যে কোনও পরিস্থিতিতে নার্ভকে দ্রুত শান্ত রাখবেন কীভাবে? রইল কিছু টিপস

স্নায়ুতন্ত্র শরীরের একটি জটিল অঙ্গ। এটি উদ্দীপনা, সংবেদন এবং সংকেতগুলি নিয়ন্ত্রণকারী। প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি ক্রিয়াকলাপের সমন্বয় ঘটানো এর মুখ্য কাজ করে।

যে কোনও পরিস্থিতিতে নার্ভকে দ্রুত শান্ত রাখবেন কীভাবে? রইল কিছু টিপস
নার্ভকে শান্ত রাখবেন কীভাবে?
Follow Us:
| Updated on: Jun 03, 2021 | 8:18 PM

স্নায়ুতন্ত্র হল গোটা শরীরের পরামর্শদাতা। শরীরের কোন অংশে কতটা কাজ করবে, কেমনভাবে করবে তার নির্দেশদাতা হল এই স্নায়ুতন্ত্র। তবে অনেকসময় স্নায়ুতন্ত্র সমস্ত কাজে বিশেষ সাড়া দেয় না। স্নায়ুর সমস্যার কারণে আপনার মনোনিবেশ করার এবং দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। উদ্বেগ, উত্তেজনা, আতঙ্কের মধ্যে স্নায়ুকে সচল রাখতে ও দ্রুত শান্ত রাখতে কী কী করবেন, জেনে নিন একঝলকে…

১. শরীরের প্রত্যেকটি ইন্দ্রিয়ই অত্যন্ত শক্তিশালী ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ। তাই ইন্দ্রিয়গুলিতে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে উদ্দীপনার কারণ ব্যাখা করে দ্রুত শান্ত করা সম্ভব। স্পর্শের অনুভূতিগুলিকে আগে শান্ত করার চেষ্টা করলে উপকার মেলে। নরম তুলতুলে স্ট্রেস বল, নরম টেডি বিয়ার, বাবল র্যাপ এগুলি নিয়ে ব্যস্ত থাকলে স্নায়ুতন্ত্র অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া ঠান্ডা জলে স্নান করলে শরীর অনেকটা ঠান্ডা হয়ে যায়। চোখে, মুখে গলায় ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিলে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করা যায়। উদ্বেগ কাটাতে কিছুটা ক্রিম নিয়ে হাতের তালু ঘষতে পারেন। ধীরে ধীরে হাতে ও হাতের আঙুল গুলিতে মাসাজ করতে পারেন। কবজি, হাতের তালু, আঙুলগুলিকে সামান্য সময় ধরে মাসাজ করলে নার্ভাস ভাব কেটে যায়। উদ্দীপনা বা আতঙ্কে যদি মাথাব্যথার লক্ষণ দেখা যায়, কিমবা স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে হাতের আঙুল দিয়ে চুলের ত্বকের মধ্যে মাসাজ করতে পারেন। দ্রুত টেনশন ঘাড় থেকে নেমে যাবে

আরও পড়ুন: দীর্ঘায়ু হতে রোজকার ডায়েটে রাখুন ২ ফল আর ৩ ধরনের সবজি!

২. স্নায়ুতন্ত্রকে দ্রুত শান্ত করতে ঘ্রাণেন্দ্রিয়কে কাজে লাগালে দারুণ উপকার মেলে। নার্ভাস হলে দ্রুত সাইট্রাস যুক্ত কোনও গন্ধ নাকের মধ্যে শুঁকে নিতে পারেন। স্ট্রেসের পরিমাণ কমতে থাকবে ধীরে ধীরে। যদি কাছে পিঠে ফুলের বাগান থাকে, তাহলে সেখানে কিছুটা ঘুরে আসতে পারেন, কিংবা কাজের জায়গায় ফুলের টব বসিয়ে রাখতে পারেন। কাজের চাপ বাড়লে বা স্ট্রেস বাড়লে ফুলের গন্ধে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। নার্ভাসের প্রবণতা থাকলে ব্যাগের মধ্যে রাখুন কিছু অ্যারোমা তেল। নার্ভাস কাটাতে অ্যারোমাথেরাপি বেশ কার্যকরী।

৪. অনুশীলনের মাধ্যমে শরীরের পেশিগুলিকে শান্ত রাখার চেষ্টা করলে স্ট্রেসের পরিমাণ করে যায়। তাই নিয়মিত স্ট্রেচ, কয়েক ঘন্টা হাঁটা-চলা করলে শরীর ও মন দুটোই ভাল থাকে। অফিসে কাজ করার সঙ্গে সঙ্গেও স্ট্রেস কমাতে পায়ের কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। তাতে মনোযোগ বৃদ্ধি হয়। শারীরিক কসরতের কারণে হার্টও ভালো থাকে। রক্ত সঞ্চালন, পেশিশক্তি বাড়াতে পুশআপ দেওয়া, নাচ করা, দৌড়নো, কিংবা যুগলে মিলে লাফ দেওয়ার মতো অনুশীলন করতে পারেন।

আরও পড়ুন: সপ্তাহে অন্তত একবার চকোলেট খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে! জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

৪. স্ট্রেস বাড়লেই অধিকাংশের খিদে পাওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। জিভের স্বাদের মাধ্যমে নার্ভাসের অস্থিরতা অনেকটা কেটে যায়। স্ট্রেস কমাতে সঙ্গে রাখুন ডার্ক চকোলেট। সুস্থ মস্তিষ্কের জন্যও মাঝে মাঝে চকোলেট খাওয়া ভাল। কাজের চাপ বাড়লে বা নেগেটিভ চিন্তাধারা মনের মধ্যে ঝড় তুললে আমের মতো মিষ্টি ফল খেতে পারেন। এতে আপনার স্নায়তন্ত্র ফের জাগ্রত হতে শুরু করবে। অবসাদ, ক্লান্তি, স্ট্রেস কমাতে গ্রিন টি সেবন করা বেশ স্বাস্থ্যকর। পছন্দের ফল, দই, হেলথি স্ন্যাকসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে মানসিক চাপ কমতে সাহায্য করে।