ঋতুস্রাবের কোন কোন সমস্যা ফেলে রাখলে বিপদ?
কোন সমস্যা একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়, সে সম্বন্ধে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম আমরা। কিন্তু আপনার সমস্যা ঠিক কোথায়, তা চিকিৎসকই বুঝতে পারবেন।
মাসের নির্দিষ্ট কয়েকটা দিনের অসুস্থতা, বলা ভাল অস্বস্তিতে (health care) একটা বয়সের পর সব মেয়েই অভ্যস্ত হয়ে যান। কারও ক্ষেত্রে পিরিয়ডিক্যাল সাইকেলে (period) কোনও সমস্যা থাকে না। কারও আবার কিছু সমস্যা থাকে। যে সমস্যাই হোক, এড়িয়ে যাবেন না। এর থেকে ভবিষ্যতে বড় বিপদ হতে পারে। তাই সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কোন সমস্যা একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়, সে সম্বন্ধে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম আমরা। কিন্তু আপনার সমস্যা ঠিক কোথায়, তা চিকিৎসকই বুঝতে পারবেন। তাই ন্যুনতম সমস্যাও ফেলে রাখবেন না।
১) পিরিয়ডের প্রথম দিন, অথবা প্রথম দুই দিন অনেক মহিলাই ভারী ঋতুস্রাবে অভ্যস্ত। কিন্তু যদি আপনি দেখেন, চার-পাঁচদিন ধরেই ফ্লো অত্যন্ত বেশি, এমনকি প্রথম দুদিনের ফ্লো এতটাই বেশি যে প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর ন্যাপকিন বদলাতে হচ্ছে, তাহলে আপনার কোনও শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
আরও পড়ুন, কীভাবে বুঝবেন, আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে?
২) মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলে ব্লাড ক্লট হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর পরিমাণ বেশি হলে চিকিৎসককে দেখিয়ে নিন। আপনার যৌনজীবনে কোনও সমস্যা না থাকলে, অনেক সময় এভাবেই মিসক্যারেজ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে কোনও মহিলা যে সন্তানসম্ভবা, তাও অনেক সময় অজানা থেকে যায়।
৩) সাধারণ ভাবে পিরিয়ড সাইকেল চার থেকে সাতদিনের। যদি আপনার সাইকেল ১০ বা তার বেশি দিন থাকে, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। অনেক সময় হরমোনের ভারসাম্যের অভাবে এই সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন, কোন সময় শরীরচর্চা করলে ঘুম ভাল হবে?
৪) ২৫ থেকে ৩২ দিন অন্তর সাধারণ ভাবে পিরিয়ডিক্যাল সাইকেল ঘুরে আসে। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে তা যদি ১৫ বা ২০ দিনের অন্তরে হয়, চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ওভারির সমস্যার কারণে এমন হতে পারে। বিশেষত আপনার বয়স ৪০-এর কম হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। অনেক ক্ষেত্রে মেনোপজের সময় এগিয়ে এলে এই সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন, হার্ট অ্যাটাকের পরে রোগীর লাইফস্টাইল কেমন হবে?
৫) একটা সাইকেল শেষ হওয়ার পর থেকে আর একটা সাইকেল শুরু হওয়ার মধ্যের সময়ে যদি হঠাৎ করে সামান্য রক্তপাত হয়, তা ফেলে রাখবেন না। প্রাথমিক ভাবে হরমোনের ভারসাম্যের অভাবের কারণে এটা হতে পারে। কিন্তু আপনার ক্ষেত্রে সমস্যাটা ঠিক কোথায়, তা জানতে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।