গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সানগ্লাস পরা এক ছবি পোস্ট করেছিলেন। মুখ খানিক উপরে তোলা। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি আগুনের মধ্যে দিয়ে কতটা ভাল হাঁটছেন’। একের পর এক ইঙ্গিতবাহী পোস্টে ভড়ছে যশের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। না তিনি এ বিষয়ে মুখে কিছু বলছেন না যশ। আজ সাদা-কালো ছবি পোস্ট করে তার ক্যাপশনে লিখলেন—‘পরিবারে আমি সম্ভবত কালো ভেড়া কিন্তু কিছু ভেড়া যতটা সাদা দেখায় ততটাও সাদা তারা নয়…’। শুধু তা-ই নয় নিজের অনস্টা রিলে একটি ছবিও পোস্ট করেছেন তাতে লেখা—‘আমি তাঁরই প্রতি অনুগত, যে আমার অনুগত’।
শুধু যশ নন তাঁর ‘বিশেষ বন্ধু’ নুসরত শুটিংয়ে ব্যস্ত। কিন্তু তিনিও একের পর এক ইঙ্গিতবাহী পোস্ট দিয়ে চলেছেন। আজ সকালে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করছেন ইনস্টা রিলে। ফিল্টার ছাড়া নিদের ভিডিয়ো পোস্ট করছেন।
তবে সে সবের মাঝে যে ছবিতে চোখ যায় তা হল—তাঁর ফ্যান পেজ থেকে পোস্ট করা এক ভিডিয়ো। নিজের রিলে শেয়ার করলেন সাংসদ-অভিনেত্রী। এবং সে পোস্ট ঘিরে শুরু হল এক নতুন জল্পনা। ভিডিয়োতে লেখা রয়েছে কিছু কথা। ‘যখন তোমাকে ভালবাসতে শুরু করলাম, বুঝতে পারি আমি কোনওদিনও কাউকে এতটা ভালবাসিনি।’। তবে কাকে এ ভালবাসার কথা জানাচ্ছেন নুসরত রুহি জাহান। না, সে ব্যাপারে কোনও কিছুই স্পষ্ট করে বলেননি অভিনেত্রী।
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
আরও পড়ুন ভ্যাকসিন প্রচারের হোর্ডিংয়ে মোদীর পাশে অভিনেত্রী দীপান্বিতা নাথ! অভিযোগ, “অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল”