কাল থেকে বন্ধ ধারাবাহিকের শুটিং? কী জানাচ্ছেন পরিচালক-প্রযোজকরা 

এমতাবস্থায় টলিপাড়ার শুটিংয়ের কী হবে? তা কি বন্ধ থাকবে? নাকি বেছে নেওয়া হবে অন্য কোনও বিকল্প পন্থা?

কাল থেকে বন্ধ ধারাবাহিকের শুটিং? কী জানাচ্ছেন পরিচালক-প্রযোজকরা 
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Updated on: May 15, 2021 | 3:43 PM

করোনা মোকাবিলায় আগামী ১৬ মে অর্থাৎ আগামীকাল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে নবান্ন। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত দফতর ছাড়া, সমস্ত সরকারি, বেসরকারি অফিস বন্ধ। বন্ধ যান চলাচল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। এমতাবস্থায় টলিপাড়ার শুটিংয়ের কী হবে? তা কি বন্ধ থাকবে? নাকি বেছে নেওয়া হবে অন্য কোনও বিকল্প পন্থা? যদি শুটিং বন্ধ রাখা হয় সেক্ষেত্রে ধারাবাহিকগুলির কাছে ঠিক কতটা পরিমাণ এপিসোড ব্যাঙ্কিং করা রয়েছে?

টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করেছিল টলিপাড়ার প্রযোজক-পরিচালকদের সঙ্গে। যোগাযোগ করা হয় আর্টিস্ট ফোরাম এবং ফেডারেশনের সঙ্গেও। কী বললেন তাঁরা?

লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজক): এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক চলছে আমার । জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব বন্ধ। তাই শুটিং চলার তো কোনও প্রশ্ন ওঠে না। একটাই এখন মুখ্য ব্যাপার কতদিনের ব্যাঙ্কিং আছে তা দেখা। এরপরেই একটা মিটিংয়ে সবার সঙ্গে বসা হবে বলে আশা করছি।

স্বরূপ বিশ্বাস (সভাপতি, ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান): এখনও অবধি আগামী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মিটিংয়ে বসব। সবটাই আলোচনাসাপেক্ষ। এত তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারিনি।

শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় (যুগ্ম সম্পাদক, আর্টিস্ট ফোরাম): কাল থেকে সমস্ত যান চলাচল বন্ধ। কেউ আসতেও পারবেন না। সেক্ষেত্রে শুটিং বন্ধ রাখতে হবে। এখানে আর্টিস্ট ফোরামের তো কিছু বলার নেই। সরকার থেকে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাই মেনে চলা হবে। 

স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার (পরিচালক): আজকের দিনটা যদি একটু বেশি করে শুটিং করে রাখার চেষ্টা করছি। আপাতত মঙ্গল-বুধবার অবধি ব্যাঙ্কিং আছে আমাদের ধারাবাহিকের (এই পথ যদি না শেষ হয়)। আর ব্যাঙ্কিং নেই। অফিসিয়ালি কোনও মেল আসেনি কিন্তু যেহেতু কাল থেকে লকডাউন তাই শুটিং হবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। খুব কম ধারাবাহিক আছে যাদের দিন পনেরোর ব্যাঙ্কিং রয়েছে।

সুশান্ত দাস (প্রযোজক): আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত অফিসিয়ালি কোনও গাইডলাইন আসেনি। সন্ধের আগে এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।

অমিত দাস (পরিচালক) : আপাতত এক সপ্তাহের ব্যাঙ্কিং রয়েছে আমাদের ধারাবাহিকের (কড়ি খেলা)। ডাবল শিফটে কাজ হয়েছে।

তবে সূত্র বলছে, লকডাউনের আশঙ্কা করেই নাকি এক চ্যানেলের তরফে বেশ কিছু দিন আগেই মেল গিয়েছিল প্রযোজক-পরিচালকদের কাছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিনেত্রীর কথায়, ” ভোটের আগে আমাদের দিনে ১২/১৪ ঘণ্টা করেও কাজ করতে হয়েছে। সবাই ধরেই নিয়েছিল লকডাউন হবে। কিন্তু লকডাউন বৃদ্ধি পেলে সেক্ষেত্রে পুরনো এপিসোড চালানো হবে না বাড়ি থেকে শুট হবে আগের বারের মতো তা এখনও কিছুই জানতে পারিনি।”