Dipankar-Dolon Durga Puja: দোলনকে জুলাই মাসেই পুজোর উপহার দিয়ে দিয়েছেন দীপঙ্কর; তাঁর জন্য অভিনেত্রীর কেনাই হয়নি কিছু
Durga Puja 2023: সম্প্রতি একটি ছবির প্রিমিয়ারে জুটিতে এসেছিলেন দোলন-দীপঙ্কর। শারীরিক কারণে সব জায়গায় যান না দীপঙ্কর। তাই স্বামীকে আগলে তাঁর পাশেই বসেছিলেন দোলন। পুজোর মধ্যে তাঁদের দেখা পেয়ে খোশ গল্প করল TV9 বাংলা। চুপিসারে জেনে নিল তাঁদের পুজোর প্ল্যান।
স্নেহা সেনগুপ্ত
২০২০ সালে করোনার মধ্যেই বিয়ে করেছিলেন টলিউডের প্রবীণ অভিনেতা দীপঙ্কর দে এবং অভিনেত্রী দোলন রায়। তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক অনেকগুলো বছরের। একটি অ্যাপার্টমেন্টে একসঙ্গেই থাকতেন। সইসাবুদ করে বিয়ে করেন তিন বছর আগে। সম্প্রতি একটি ছবির প্রিমিয়ারে জুটিতে এসেছিলেন দোলন-দীপঙ্কর। শারীরিক কারণে সব জায়গায় যান না দীপঙ্কর। তাই স্বামীকে আগলে তাঁর পাশেই বসেছিলেন দোলন। পুজোর মধ্যে তাঁদের দেখা পেয়ে খোশ গল্প করল TV9 বাংলা। চুপিসারে জেনে নিল তাঁদের পুজোর প্ল্যান।
প্রশ্ন: এবার পুজোয় কী করবেন আপনি?
দীপঙ্কর: বাড়িতেই থাকব। কোত্থাও যাব না। আমি খুব একটি ভিড়ভাট্টা পছন্দ করি না।
প্রশ্ন: স্ত্রী (দোলন রায়) আপনাকে রেঁধে বেড়ে খাওয়াবেন?
দীপঙ্কর: প্রতিবছরই খাওয়ায় তো। এবারও তাই করবে।
প্রশ্ন: কী-কী রান্নার ফরমায়েশ করবেন?
দীপঙ্কর: ও সব তো অনেক কিছু। এখনও কিছুই বলতে পারছি যাচ্ছে না। দোলন: সত্যিই কিছু ভেবে উঠতে পারিনি। আমাদের তো সিরিয়ালে পুজোর ব্যাঙ্কিংয়ের চাপ চলছে খুব। সারাক্ষণই স্টুডিয়োতে আছি আমরা। আজ যে ছবিটা দেখতে আসতে পারব, সেটাই ভাবতে পারিনি।
প্রশ্ন: পুজোয় কী দিলেন স্ত্রীকে?
দীপঙ্কর: (হাসি) অনেক আগেই দিয়ে দিয়েছি একটা উপহার। দোলন: (হাসি) … হ্যাঁ সত্যি, অনেক আগেই পেয়ে গিয়েছি জানেন। সেই জুলাই মাসেই। শাড়ি কিনে দিয়েছে একটা। যে সে শাড়ি না।
প্রশ্ন: তাই। যেমন?
দোলন: ওর (দীপঙ্কর দে) জন্মদিনে আমরা মুম্বইয়ে গিয়েছিলাম। ওখানে আমার একটি প্রিয় দোকান আছে। আগে থেকেই ফিক্স করে বলে রেখেছিলাম যে, পুজোতে সেখান থেকে একটা শাড়ি কিনব।
প্রশ্ন: দীপঙ্করকে আপনি কী দিলেন?
দোলন: প্রত্যেকবারই তো কিছু ‘নেব না, কিছু নেব না’ বলে। বলে আলমারিতে এত নতুন জামা আছে। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা। পঞ্জাবী কিনে দেব একটা। এখনও কিনে উঠতে পারিনি। সময় পাচ্ছি না। কখন কিনব বলুন তো? সকালে স্টুডিয়োতে বেরিয়ে যাই।
উল্লেখ্য, চলতি বছরটা দীপঙ্করের জন্য খুব একটা সুখের নয়। অগস্টের শেষে আচমকাই মৃত্যু ঘটে তাঁর কন্যা বৈশালী কুরিয়াকোসের। কিডনি এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যায় তিনি ভুগছিলেন অনেকদিন থেকেই। তিনবার হার্ট অ্যাটাকে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২ বছর। কন্যার মৃত্যু সংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন দীপঙ্কর। কন্যাহারা অভিনেতাকে তখন আগলে রেখেছিলেন দোলনই।