উত্তমের পা ধরে ক্ষমা চেয়েছিলেন অমিতাভ, জানেন কী ঘটেছিল?
তবে এই ঘটনার বহু বছর পর আরেকটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন উত্তম। বিপরীতে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। ছবির না দেশপ্রেমী। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮২ সালে। অর্থাৎ উত্তমের মৃত্যুর দুবছর পর। জানা যায়, এই ছবির পুরো শুটিংও করে যেতে পারেননি মহানায়ক। কিন্তু এই ছবির শুটিং ফ্লোরেই এমন কাণ্ড ঘটেছিল, যার কারণে উত্তমের পা ধরে ক্ষমা চেয়েছিলেন অমিতাভ!

বলিউডে সেভাবে সফল হননি মহানায়ক উত্তম কুমার। অনেক সাধ করে ছোটি সি মুলাকত বানিয়েছিলেন। কিন্তু বক্স অফসে মুখ থুবরে পড়েছিলে উত্তমের প্রথম হিন্দি ছবি। তবে এই ঘটনার বহু বছর পর আরেকটি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন উত্তম। বিপরীতে ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। ছবির না দেশপ্রেমী। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮২ সালে। অর্থাৎ উত্তমের মৃত্যুর দুবছর পর। জানা যায়, এই ছবির পুরো শুটিংও করে যেতে পারেননি মহানায়ক। কিন্তু এই ছবির শুটিং ফ্লোরেই এমন কাণ্ড ঘটেছিল, যার কারণে উত্তমের পা ধরে ক্ষমা চেয়েছিলেন অমিতাভ!
কী ঘটেছিল?
সময়টা সাতের দশকের শেষের দিক। মুম্বইতে দেশপ্রেমী ছবির মহরতে হাজির উত্তম। সঙ্গে তাঁর পুত্র গৌতম চট্টোপাধ্যায়। সেই মহরতেই উত্তমের সঙ্গে প্রথম দেখা অমিতাভের। মহরতে আলাপের পর উত্তমের সঙ্গে নানা আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন বিগ বি। মহানায়ককে স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন, তিনি উত্তমের কত বড় ফ্য়ান। কিন্তু শুটিং শুরু হতেই বাঁধল গোল।
এক বিনোদনমূলক ম্য়াগাজিনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশপ্রমী ছবির প্রথম দিনের শুটিংয়ে সঠিক সময়েই পৌঁছেছিলেন উত্তম। কিন্তু অমিতাভ এলেন প্রায় দুঘণ্টা পরে। অমিতাভ এমনটা করায়, বেশ বিরক্তই হয়েছিলেন উত্তম। কিন্তু তা ব্যক্ত করেননি। তবে ধৈর্যর বাঁধ ভাঙল শুটিংয়ের সময়। ক্যামেরা চালু হতেই বার বার সংলাপ বলতে ভুল করলেন অমিতাভ। রিটেকের পর রিটেক। অমিতাভের এমন কাণ্ডে রেগেমেগে ফ্লোর ছেড়ে মেকআপ রুমে চলে গেলেন উত্তম। ব্যস আর কি! নিজের ভুল বুঝতে পেরে, উত্তমের মেকআপ রুমে গিয়ে ঢুকলেন অমিতাভ। জানা যায়, সেদিন উত্তমের পা ধরে ক্ষমা চেয়েছিলেন অমিতাভ। মহানায়ককে বলেছিলেন, আপনার মতো এত বড় অভিনেতা হতে পারব না। তাই আপনি সামনে থাকায় নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। অমিতাভের মুখে এমন কথা শোনায়, সব বিরক্তি ঝেরে ফেলে অমিতাভকে বুকে আগলে ধরেছিলেন উত্তম।
