‘বাবা ছেড়ে চলে গিয়েছে…’ শুনে অবাক যীশু, এও সম্ভব!
Jisshu Sengupta: ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এ মিঠুন চক্রবর্তী পূজাকে দেখে অবাক। মহাগুরুর আশীর্বাদও যে পাবে এই মেয়ে, তা স্পষ্ট। সবে শুরু হয়েছে এই সিজন। এখন অনেক পথচলা বাকি। তবে তার মধ্যেই পূজা অন্যতম প্রিয় প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে নেটদুনিয়ার।

‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এ পূজা হালদারকে ঘিরে এখন দর্শকদের উন্মাদনা। এই প্রতিযোগী সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে সে। এই মঞ্চে দারুণ নাচ করেছে পূজা। কিন্তু বিচারকের আসনে যীশু সেনগুপ্ত, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, অঙ্কুশ হাজরা আর কৌশানী মুখোপাধ্যায় যখন তাঁর প্রশংসা করে, তখন পূজা আর উত্তর দিতে পারে না। হাত নেড়ে সে মনের কথা বোঝানোর চেষ্টা করে। প্রথমে বুঝতেই পারেননি বিচারকরা। তাঁরা একজন-অন্যজনের দিকে তাকান। তারপর চোখে জল নিয়ে মঞ্চে আসেন পূজার মা। তিনি খোলসা করেন, ‘২০১০-এ আমরা বুঝতে পারি, পূজা কথা বলতে পারবে না। ও কথা বলতে পারে না। শুনতে পারে না। মেয়ের এই অবস্থা দেখার পর ওর বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে।’ সিঙ্গল মাদারের এই লড়াইয়ের কথা শুনে সেখানে উপস্থিত সকলেরই চোখে জল চলে আসে।
যে কানে শুনতে পারে না, সে কী করে নাচে? পূজা গানের ছন্দ অনুভব করতে পারে। সেই ছন্দ ধরেই পূজার শিক্ষক ওকে নাচ শিখিয়েছেন। ছোটবেলা থেকেই পূজার নাচের প্রতি আগ্রহ। টেলিভিশনে দেখে নাচ প্র্যাকটিস করত পূজা। পূজার এই ভালোবাসার কথা বুঝতে পারেন তাঁর মা। তারপর থেকে পূজা যাতে নৃত্যশিল্পী হয়ে উঠতে পারে, তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এ মিঠুন চক্রবর্তী পূজাকে দেখে অবাক। মহাগুরুর আশীর্বাদও যে পাবে এই মেয়ে, তা স্পষ্ট। সবে শুরু হয়েছে এই সিজন। এখন অনেক পথচলা বাকি। তবে তার মধ্যেই পূজা অন্যতম প্রিয় প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে নেটদুনিয়ার।
