Oxygen level: এই পাঁচ প্রাকৃতিক উপায়েই বাড়িয়ে তুলুন শরীরের অক্সিজেন মাত্রা
Winter health: শীত এলেই বাড়ে নানা শারীরিক সমস্যা। আর তাই এই সময় সকলেরই একটু সাবধানে থাকা উচিত। ঠান্ডা যাতে না লাগে সেদিকে নজর দিন।
শীত বাড়লেই নানা রকম শারীরিক সমস্যার প্রকোপ বাড়ে। ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কফ, কাশি এসব লেগেই থাকে। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁদের কিন্তু এই সময়ে একটু সাবধানে থাকা উচিত। শীতেই বাড়ে হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা। এছাড়াও ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনার প্রকোপ। করোনার প্রধান উপসর্গ হল শ্বাসকষ্ট। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সকলেই দেখেছেন অক্সিজেনের সংকট। অক্সিজেনের অভাবে অনেক মানুষ মারাও গিয়েছেন। চলেছে অক্সিজেন নিয়ে কালোবাজারি। অনেকেই আতঙ্কে বাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করে রেখেছিলেন। তবে শীতে দূষণ বাড়ায় সাধারন মানুষও পড়তে পারেন এই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায়। আর তাই যেমন ঠান্ডা লাগা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন তেমনই কিন্তু মেনে চলতে হবে বেশ কিছু সতর্কতা বিধিও।
ডায়েটে আনুন পরিবর্তন- শীতে ডায়েট মেনে চলা খুবই জরুরি। এই সময় বাজারে প্রচুর শাক সবজি পাওয়া যায়। ফল পাওয়া যায়। তাই মরশুমি ফল সবজি অবশ্যই রাখুন খাদ্য তালিকায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান। ব্লুবেরি, ক্র্যানবেরি, বিনস, গাজর, বিট, মটরশুঁটি, পালং শাক, টমেটো রাখুন খাদ্য তালিকায়। এছাড়াও ফলের রস, স্মুদি এসবও অবশ্যই রাখুন খাদ্য তালিকায়। ভিটামিন এপ, ফ্যাটি অ্যাসিডও রাখুন। এতে শরীরে রক্ক প্রবাহ ঠিক থাকবে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমবে না।
শরীরচর্চা- শীত বলে কিন্তু কোনও আলসেমি নয়। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। হাঁটা, ব্যায়াম, কার্ডিয়ো- সব মিলিয়ে মিশিয়ে ৩০ মিনিট অবশ্যই শরীরচর্চা করুন। এতে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ ভাল হবে। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন কিন্তু নিয়ম করে শরীরচর্চা করবেন। রক্ত সঞ্চালন ভাল হলে হার্ট ভাল থাকে। সেই সঙ্গে মন মেজাজ, আত্মবিশ্বাসও থাকে তুঙ্গে।
প্রাণায়ম– শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখতে প্রতিদিন প্রাণায়ম জরুরি। আর তাই নিয়্ম করে ফুসফুসের ব্যায়াম করুন। মুখ দিয়ে নয়, শ্বাস নিন নাক দিয়ে। প্রতিদিন এই ব্যায়াম ১০ মিনিট করতে পারলে ফুসফুস ভাল থাকে।
ঘরের আশপাশ পরিষ্কার রাখুন- যাঁদের সিওপিডি রয়েছে তাঁদের কিন্তু সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। ঘরের দরজা, জানালা খুলে রাখুন। বদ্ধ পরিবেশে যতটা সম্ভব কম থাকার চেষ্টা করুন। গরম পোশাক পরে ঘুমোবেন না। প্রতিদিন সকালে খোলা বাতাসে ৩০ মিনিট হাঁটুন। তবে ঠান্ডা যাতে না লাগে সেদিকেও কিন্তু নজর রাখতে হবে। যে কোনও রকম ধোঁয়া থেকে দূরে থাকুন। আগুনের খুব কাছাকাছি যাবেন না।
শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখুন- শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা খুব জরুরি। শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে, সেই সঙ্গে জলও কম খাওয়া হয়. তাই নানা রকম সমস্যা বেশি হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আসে। শীতে বেশি করে জল খান। গরম জল নয়, ইষদুষ্ণ জল খান। এতে শরীরের তাপমাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। কফি, অ্যালকোহল যতটা সম্ভব কম খান। বেশি সোডিয়াম রয়েছে এমন কিছু কিন্তু খাবেন না। কারণ এতে শরীর বেশি ডিহাইড্রেড হয়ে যায়। সারাদিনে ৫ লিটার জল খান
আরও পড়ুন: Ayurveda: ঘুমের আগে এই কয়েকটি অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন, সুস্থ থাকবেন! বলছে আর্য়ুবেদ