Constipation in Children: সন্তান কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছে? ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে ঘরোয়া টোটকা মানুন

Child Health: পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না করা, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়াই বাচ্চাদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে। সপ্তাহে যদি ৩ বারের কম পায়খানা হয় কিংবা মলত্যাগ করতে গেলে কষ্ট হয়, তখন বুঝতে হবে আপনার সন্তান কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে।

Constipation in Children: সন্তান কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছে? ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে ঘরোয়া টোটকা মানুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2023 | 7:52 AM

অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। আজকাল বাচ্চাদের মধ্যেও বাড়ছে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না করা, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়াই বাচ্চাদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে। সপ্তাহে যদি ৩ বারের কম পায়খানা হয় কিংবা মলত্যাগ করতে গেলে কষ্ট হয়, তখন বুঝতে হবে আপনার সন্তান কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে। ছোট বয়স থেকে এই সমস্যা থেকে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া জরুরি। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সবসময় যে ওষুধ খাওয়ালেই পায়খানা হবে, এমন অভ্যাস বাচ্চাদের মধ্যে গড়ে না তোলাই ভাল। তার চাইতে ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যকে প্রতিরোধ করবেন এবং মলত্যাগে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে জোর দিন।

ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন: বাচ্চা যদি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগে তাহলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া। গোটা শস্য, ফল ও শাকসবজি রাখুন ডায়েটে। ফাইবার মলকে নরম করে এবং এতে মলত্যাগে কোনও কষ্ট হয় না।

হাইড্রেট রাখুন: হাইড্রেশন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে প্রতিরোধ করে। খেয়াল রাখুন যে আপনার সন্তান পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করে। হাইড্রেশন মলকে নরম করে দেয় এবং মলত্যাগের প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেয়। জলের পাশাপাশি ডাবের জল, ফলের রস এবং তরল জাতীয় খাবার খাওয়ান বাচ্চাকে।

প্রোবায়োটিক সাহায্য করতে পারে: প্রোবায়োটিক হজম স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রোবায়োটিক খাবার হিসেবে বাচ্চাকে দই খাওয়াতে হবে। টক দই খেতে না চাইলে আপনি ফলের সঙ্গে দই মিশিয়েও খাওয়াতে পারেন।

রোজ মলত্যাগের অভ্যাস গড়ে তুলুন: ছোট বয়স থেকে রোজ মলত্যাগ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। দিনে অন্তত ১০ মিনিট টয়লেট সিটে বসানোর অভ্যাস করুন। ছোট বয়স থেকে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রতিরোধ করা যায় এবং রোজ মলত্যাগের অভ্যাস গড়ে ওঠে।

সকালবেলার রুটিন: প্রতিদিন সকালে বাচ্চাকে এক গ্লাস গরম দুধ দিন। পাশাপাশি ৪-৫টা ভেজানো কিশমিশ খাওয়ান। প্রয়োজনে আপনি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও গরম দুধে ঘি মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। আয়ুর্বেদের মতে, এই ঘরোয়া টোটকাগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যদি গ্যাস, বদহজমের জন্য বাচ্চার মলত্যাগে সমস্যা হয়, তাহলে রাতে পেটে হিং মালিশ করুন। এতে গ্যাস বেরিয়ে যাবে এবং শারীরিক অস্বস্তি কমবে।