AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

প্রবল আপত্তি, তাও কেন ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেছিলেন হেমা?

সংসার, সন্তান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন বেশিরভাগ অভিনেত্রী। কিন্তু হেমা অন্যতম ব্যতিক্রম। সংসার, দুই মেয়েকে সামলেও সমান তালে কাজ করেছেন তিনি। আর এক্ষেত্রে তাঁর সবথেকে বড় সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে উঠেছিলেন ধর্মেন্দ্র। তিনি নাকি কোনওদিন হেমাকে কাজ বন্ধ করার জন্য বলেননি।

প্রবল আপত্তি, তাও কেন ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেছিলেন হেমা?
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2025 | 6:30 PM
Share

১৯৮০তে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনী। সে সময় বিয়ের পরই অধিকাংশ নায়িকাদের কেরিয়ারে এক রকম ইতি টেনে দেওয়া হতো। সংসার, সন্তান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন বেশিরভাগ অভিনেত্রী। কিন্তু হেমা অন্যতম ব্যতিক্রম। সংসার, দুই মেয়েকে সামলেও সমান তালে কাজ করেছেন তিনি। আর এক্ষেত্রে তাঁর সবথেকে বড় সাপোর্ট সিস্টেম হয়ে উঠেছিলেন ধর্মেন্দ্র। তিনি নাকি কোনওদিন হেমাকে কাজ বন্ধ করার জন্য বলেননি।

হেমার কথায়, “আমি এমন পরিবারে জন্মেছি এবং বড় হয়েছি যেখানে শিল্পকে অত্যন্ত প্রাধান্য দেওয়া হতো। আমি নাচ ছোট থেকেই ভালবাসতাম। আমার মাও চাইতেন নাচ নিয়ে কিছু করি। ধর্মেন্দ্রজির সঙ্গে বিয়েও আমার জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সবথেকে বড় কথা উনি কোনওদিন আমাকে কাজ করতে বাধা দেননি। ওঁর প্যাশন প্রফেশনে বদলে যায়। আমরা একে অপরের কাজকে সমর্থন করতাম। আমাদের মধ্যে দারুণ আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছিল। একে অপরকে সময় দিতাম, যা আমাদের সম্পর্ককে আরও সুন্দর করে তুলেছিল। তবে একে অপরের প্রতি সম্মান রেখেই নিজের নিজের পথ বেছে নিয়েছিলাম আমরা।”

ধর্মেন্দ্র এবং হেমা মালিনী। বলিউডের স্বপ্নের জুটি। অনস্ক্রিন তাঁদের কেমিস্ট্রি অথবা অফস্ক্রিন তাঁদের দাম্পত্য, সবটাই উপভোগ করেন সাধারণ দর্শক। কিন্তু এই জুটির বিয়ে নাকি একেবারেই সহজ ছিল না। সিমি গারেওয়ালের একটি টেলিভিশন শো-এ গিয়ে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে বিয়েটা যে কত কঠিন ছিল, তা জানিয়েছিলেন হেমা। বাড়ির প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেছিলেন হেমা।

হেমা বলেন, “ধর্মেন্দ্রকে যে সুন্দর দেখতে, এটা সকলেই মানবেন। আমি কিন্তু ওর সঙ্গে শুধুমাত্র কাজ করতাম। বিয়ে করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু ভাবতাম, যদি বিয়ে করতেই হয়, ওর মতো কাউকে বিয়ে করব। ওকে নয়। অথচ সেটাই হল।” হেমা জানিয়েছেন, তিনি ধর্মেন্দ্রর অত্যন্ত কাছের ছিলেন। তা নিয়ে বহু রটনা শুরু হয়। তখন একদিন হেমাই নাকি ধর্মেন্দ্রকে জানান, এ বার বিয়ে করতেই হবে। সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান ধর্মেন্দ্র। ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের চার সন্তান। দুই ছেলে সানি এবং ববি দেওল। দুই মেয়ে বিজেতা, অজিয়েতা। সে কারণেই ধর্মেন্দ্রর মতো পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হননি হেমার পরিবারের সদস্যরা। হেমা জানান, সে সময় কারও কথাতে কান দেননি তিনি। ধর্মেন্দ্র মতো কেউ নন। বরং ধর্মেন্দ্রকেই স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন।