AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

নায়ককে শরীর দিলেই সম্পর্ক টিকবে! এক নম্বর নায়িকাকে নির্দেশ দিলেন নামকরা পরিচালক

সিনেমার পর্দায় ১৯৬০ সালে এমনটা ঘটলেও, বাস্তবে কিন্তু অন্য ঘটনাই ঘটে। বাস্তবে দিলীপ নয়, বরং বাবার ভয়ে দিলীপের প্রেম অস্বীকার করেন মধুবালা। কিন্তু দিলীপ দমে যাননি। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই চিৎকার করে বলেছিলেন, মধুবালা আমি তোমায় ভালোবাসি!

নায়ককে শরীর দিলেই সম্পর্ক টিকবে! এক নম্বর নায়িকাকে নির্দেশ দিলেন নামকরা পরিচালক
| Updated on: May 23, 2025 | 2:28 PM
Share

সিনেপর্দায় সেই ঐতিহাসিক প্রেমের গান। শিশমহলের কোণায় কোণায় আনারকালি ওরফে মধুবালার সৌন্দর্যের ছটা। আর বার বার উচ্চারিত হচ্ছে, সেই ঐতিহাসিক প্রেমের স্লোগান। পেয়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া… পেয়ার কিয়া কোয়ি চোরি নেহি কি… মুঘল-এ-আজম ছবিতে নিজের প্রেমের ডঙ্কা বাজিয়ে ছিলেন মধুবালা। উলটে বাবার ভয়ে চুপ করে ছিলেন দিলীপ কুমার। সিনেমার পর্দায় ১৯৬০ সালে এমনটা ঘটলেও, বাস্তবে কিন্তু অন্য ঘটনাই ঘটে। বাস্তবে দিলীপ নয়, বরং বাবার ভয়ে দিলীপের প্রেম অস্বীকার করেন মধুবালা। কিন্তু দিলীপ দমে যাননি। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই চিৎকার করে বলেছিলেন, মধুবালা আমি তোমায় ভালোবাসি! এই খবর বলিউডে রটে গেলেও, এই গল্পের আরেকটি দিকও রয়েছে। যেখানে দিলীপ কুমারের প্রতি প্রেম থাকলে, দিলীপ কুমারের প্রেমিক মেজাজের কারণে মধুবালা একটু ভয়ই পেতেন। তাঁর শুধুই মনে হত, দিলীপ বুঝিয়ে এই সম্পর্কে একেবারে সিরিয়াস নন।

সেই সময় মুঘল-এ-আজম ছবির শুটিং করছিলেন মধুবালা ও দিলীপ কুমার। ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে তখন তাঁদের প্রেমকাব্য সুপারহিট। ঠিক সেই সময়ই মধুবালার মনে নাকি জন্ম নিয়েছিল এক নতুন ভয়। দিলীপ কুমারকে হারানোর। এক বিনোদন মূলত পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মধুবালা নাকি এই ভয়ের কথা পরিচালক কে আশিফকে জানান। তখনই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন, মুঘল-এ-আজম ছবির পরিচালক কে আশিফ।

ব্যাপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। কে আশিফ তখন নিজের ছবির বক্স অফিসের ফলাফল নিয়েই নানা ছক কষে যাচ্ছেন। ফিল্মবোদ্ধারা মনে করেন, মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেমের গল্পে বারুদ দিতেন খোদ পরিচালক কে আশিফও। নিজের ছবিকে সুপারহিট করাতেই নিজেই অনেক সময় মাঠে নেমে পড়তেন। আর সেই কারণেই মধুবালাকে এক অদ্ভুত নির্দেশ দিয়েছিলেন কে আশিফ।

মধুবালা যখন দিলীপ কুমারের সঙ্গে সম্পর্ক টিকে থাকবে কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায়। ঠিক তখনই কে আশিফ, মধুবালাকে বললেন, এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে দিলীপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াও। দিলীপের সঙ্গে একাত্ম হয়। শারীরিক সম্পর্ক না করলে, দিলীপকে বেশিদিন নিজের করে রাখতে পারবে না! কে আশিফের মুখে এমন কথা শুনে কেঁপে উঠেছিলেন মধুবালা। পরে এই বিষয়টি দিলীপকে জানালে, দিলীপ নাকি কে আশিফকে খুব অপমান করেছিলেন। পরে অবশ্য পরিচালক ক্ষমাও চান মধুবালার কাছে।