করোনার দ্বিতীয় স্রোতে প্রত্যেকে দিশাহারা। চারিদিকে সংক্রমণের ভয়। এমতাবস্থায় শারীরিক কিছু সমস্যায় হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়াও সমস্যার বিষয়। তাই ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে চিকিৎসকের পারমর্শ নেওয়াই এই মুহূর্তে একমাত্র সমাধান। ইতিমধ্যেই এই চিকিৎসাপদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তবে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার সময় কতকগুলি বিষয় মাথায় রাখা দরকার—
১. প্রাক্টো, অ্যাপোলো ২৪X৭ এবং অন্যান্য নানা প্ল্যাটফর্ম ভিডিওকলের মাধ্যমে নিরাপদ মেডিক্যাল অ্যাডভাইস-এর কথা বলছে। এগুলির বিষয়ে জানতে পারেন।
২.উপরিউক্ত অ্যাপগুলি ছাড়াও হোয়্যাটস অ্যাপ, জুম অ্যাপও ব্যবহার করা হচ্ছে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার জন্য। এই অ্যাপগুলির সম্পর্কেও বিস্তারিত জানুন।
৩. অ্যাপে কীভাবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলবেন সেই বিষয়ে ছোট ছোট নানা ভিডিয়ো ইউটিউবে বা অন্যান্য প্লাটফর্মে আপলোড করা আছে। চাইলে সেগুলি দেখে নিতে পারেন।
৪. পরিষেবা নেওয়ার জন্য অনলাইনে টাকা দিতে হলে রসিদ অবশ্যই নিয়ে নিন।
৫. আগে কোনও টেস্ট করিয়ে থাকলে তার রিপোর্ট কীভাবে পাঠাবেন, তা জেনে নিন। বিশেষ করে সিটি, এমআরআই, এক্স রে-এর মতো ইমেজ কীভাবে চিকিৎসকের কাছে পাঠানো যাবে তা ভালো করে জেনে নিন। পুরনো প্রেসক্রিপশন থাকলে তা অনলাইনে কীভাবে পাঠাবেন সেই পদ্ধতি সম্পর্কেও জানুন।
৬. সমস্যা হল ভিডিয়ো কলে কনসালটেশনের জন্য খুব বেশি হলে ১৫ মিনিট সময় পাওয়া যায়। সময় যাতে নষ্ট না হয় তাই আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। রোগীর কী কী শারীরিক লক্ষণ দেখা দিচ্ছে তা একটা কাগজে লিখুন ও হাতের কাছে রাখুন। কনসালটেশনের সময় চিকিৎসককে সমস্যাগুলি সম্পর্কে গুছিয়ে বলুন।
আরও পড়ুন: যে কোনও পরিস্থিতিতে নার্ভকে দ্রুত শান্ত রাখবেন কীভাবে? রইল কিছু টিপস
৭. অন্যপ্রান্তে চিকিৎসকের কথা শেষ হওয়ার পরেই নিজের কথা বলুন। না হলে কারও কথাই পরিষ্কার শুনতে না পাওয়া গেলে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। সম্ভব হলে হেডফোন ব্যবহার করুন।
৮. ক্যামেরার সামনে স্থির হয়ে বসার চেষ্টা করুন। বেশি নড়াচড়া করলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে সমস্যা হবে। পিঠের পিছনে টিভি চললে তা বন্ধ করে দিন। কাছাকাছি তারস্বরে গান চললে একটু শান্তিপূর্ণ জায়গায় সরে যান।
৯. ছোটখাট বিষয়ে জানতে হলে বা ওষুধ খেয়ে কোনও সমস্যা হলে কাকে ফোন করবেন তা জেনে রাখুন।
১০. স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, আগুনে পোড়া, জলে ডোবা, শ্বাসকষ্ট, বা কেটে গিয়ে রক্তপাত হওয়ার মতো বহু আপদকালীন পরিস্থিতি রয়েছে। এমন অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। টেলি কনসালটেশনের জন্য রোগীকে বাড়িতে ফেলে রাখলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে।