Watermelon Benefits: বাপরে বাপ! তরমুজের এত গুণ জানতেন আগে?

Health Benefits: ফাইবার মলের পরিমাণ বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে। সম্ভব হলে দই কিংবা মধু দিয়ে তরমুজ খেতে পারেন।

Watermelon Benefits: বাপরে বাপ! তরমুজের এত গুণ জানতেন আগে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 04, 2022 | 10:18 PM

গ্রীষ্ম মানেই পাকা আর সুস্বাদু ফল খাওয়ার সময়! তবে আমের পর বোধকরি সবচাইতে চিত্ত প্রলোভনকারী ফলটির নাম তরমুজ (Watermelon)! লিচু, আমের মধ্যে যা যা কিছু গুণ সব কিন্তু পোরা থাকে তরমুজের সবুজ পেটের ভিতরে! তরমুজ একাধারে সুস্বাদু, অন্যদিকে শরীরের আর্দ্রতা রক্ষা করে এবং প্রতি কাপ তরমুজে এনার্জি থাকে মাত্র ৪৬ কিলো ক্যালোরি! এছাড়া তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর উপাদান (Health Benefits)। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান। ফলে তরমুজ খেলে দেহে জলের অভাব হয় না। এছাড়া তরমুজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা তন্তুজাতীয় উপাদান যা হজমতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি। ফাইবার মলের পরিমাণ বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে। সম্ভব হলে দই কিংবা মধু দিয়ে তরমুজ খেতে পারেন।

এছাড়া দই কিংবা মধু মিশিয়ে গ্রাইন্ডারে তরমুজের কয়েকটা টুকরো ফেলে ঘুরিয়ে নিলে দুর্দান্ত শরবত তৈরি হয়ে যাবে। একাধিক ধরনের তরমুজ আছে। উদাহরণ হিসেবে বীজহীন, বীজশুদ্ধ, লাল ও কমলা তরমুজের কথা বলা যায়। লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দারুণ উৎস হল তরমুজ। চাইলে আপনিও তরমুজের বীজ খেতে পারেন। কারণ তরমুজের বীজে থাকে তামা, জিঙ্ক, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজ।

তরমুজ খাওয়ার অন্যান্য গুণাগুণ—

ডিহাইড্রেশন রোধ: তরমুজে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। ফলে গ্রীষ্মের দুপুরে টিফিনবক্সে কয়েক টুকরো তরমুজ নিয়ে বাইরে বেরন। মাঝেমধ্যেই খান ফলের টুকরো। এককাপ তরমুজে থাকে প্রায় ১৫০ মিলিলিটার জল। তরমুজ খেলে তা খাদ্য হজমেও সাহায্য করে। ত্বক করে তোলে উজ্জ্বল, রক্তবাহী নালীতে রক্তের সঞ্চালন সঠিক রাখে। বিপাকক্রিয়া এবং খিদে বাড়ায়।

সাধারণ দর্শন তরমুজ কিন্তু আপনার ওজন কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী হতে পারে। ব্রেকফাস্টে অন্তর্ভুক্ত করুন তরমুজ। সেক্ষেত্রে সারাদিন ধরে তরমুজ আপনার শরীরে জলের মাত্রা কম হতে দেবে না। জানলে অবাক হবেন, তরমুজের ওজনের ৯২ শতাংশই পূর্ণ থাকে জল দ্বারা!

ওজন কমাতে: গ্রীষ্মের এই ফলে ক্যালোরির মাত্রা থাকে সামান্যই। মাত্রাতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে তরমুজ।

কিডনির সমস্যা দূর করে: তরমুজে রয়েছে পর্যাপ্ত মাত্রায় পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়াম যা শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। ক্যালশিয়াম রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এভাবে কিডনি ডিজিজের আশঙ্কাও কমায়। এছাড়া কোষের গঠন কার্যকারিতা রক্ষা করতেও ক্যালশিয়াম বিশেষ ফলদায়ী।

পেশির বেদনা: তরমুজে আছে এল-সিট্রুল্লাইন যা পেশির বেদনা কমাতে সাহায্য করে বলে বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে। এছাড়া পারফরমেন্স বাড়াতেও সাহায্য করে তরমুজ। তাই এক্সারসাইজ বা খেলতে নামার আগে তরমুজের শরবত পান করা উচিত।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: তরমুজ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কারণ তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি। ভিটামিন সি নিজেও একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থের সঙ্গে লড়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিভিন্ন ফ্রি র্যাসডিক্যালসকে নিষ্ক্রিয় করে। এই ধরনের ফ্রি র্যা্ডিক্যালসগুলিও ক্যান্সার হওয়ার পিছনে অন্যতম বড় কারণ। এছাড়া তরমুজে থাকে লাইকোপেন যা প্রস্টেট ক্যান্সারের আশঙ্কা কমায়। অনসুলিন গ্রোফ ফ্যাক্টর (এক ধরনের প্রোটিন) কমিয়ে ক্যান্সারের আশঙ্কা কমায় লাইকোপেন।

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে: হাইপারটেনশনের সমস্যায় ভোগা রোগীর জন্যও তরমুজ অত্যন্ত ফলদায়ক হতে পারে। কারণ তরমুজে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড সিট্রিলিন যা শরীরে প্রবেশের পর আর্জিনিন-এ বদলে যায়। আর্জিনিন নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনে সাহায্য করে। নাইট্রিক অক্সাইড আবার রক্তবাহী নালীর কমনীয়তা রক্ষা করে। ফলে রক্তচাপও কমে। তরমুজে থাকে ক্যারোটিনয়েডস যা শিরা এবং ধমনীকে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস-এ আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস-এ আক্রান্ত রক্তবাহী নালী শক্ত ও অনমনীয় হয়ে যায়। তবে তরমুজের ক্যারোটিনয়েডস রক্তবাহী নালীর স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের আশঙ্কা কমে। রক্তচাপও কমে।

ত্বকের জন্য উপকারী: তরমুজের ৯৫ শতাংশই জল দ্বারা পূর্ণ হওয়ায়, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে তরমুজ। ফলে ত্বক দেখায় টানটান ও প্রাণবন্ত!