বারে বারে জল তেষ্টা পাচ্ছে! এই ৪ মারাত্মক অসুখের প্রাথমিক লক্ষণ এটি

ডিহাইড্রেশন দূর করতে ডাক্তাররা বারে বারে জল পান করার পরামর্শ দেন। কিন্তু এই মারাত্মক কারণ ছাড়া যদি বারে বারে জলের তেষ্টা পায়, তাহলে বুঝতে হবে স্বাস্থ্যের কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছে।

বারে বারে জল তেষ্টা পাচ্ছে! এই ৪ মারাত্মক অসুখের প্রাথমিক লক্ষণ এটি
এই ৪ অসুখের কারণে সারাদিন তৃষ্ণার্ত থাকছেন আপনি!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2021 | 9:11 AM

সুস্থ থাকতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবারের সঙ্গে সঙ্গে জলেরও প্রয়োজনও পড়ে। দেহে সঠিক পরিমাণে জলের সরবরাহ না হলে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। দেখা দেয় নানান শারীরিক সমস্যাও। মানবদেহের শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে জলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। গ্রীষ্মকালে জলের তেষ্টা অন্যান্য ঋতুর তুলনায় বেশি দেখা দেয়। গরম কালে সূর্যের চড়া রোদ ও গরম আবহাওয়ার জন্য শরীর থেকে অতিরিক্ত জল ঘামের আকারে বেরিয়ে যায়। তাই এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে জল পান করা উচিত। ডিহাইড্রেশন রোধকরতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা আবশ্যিক। এছাড়া ওয়ার্কআউটের পর, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের পর জলের তেষ্টা আরও বেড়ে যায়। শরীরকে সচল রাখতে জলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

উপরের কারণগুলি দেখে বোঝাই যাচ্ছে, কেন প্রচুর পরিমাণে জল পান করা উচিত। কিন্তু এই কারণগুলি ছাড়াও যদি বারে বারে জল তেষ্টা পায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে কোনও রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। ডিহাইড্রেশন দূর করতে ডাক্তাররা বারে বারে জল পান করার পরামর্শ দেন। কিন্তু এই মারাত্মক কারণ ছাড়া যদি বারে বারে জলের তেষ্টা পায়, তাহলে বুঝতে হবে স্বাস্থ্যের কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছে।

ডায়াবেটিস

যখন আপনার শরীরে কোষগুলি ইনসুলিন প্রতিরোধ করতে লড়াই শুরু করে, সেই সময় কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। রক্তকোষ থেকে অতিরিক্ত চিনি অপসারণের জন্য কিডনির কাজ আরও কঠিন হয়ে যায়। এর জেরে বারে বারে ওয়াশরুমে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ফলে আগের থেকে জল পান করার প্রবণতাও বৃদ্ধি পায়। ঘন ঘন প্রস্রাব ও অতিরিক্ত জল তেষ্টা হল ডায়াবেটিসের ২টি প্রাথমিক লক্ষণ।

আরও পড়ুন: জন্ডিসের লক্ষণ দেখলে হেলাফেলা নয়! এই ৫ ঘরোয়া টোটকায় দ্রুত সারবে লিভারের রোগ

রক্তাল্পতা

রক্তের মধ্যে হিমোগ্লোবিন হ্রাস পেলে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা দেখা যায়।অস্বাস্থ্যকর ডায়েট ও ব্যাপক রক্তপাতের কারণ রক্তাল্পতার লক্ষণ দেখা যায়। ডিহাইড্রেশন হল অ্যানিমিয়ার একটি সাধারণ লক্ষণ। মারাত্মক আকারে অ্যানিমিয়া দেখা দিলে তা উপসর্গগুলি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে। এই অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে জল পান করার প্রবণতা বেড়ে যায়। তার সঙ্গে মাথা ঘোরা, ক্লান্তি বোধ, ঘাম নির্গত হওয়ার লক্ষণগুলি প্রকট হয়।

শুকনো মুখ

স্য়ালিভারি গ্ল্যান্ড যক পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা নির্গত করতে অক্ষম হয়ে যায়, তখন মুখের ভিতর শুকিয়ে গিয়ে বারে বারে জল তেষ্টার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তামাকজাত দ্রব্যের উপর নেশা থাকলে, ক্যানসারের চিকিত্সা চললে এই উপসর্গগুলি দেখা যায়। মুখে অরুচি, দাঁতের মাড়িতে ব্যথা, চিবাতে গিয়ে অসুবিধা হলে ও মুখে দুর্গন্ধ হলে বারে বারে জল পান করার প্রবণতা তৈরি হয়।

প্রেগন্যান্সি

অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন খুব সাধারণ লক্ষণ এটি। প্রথম ট্রিমেস্টারের সময় রক্তের পরিমৈণ বেড়ে যায় যা কিডনির উপর দারুণ প্রভাব পড়ে। কিডনি থেকে অতিরিক্ত জল নির্গত হওয়ায় বাড়ে বাড়ে প্রস্রাব শুরু হয়। শরীর থেকে ক্রমাগত জল নির্গত হওয়ায় তৃষ্ণার্ত করে তোলে, ফলে শরীরকে ঠান্ডা ও সুস্থ রাখতে বারে বারে জল পান করার দরকার পড়ে।