AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ইউনিট প্রতি ৫০ জন কর্মী নিয়ে টলিপাড়ায় শুটিং শুরুর অনুমতি মুখ্যমন্ত্রীর, তবে মানতে হবে কড়া নিয়ম

প্রসঙ্গত রাজ্যে প্রথম পর্যায়ের বিধিনিষেধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ রাখা হয়েছিল টলিপাড়ার শুটিং। সে ক্ষেত্রে বাড়ি থেকেই শুট করে নতুন এপিসোড টেলিকাস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন প্রযোজক এবং চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। সেই মতোই চলছিল 'শুট ফ্রম হোম'।

ইউনিট প্রতি ৫০ জন কর্মী নিয়ে টলিপাড়ায় শুটিং শুরুর অনুমতি মুখ্যমন্ত্রীর, তবে মানতে হবে কড়া নিয়ম
প্রতীকী ছবি।
| Updated on: Jun 14, 2021 | 5:55 PM
Share

রাজ্যে বিধিনিষেধ বাড়ানো হল ১ জুলাই পর্যন্ত। গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও ছাড় মিলেছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলার অনুমতি পাশাপাশি ইউনিট প্রতি ৫০ জন কর্মী নিয়ে টলিপাড়ায় শুটিং শুরুর অনুমতিও দিল রাজ্য সরকার। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে শুটিং শুরুর অনুমতি মিললেও মানতে হবে কড়া নিয়ম। মাস্ক-স্যানিটাইজেশনে ব্যবহার তো রয়েছেই একইসঙ্গে টিকাপ্রাপ্ত কর্মীরাই শুটিংয়ে যোগ দিতে পারবে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও ফ্লোর স্যানিটাইজেন, সামাজিক দূরত্বের মতো বিধিনিষেধ যেমন আগে মানা হচ্ছিল তেমনটা বহাল থাকবে এ ক্ষেত্রেও।

প্রসঙ্গত রাজ্যে প্রথম পর্যায়ের বিধিনিষেধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ রাখা হয়েছিল টলিপাড়ার শুটিং। সে ক্ষেত্রে বাড়ি থেকেই শুট করে নতুন এপিসোড টেলিকাস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন প্রযোজক এবং চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। সেই মতোই চলছিল ‘শুট ফ্রম হোম’। যদিও এই ঘটনায় প্রযোজক এবং চ্যানেল কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল ফেডারেশন। ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের দাবি ছিল, বাড়িতে শুট করায় টেকনিশিয়ানদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-‘খুন এবং ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে’, গুরুতর অভিযোগ বাংলাদেশের নায়িকা পরীমনির, প্রকাশ্যে ভেঙে পড়লেন কান্নায়

তিনি অভিযোগ করেন, শুট ফ্রম হোমের নামে বাড়ির বাইরে পান্থনিবাস, অতিথিশালাতেও শুট হচ্ছে। যদিও ওই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে প্রযোজকদের সংগঠনের তরফে জানান হয়েছিল, বাড়ি থেকেই শুট করছেন তাঁরা। টেকনিশিয়ানদের বাদ দিয়ে কিছুই করছেন না তাঁরা। তাঁদের উপযুক্ত পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা দায়িত্বও নেবেন তাঁরা।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর বাইরে শুট করার অনুমতি দেওয়ার আগে সকালে ফেডারেশনে তরফে আবারও সেই বিতর্কিত ‘শুট ফ্রম হোম’কে কেন্দ্র করে এক প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়। বিভিন্ন চ্যানেলের কুড়িটি ধারাবাহিকের নাম উল্লেখ করে সেই বিবৃতিতে ‘মানুষ জানতে চায়’ এই মর্মে প্রযোজকদের উদ্দেশ্যে মোট নয়টি প্রশ্ন করেছে ফেডারেশন।

আরও পড়ুন:  SSR Case: কী কী ঘটল এক বছরে, কোথায় দাঁড়িয়ে মামলা, সুশান্তের মৃত্যুবার্ষিকীতে ফিরে দেখা ঘটনাপ্রবাহ

ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “ওই ধারাবাহিকগুলির শুটিংয়ে ঘরের আলোর অতিরিক্ত আলো ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ সিনে লাইটের ব্যবহার স্পষ্ট। আপনাদের দাবি অনুযায়ী এই শুটিংগুলি বাড়িতে হয়ে থাকলে পেশাদারী আলোর ব্যবস্থা কীভাবে করা হচ্ছে।” তাঁদের আরও প্রশ্ন, যে বাড়ি থেকে শুটিংয়ে ক্যামেরা এবং শব্দগ্রহণের গুণগত মান কিছু কিছু ক্ষেত্রে এতটা পেশাদার কীভাবে? বিবৃতিতে লেখা হয়, “বাড়ি থেকে শুটিংয়েও শিল্পীরা কীভাবে স্টুডিয়োতে শুটিং করা পর্বগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পোশাক ব্যবহার করলেন? এ ছাড়াও উইগ, গয়না, বডি প্রপস, তাঁদের কাছে কোথা থেকে এল?” এ ছাড়াও কলাকুশলীদের বকেয়া মাইনে প্রসঙ্গে ফেডারেশনের অভিযোগ, প্রযোজকরা কলাকুশলীদের বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও ফেডারেশনকে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কিছুই জানাননি। আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে ফেডারেশন যে যে প্রশ্ন করেছে তার লিখিত উত্তর চেয়ে পাঠিয়েছে প্রোডিউসারস গিল্ডের কাছে। উত্তর না পেলে ‘উপযুক্ত পদক্ষেপ’ গ্রহণের বার্তাও দিয়েছে ফেডারেশন।

প্রোডিউসারস গিল্ড কি উত্তর দেবে? এ প্রসঙ্গে টিভিনাইন বাংলার তরফে প্রযোজক সানি ঘোষ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে শুট সুষ্ঠুভাবে চালানোই আমাদের লক্ষ। তাই প্রোডিউসারস গিল্ড ওই বিবৃতির ব্যাপারে আর কিছু বলতে একেবারেই আগ্রহী নয়। টেকনিশিয়ানদের ইতিমধ্যেই টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শৈবালদা (শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়) এবং স্নেহাশিষ (চক্রবর্তী) দার হাউজে ইতিমধ্যেই সেই কাজ হয়ে গিয়েছে। আমাদের আগামিকাল হবে।”