেই। বেশ মিষ্টি সেই রসায়ন। স্বামীকে সন্তানের মতো আগলে রাখেন দোলন। তাঁর বিপুল ব্যস্ততা থেকে কিছুটা সময় চুরি করে নিল TV9 বাংলা। শুটিং শেষে বাড়ি ফিরে, স্বামীকে বিশ্রামে পাঠিয়ে, অনেক রাতে মনের দু’টো কথা বললেন দোলন। যে কথা একলা ঘরে নিজের সঙ্গে বলেন অভিনেত্রী, সেই কথাগুলোই শুনে নিল TV9 বাংলা।

Dipankar Dey Exclusive: দোলনের মায়ের বয়সি দীপঙ্কর দে, কেমন সম্পর্ক শাশুড়ির সঙ্গে স্বামীর?
দোলন এবং দীপঙ্কর (বিয়ের দিল তোলা ছবি)...
| Updated on: Dec 06, 2023 | 3:45 PM
Share

বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সায়রাবানু-ই দোলন রায়ের কাছে ‘আদর্শ’। মনেপ্রাণে বাংলার সায়রা বানু হতে চান দোলন। প্রায় বাবার বয়সি স্বামীকে দিলীপ কুমারের আসনে বসিয়ে পুজো করেন নিত্য। স্বামী অমিতাভ বচ্চনের মতো কর্মঠ হয়ে কাজ করুন—সেই কামনাই করেন সারাক্ষণ দোলন। আবার অনেকের কাছে এই জুটি ঋষি গৌতম এবং অহল্যার মতো। দীপঙ্করের প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং তাঁর কনিষ্ঠ কন্যার চেয়েও এক বছরের ছোট দোলনকে তিনি ভালবেসেছিলেন বিদেশে একটি নাটকে পারফর্ম করতে দেখে। বয়স কেবলই নম্বর তাঁদের কাছে, বারবারই প্রমাণ করেছেন দীপঙ্কর-দোলন। মাঝরাতে অভিনেতার ব্লাড সুগারের মাত্রা কমে গেলেও, সম্পর্কে ‘চিনি কম’ নেই। বেশ মিষ্টি সেই রসায়ন। স্বামীকে সন্তানের মতো আগলে রাখেন দোলন। তাঁর বিপুল ব্যস্ততা থেকে কিছুটা সময় চুরি করে নিল TV9 বাংলা। শুটিং শেষে বাড়ি ফিরে, স্বামীকে বিশ্রামে পাঠিয়ে, অনেক রাতে মনের দু’টো কথা বললেন দোলন। যে কথা একলা ঘরে নিজের সঙ্গে বলেন অভিনেত্রী, সেই কথাগুলোই শুনে নিল TV9 বাংলা

দীপঙ্করের দেখভালে দোলন

এখন ৭৮ বছর বয়স অভিনেতা দীপঙ্কর দের। বিশেষ কোনও ডায়েটে থাকেন না তিনি। বাড়ির খাবারই দেওয়া হয় তাঁকে। নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয় প্রবীণ অভিনেতাকে। ডায়াবেটিসের পাশাপাশি প্রস্টেটের সমস্যাও আছে দীপঙ্করের। তবে রাতে নিজে-নিজেই টয়লেটে যেতে পারেন। দোলনকে উঠে নিয়ে যেতে হয় না। বলেন, “ওসবে অসুবিধা হয় না আমার স্বামীর। যদিও বয়সটা যেহেতু অনেকটাই হয়েছে, আমাকে টেনশনে থাকতে হয়। আউটডোরগুলোয় একেবারে একা ছাড়ি না। ইন্ডোরে (শহরের মধ্যে কিংবা স্টুডিয়োতে) হলে চাপ হয় না। আউটডোর হলেই আমি যাই সঙ্গে। কিন্তু আমিও তো সবসময় যেতে পারি না। আমাকেও মেগা সিরিয়ালের কাজ করতে হয়। শুটিং থাকে। এই তো মুম্বইয়ে কিছু বিজ্ঞাপনের কাজ ছিল দীপঙ্করের। আমি সঙ্গে যেতে পারিনি বলে ওঁর কাজগুলো করা হল না।”

দীপঙ্করের ফিটনেসের রহস্য কী?

এই বিষয়টি নিয়ে দিনরাত ভাবনাচিন্তা করতে থাকেন দোলন। নিয়মিত চেকআপ, ডায়েট নিয়ে খুঁতখুঁত… সবই চলতে থাকে দিনভর। কিন্তু স্বামীর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তিনি অতিমাত্রায় সতর্ক। ওপার থেকে স্বতঃস্ফূর্ত কণ্ঠ ভেসে আসে অভিনেত্রীর, “মানুষের মন ভাল থাকলেই, সব ভাল থাকে। দীপঙ্করের ক্ষেত্রেও সেটাই সত্যি। এই বয়সের মানুষদের ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়া, ওষুধপত্রের চেয়েও বেশি জরুরি মানসিক শান্তি। এটা দ্বিতীয় শৈশব (সেকেন্ড চাইল্ডহুড)। বাচ্চাদের যেমন খুশি রাখলে তারা সব সময় ভাল থাকে, এই বয়সে বয়স্করাও তেমনই। বায়না করেন। সেটাকে মানিয়ে নিতে হয়। বাড়ির কাজের লোকেদেরও বোঝাতে হয়।”

দীপঙ্করের বায়না

আশি ছুঁইছুঁই দীপঙ্করের বায়নার শেষ নেই। এখনই ‘আশিতে আসিও না’ বলছে তাঁর মন। যদিও দোলনের কড়া শাসনে নাজেহাল হয়ে মাথা নীচু করেন। স্বামীর ছেলেমানুষি নিয়ে বলতে গিয়ে হেসে ফেলেন দোলন, “খুবই বায়না করেন দীপঙ্কর। যেটা খাওয়া উচিত না, সেটাই খেতে হবে ওকে।” যতদিন যাচ্ছে মুখ ‘তেতো’ হচ্ছে দীপঙ্করের। রাখঢাকের বিচারবোধ লোপ পাচ্ছে। আফসোস করে অভিনেত্রী বলেন, “খুবই বেশি স্পষ্ট কথা বলেন। যেটা সাধারণ ক্ষেত্রে মানুষ বলে না, এই বয়সে চলে এলে অকপটেই তা বলে দিতে পারেন যে কোনও মানুষ। অপছন্দের মানুষের সঙ্গে দেখা হলে কিংবা বাড়িতে এলে সামনাসামনিই তিনি খারাপ লাগা প্রকাশ করে ফেলেন। তখন অপ্রস্তুতে পড়তে হয় আমাকে। এগুলো তো বাচ্চারাই করে। আমাকে অনেক বোঝাতে হয়। বলতে হয়, ‘তোমার এই কথাটা ওকে বলা উচিত হয়নি’। তখন শিশুর মতো নিষ্পাপ তাকিয়ে থাকেন আমার মুখের দিকে।”

দোলনের মায়ের প্রায় সমবয়সি দীপঙ্কর

দোলনের মা এবং তাঁর স্বামীর বয়স প্রায় এক। শাশুড়ি-জামাই প্রায় ভাই-বোনের বয়সি। এমন এক সম্পর্কের ভিত কেমন? বলতে গিয়ে দোলনের সামনে যেন ভেসে ওঠে দাঁড়িপাল্লা। তিনি বলেন, “আমার মা এবং আমার স্বামীর বয়সের ফারাক মেরেকেটে ৫-৬ বছর। বলাই বাহুল্য, মা-ই বয়সে বড়। জামাই-শাশুড়ির মধ্যে সম্পর্ক টক-ঝাল-মিষ্টি। শরীর খারাপ হলে মা খোঁজখবর নেন। উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। দীপঙ্করও শাশুড়িমায়ের শরীর ভাল না থাকলে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন। কিছুদিন আগেই ভাইয়ের ছেলের জন্মদিনে আমরা পুরিতে গিয়েছিলাম সকলে মিলে। দীপঙ্কর এবং আমার মা দু’জনেই গিয়েছিলেন সঙ্গে। সেই সময়ে মায়ের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন দীপঙ্কর।”

পরবর্তী অংশ আগামিকাল: প্রায় বাবার বয়সি দীপঙ্করের সঙ্গে সম্পর্ক মেনে নিতে চায়নি দোলনের পরিবার।

অনুলিখন: স্নেহা সেনগুপ্ত