নগ্ন হয়ে মহেশ ভাটের পিছনে ছুটছেন পারভিন ববি, গোটা মুম্বই দেখল সেই দৃশ্য, কী ঘটেছিল সেদিন?
কারও কারও জীবনের গল্প সিনেমার চিত্রনাট্যকে হার মানাতে পারে। কারও কারও জীবনে এমন ঝড় ওঠে যা কিনা থামাতে গিয়ে পুরো জীবনই ছাড়খার হয়ে যায়। তেমনই এক জীবন ছিল বলিউডের অন্যতম ট্যালেন্টেড ও সুন্দরী নায়িকা পারভিন ববি।

কারও কারও জীবনের গল্প সিনেমার চিত্রনাট্যকে হার মানাতে পারে। কারও কারও জীবনে এমন ঝড় ওঠে যা কিনা থামাতে গিয়ে পুরো জীবনই ছাড়খার হয়ে যায়। তেমনই এক জীবন ছিল বলিউডের অন্যতম ট্যালেন্টেড ও সুন্দরী নায়িকা পারভিন ববি। সেই সময়কার সব নায়িকাদের হেসেখেলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তেন পারভিন। তা স্টাইলে হোক বা অভিনয়ে, পারভিন হয়ে উঠেছিলেন পরিচালকদের চোখের মণি। কিন্তু সেই পারভিনই, এক পরিচালককে প্রাণপণ ভালোবেসে, নিজের জীবনকে যেন উৎসর্গ করলেন। আর পরিবর্তে পেলেন ‘পাগল’ সম্বোধন। হ্যাঁ, অবসাদে ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। কিন্তু সবাই পারভিনের বাইরেটা দেখল, মনের ভিতর যে তাঁর তোলপাড়, তা চোখেই পড়ল না কারও। শেষমেশ করুণ পরিণতি। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল পারভিনের পচা-গলা দেহ! তা কীসের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন সুন্দরী পারভিন?
সময়টা সাতের দশকের শুরু আটের দশকের মাঝামাঝি। বলিউডে তখন একটাই গুঞ্জন। পারভিন ববি নাকি একই সঙ্গে তিনজন পুরুষকে মন দিয়েছেন। কবীর বেদি, ড্যানি এবং পরিচালক মহেশ ভাট। তবে প্রথম দুই পুরুষ শুধুই ছিলেন গুঞ্জনে। পারভিন আসলে ভালোবেসেছিলেন মহেশকেই। সে প্রেম তো এখনও বলিউডের ইতিহাসে উজ্জ্বল।
মহেশ তখন বিবাহিত। প্রথম স্ত্রী কিরণ ভাটের সঙ্গে সংসার। কন্য়া পূজা ভাট তখন খুবই ছোটো। হঠাৎই শোন গেল, পারভিনের প্রেমে পাগল হয়ে সংসার ত্যাগ করছেন মহেশ। যেমন শোনা, তেমনই ঘটনা। সেই সময় ফিল্মি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল মুম্বইয়ের পালি হিল এলাকায় একটি অ্য়াপার্টমেন্টে পারভিন ও মহেশ লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। প্রথম প্রথম ভালোই চলছিল তাঁদের সহবাস। কিন্তু হঠাৎই তাল কাটল।
শোনা যায়, ওই সময় অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল পারভিনের। রটেছিল পারভিন নাকি অমিতাভের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। গুঞ্জনে ছিল, অমিতাভকে নিয়ে মহেশ ও পারভিনের মধ্যে মারাত্মক ঝামেলা শুরু হয়। সেই ঝামেলা এতটাই বেড়ে যায় যে, মহেশ, পারভিনের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। বেরিয়ে আসেন পারভিনের সেই ফ্ল্যাট থেকে। মহেশ ভাট এক সাক্ষাৎকারে জানিয়ে ছিলেন, যেদিন পারভিনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছি, আমাকে আটকানোর জন্য পারভিন নানাকাণ্ড করেছিল। বাড়ির গেটের বাইরে বের হতেই, হঠাৎ দেখি আমাকে আটকাতে নগ্ন হয়েই রাস্তায় দৌঁড়তে শুরু করেছে পারভিন। মাঝে মধ্যেই এমন পাগলামো করত।
এই সাক্ষাৎকারেই মহেশ বলেছিলেন, মানসিক দিক থেকে সুস্থ ছিলেন না পারভিন। পারভিনকে ঘিরে ধরেছিল অবসাদ। স্ক্রিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন পারভিন। এমন এক অনবদ্য অভিনেত্রীর এমন পরিণতিতে আজও হতবাক বলিউড।





