‘তুমি অভিনেত্রী হলে ছবি বানানোই ছেড়ে দেব!’ সুচিত্রা সেনকে শুটিং ফ্লোরে চরম অপমান পরিচালকের, এরপরের ঘটনা মস্ত বড় ইতিহাস
বরাবরই জেদি স্বভাবের সুচিত্রা, প্রথম থেকে ঠিক করে ফেলেছিলেন, শুধু নায়িকা নয়, একনম্বর হয়ে উঠতে হবে তাঁকে। সুচিত্রার সেই জেদ পূরণ তো হল, শুধু একনম্বরই নয়, মহানায়িকা হয়ে উঠলেন তিনি।

স্বামী দিবানাথ সেনের ইচ্ছাতেই সিনেমার জগতে পা দিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। তবে সেই সিনেমার জগতই যে তাঁর প্রাণের জগত হয়ে উঠবে তা আগে থেকে আন্দাজও করতে পারেননি তিনি। কিন্তু বরাবরই জেদি স্বভাবের সুচিত্রা, প্রথম থেকে ঠিক করে ফেলেছিলেন, শুধু নায়িকা নয়, একনম্বর হয়ে উঠতে হবে তাঁকে। সুচিত্রার সেই জেদ পূরণ তো হল, শুধু একনম্বরই নয়, মহানায়িকা হয়ে উঠলেন তিনি। কিন্তু জানেন, জীবনের প্রথম দিকের এক ছবিতে ঠিকঠাক সংলাপ বলতে না পারায়, সুচিত্রাকে মারাত্মক অপমান করেছিলেন ছবির পরিচালক নীরেন লাহিড়ী!
কাজরী ছবির জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন পরিচালক নীরেন লাহিড়ী। ঠিক সেই সময়ই সুচিত্রাকে সঙ্গে নিয়ে নীরেন লাহিড়ীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, তাঁর স্বামী দিবানাথ। প্রথম দেখাতেই সুচিত্রাকে পছন্দ হয়ে যায় নীরেন লাহিড়ীর। তবে কাজরী ছবিতে নায়িকা নয়, সহনায়িকার চরিত্র পেলেন সুচিত্রা। নায়িকা হলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্য়ায়। এই ছবির প্রথম দিনের শুটিংয়েই বাঁধল গণ্ডগোল। সংলাপ বলতে গিয়েব বার বার আটকে যাচ্ছিলেন সুচিত্রা। তারপরই ঘটে সেই ঘটনা। যা সেই সময় ইন্ডাস্ট্রিতে কাঁপিয়ে দিয়েছিল।
ক্য়ামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বার বার সংলাপ ভুলছিলেন সুচিত্রা। প্রথমদিকে তা দেখে কিচ্ছুটি না বললেও, একই দৃশ্য ৪ বার টেক হওয়ারই মাথা গরম করে ফেললেন পরিচালক নীরেন। হঠাৎ করেই শুটিংয়ের মাঝে সুচিত্রার উপর চিৎকার। সুচিত্রাকে বলে উঠলেন, তুমি অভিনেত্রী হলে ছবি বানানোই ছেড়ে দেব! ব্য়স,পরিচালকের মুখে এমন কথা শুনে সেদিন মারাত্মক দুঃখ পেয়েছিলেন সুচিত্রা। একটি মিনিটও আর শুটিং ফ্লোরে দাঁড়াননি তিনি। সোজা তাঁর বাড়ি। স্বামী দিবানাথ বাড়ি ফিরতেই, মহানায়িকা বলে উঠলেন, নীরেনবাবুকে ফোন করে বলে দাও, ‘আমি আর শুটিংয়ে যাব না! আর হ্যাঁ, শুধু নায়িকা নয়, আমি বাংলা ছবির এক নম্বর নায়িকা হয়ে দেখাব। এটাও নীরেনবাবুকে বলে দিও।’ কঠোর পরিশ্রম ও জেদের কারণে সুচিত্রা যে নিজেকে সত্যিই এক নম্বর করে তুলেছিলেন, সে ইতিহাস সবার জানা। আর তাঁর অভিনয়ের প্রতি প্রেমই তাঁকে করে তুলেছিল মহানায়িকা।





