AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

উত্তমের জন্যে মিথ্যে বলতে বলতে ক্লান্ত! কেন এমন পরিস্থিতি হয় সুপ্রিয়া দেবীর?

Tollywood Inside: কেরিয়ার, সিনেমা থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবন, সুপ্রিয়া দেবী যেন সদা চর্চায়। বিশেষ করে তাঁর জীবনে মহানায়কের উপস্থিতি, উত্তম কুমারকে নিয়ে তাঁর মুখ থেকে কত যে গল্প শোনা যায়...। তবে জানেন কি, সেই মহানায়ককে নিয়েই রীতিমত নাজেহাল হতে হয়েছিল সুপ্রিয়া দেবীকে।

উত্তমের জন্যে মিথ্যে বলতে বলতে ক্লান্ত! কেন এমন পরিস্থিতি হয় সুপ্রিয়া দেবীর?
| Updated on: Feb 24, 2025 | 3:33 PM
Share

তিনি সুপ্রিয়া দেবী। যাঁকে কেন্দ্র করে টলিপাড়ায় নানা জানা-অজানা গল্প ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁর কেরিয়ার, সিনেমা থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবন, সুপ্রিয়া দেবী যেন সদা চর্চায়। বিশেষ করে তাঁর জীবনে মহানায়কের উপস্থিতি, উত্তম কুমারকে নিয়ে তাঁর মুখ থেকে কত যে গল্প শোনা যায়…। তবে জানেন কি, সেই মহানায়ককে নিয়েই রীতিমত নাজেহাল হতে হয়েছিল সুপ্রিয়া দেবীকে। কারণ একটাই, আর তা হল রান্না। তিনি সুপ্রিয়া দেবীর হাতের খাবার পছন্দ করতেন। আর বেশি দিন এক রাঁধুনিকে দিয়ে রান্না করানোও যেত না বলে এক সাক্ষাৎকারে জানান সুপ্রিয়া দেবী। ফলে কিছু দিন পরপরই মিথ্যে অযুহাতে তাঁদের ছুটি দিতে হতো।

দূরদর্শনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্প শুনিয়ে ছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “রান্না আমার সখ। আমি রেসিপি তৈরি করি। বাড়িতে ছোটোরা থাকলে রান্না করতেই হবে, বিষয়টা এমন। আমার হবি হয়ে গিয়েছিল। উত্তমের জন্যে। ও তো আমার হাতে ছাড়া খেত না। অতো খাবার আসত, কিছু খেত না। বংশী, আমার রাঁধুনি, আমার সঙ্গে আজও আছে, প্রায় ৫০ বছর হতে চলল…। তবে প্রথম থেকে ও ছিল না। প্রথম একজন ছিলেন, সে ইংলিশ রান্না করত। আর উত্তমের হাত-পা টিপে দিত। ওকে মাঝে মধ্যে রান্না শেখাতাম। কিন্তু ও চলে গেল, তারপর সে রান্নার লোক আর পাই না। এরপর একজন এলেন তিনি দক্ষিণ ভারতীয়। তাঁর রান্নাও খুব ভাল ছিল।….তবে একদিন উনি বলে বসলেন, আর ভাল লাগছে না এই খাবার। তখনই বুঝলাম, কাল থেকে আর খাবে না। ওকে মিথ্যে বলে, যে বাইরে যাচ্ছি, তুই টাকাটা রাখ… এসব বলে ছুটি দিয়ে দিলাম। উত্তমের জন্যে কত যে এমন মিথ্যে বলেছি…। তারপর এল বংশী। ও আজও আছে।”