বাবার মুখাগ্নি করে মঞ্চে উঠে গান ধরলেন কুমার, এক বুক যন্ত্রণা নিয়েই সেদিন…
এই কঠিন সত্য সম্পর্কে আরও একবার পরিচয় করিয়ে দিলেন গায়ক কুমার শানু। বলিউড, টলিউড সবর্ত্রই তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ৯০-এর দশকে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মুখে-মুখে লেগে থাকত যাঁর গান।

‘দ্য শো মাস্ট গো অন’ কথাটা সকলেরই জানা। কিন্তু তার বাস্তব ছবিটা মোটেও ততটা সহজ নয়। আর এই কঠিন সত্যিটার সঙ্গে হয়তো কম বেশি সকলেই পরিচিত। তবে যাঁদের কাজ মানুষকে মনোরঞ্জন করা, তাঁদের ক্ষেত্রে কতটা ভয়াবহ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি, তা না জালনে হয়তো অনেকে অনুমাণ করতে পারবেন না। আর এই কঠিন সত্য সম্পর্কে আরও একবার পরিচয় করিয়ে দিলেন গায়ক কুমার শানু। বলিউড, টলিউড সবর্ত্রই তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ৯০-এর দশকে প্রেমিক-প্রেমিকাদের মুখে-মুখে লেগে থাকত যাঁর গান। বাবার মৃত্যুর দিনও দর্শকদের আনন্দ দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে।
একবার এক সাক্ষাৎকারে, কুমার শানু জানান, যেদিন তাঁর বাবা মারা গিয়েছিলেন, সেদিনও দর্শকদের গান শুনিয়ে যেতে হয়েছিল। রাজ কাপুরের এক উক্তি ধার করেই তিনি বলেছিলেন, “‘দ্য শো মাস্ট গো অন’ রাজ কাপুরজি এটা একদম ঠিক বলেছিলেন। যখন দর্শকের সামনে শিল্পীরা যান, তখন তাঁরা তাঁদের ব্যাক্তিগত জীবনে কী চলছে, আদৌ তিনি ঠিক আছেন কি না, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র কেউ ভাবেন না। তাঁরা শুধু জানেন, কুমার শানু যখন এসেছেন, তখন তিনি গেয়ে যাবেন।” এখানেই থামেননি তিনি। আরও জানান, ওইদিনই মঞ্চে পড়ে যান তিনি, কিন্তু তা সত্ত্বেও গান থামাননি।
এই বিষয়ে শানুর মন্তব্য, “ওই দুঃখের দিনেই, শো চলাকালীন দর্শকরা মঞ্চে এত ফুল ছুড়েছিলেন যে, তাতে পা পিছলে পড়ে যাই। তবে দর্শকরা তা বুঝতেও পারেননি। আমি তাও গান করে যাই, তাঁরা বুঝতেও পারেননি যে আমি পড়ে গিয়েছি।” শেষে আরও যোগ করেন, “পারফরম্যান্স শেষ করে যখন ব্যাক স্টেজে যাই, তখন সবাই দৌঁড়ে আমার কাছে আসে, তবে দর্শকরা টেরও পাননি আমার সঙ্গে কী ঘটে গিয়েছে।” এটাই শিল্পীদের লড়াই।





