গেট আউট! সুখেন দাসকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন! কারণটা জানলে চমকে যাবেন
সুখেন দাসের ছবি মানেই দুরন্ত চিত্রনাট্য, দারুণ গান, পুরো হিটের প্যাকেজ। তবে জানেন কি সেই সুখেন দাসকেই শুনতে হয়েছিল গেট আউট! তাও আবার সুচিত্রা সেনের মুখে। ঠিক যে সময় ধীরে ধীরে নিজেকে অন্তরালে নিয়ে যাচ্ছিলেন সুচিত্রা, ঠিক সেই সময়ই সুখেন দাসের সঙ্গে এমনটা ঘটে, যা কিনা আগে থেকে আন্দাজও করতে পারেননি সুখেন দাস।

অভিনয়, পরিচালকের আগে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির স্পটবয় ছিলেন তিনি। তারপর কালক্রমে হয়ে ওঠেন বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় পরিচালক ও অভিনেতা সুখেন দাস। সুখেন দাসের ছবি মানেই দুরন্ত চিত্রনাট্য, দারুণ গান, পুরো হিটের প্যাকেজ। তবে জানেন কি সেই সুখেন দাসকেই শুনতে হয়েছিল গেট আউট! তাও আবার সুচিত্রা সেনের মুখে। ঠিক যে সময় ধীরে ধীরে নিজেকে অন্তরালে নিয়ে যাচ্ছিলেন সুচিত্রা, ঠিক সেই সময়ই সুখেন দাসের সঙ্গে এমনটা ঘটে, যা কিনা আগে থেকে আন্দাজও করতে পারেননি সুখেন দাস।
টলিউডে মহানায়িকার যে দাপট ছিল, তা একেবারেই অজানা ছিল না সুখেনের। তাই সুচিত্রার সঙ্গে প্রথম দিকে একটু দূরত্বই বজায় রাখতেন তিনি। তবে ১৯৫৪ সালে দেবকি কুমার বসু পরিচালিত ‘ভালবাসা’ ছবির শুটিংয়ে সেই সুচিত্রার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ল স্পটবয় সুখের দাসের। সুখেনকে ভাই বলেই সম্বোধন করতেন সুচিত্রা। আর সুখেন ডাকতেন দিদি বলে। সুখেনকে স্নেহও করতেন সুচিত্রা। যখনই শুটিং ফ্লোরে পা রাখতেন, তখনই সুচিত্রা খোঁজ দিতেন তাঁর। সেই স্পটবয় সুখেন যে পরে পরিচালক ও অভিনেতা হয়ে উঠেছিলেন, সে খবরও ছিল সুচিত্রার কাছে। আর সেই থেকেই বিপাকের সূত্রপাত।
ব্য়াপারটা কী ঘটেছিল?
মহানায়িকাকে মাথায় রেখে নতুন এক চিত্রনাট্য লিখে ফেলেছিলেন সুখেন দাস। ততদিনে সুখেনের হাতে বেশ কয়েকটি বক্স অফিস হিট ছবি। যেহেতু সুচিত্রা তাঁকে স্নেহ করতেন, সেই সাহসেই চিত্রনাট্য নিয়ে সুচিত্রার বাড়িতে পা রাখলেন সুখেন। সেদিন সুখেনকে বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখেছিলেন সুচিত্রা। কেননা, সুচিত্রা ব্যস্ত ছিলেন ঠাকুর ঘরে। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর পুজো সেরে, হালকা নীল রঙের শাড়ি পরে সুখেনের সামনে এসে দাঁড়ালেন মহানায়িকা। সুচিত্রা দেখে সুখেনের মনে হল, যেন তাঁর লেখা চরিত্রটিই সামনে দাঁড়িয়ে। কিন্তু যখনই সুখেনের মুখে নতুন ছবির কথা শুনলেন ম্যাডাম সেন। তখনই রুদ্রমূর্তি! সুখেনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এই ছবি তিনি করবেন না!
সুখেন দাস জোর করতেই গেলেই, আরও রেগে গেলেন মহানায়িকা, তারপরই চিৎকার…! বাড়ির দরজা দেখিয়ে, সুখেনকে মহানায়িকা বললেন, ‘তোমার সাহস কী করে হল? যাও এখনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও। কোনও দিন এ বাড়িতে পা রাখবে না!’ ‘দিদি’ সুচিত্রার কাছ থেকে এমন ব্যবহার পাবেন, তা কখনও ভাবতেই পারেননি সুখেন দাস। সেদিন কাঁদতে কাঁদতেই মহানায়িকার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। এরপর আর কোনওদিন ওমুখো হননি সুখেন দাস।
