Heart disease: ১ মিনিটে ৬টি সিঁড়ি ওঠানামা করতে পারলেই বুঝবেন আপনার হার্ট সুস্থ! বলছে গবেষণা

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Sep 28, 2021 | 9:41 AM

গবেষণায় প্রায় ১৬৫ জন করোনারি আর্টেরি রোগে আক্রান্তদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এই রোগের রোগীদের হার্টের অবস্থা কেমন রয়েছে, তা দেখার জন্য কিছু ব্যায়ামের টেস্টিং করা হয়েছিল।

Heart disease: ১ মিনিটে ৬টি সিঁড়ি ওঠানামা করতে পারলেই বুঝবেন আপনার হার্ট সুস্থ!  বলছে গবেষণা
ছবিটি প্রতীকী

Follow Us

EACVI এর বেস্ট অব ইমেজিং ২০২০ -এ উপস্থাপিত গবেষণা অনুসারে, এক মিনিটেরও কম সময়ে চারটি সিঁড়িতে ওঠতে পারলে হার্টের সুস্থতার হারের ইঙ্গিত দেয়। এমনটাই মনে করে, ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি (ইএসসি) -এর বৈজ্ঞানিক কংগ্রেস।

দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে এই গবেষণাটির জন্য কিছু সাধারণ টেস্ট নেওয়া হয়। তার মধ্যে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা অন্যতম। স্পেনের ইউনিভার্সিটি হসপিটাল এ কোরুয়ানার কার্ডিওলজিস্ট ড. জেসেস পিটেরো বলেন, “হৃদয়ের স্বাস্থ্য মূল্যায়নের একটি সহজ এবং সস্তা পদ্ধতি খুঁজে বের করাই ছিল এই গবেষণার মূল লক্ষ্য। এটি চিকিত্সকদের আরও বিস্তৃত পরীক্ষার জন্য রোগীদের পরীক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।”

গবেষণায় প্রায় ১৬৫ জন করোনারি আর্টেরি রোগে আক্রান্তদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এই রোগের রোগীদের হার্টের অবস্থা কেমন রয়েছে, তা দেখার জন্য কিছু ব্যায়ামের টেস্টিং করা হয়েছিল। পরিশ্রমের সময় বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য ওই টেস্টগুলিকে অনুসরণ করা হয়েছিল।

পরীক্ষার অংশে হিসেবে যেগুলি করা হয়েছিল, তা হলয় মাটিতে হাঁটা, ট্রেডমিলের উপর দৌড়ানো, প্রথমে ধীরে ধীরে, তারপর দ্রুত গতিতে দৌঁড়ানো ছিল প্রাথমিক টেস্টিং। ব্যায়ামের ক্ষমতা পরিমাপ করা হয়েছিল বিপাকীয় সমতুল্য (এমইটি) হিসাবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট বিশ্রাম নেওয়ার পর, রোগীদের দ্রুত গতিতে চারটি সিঁড়িতে (৬০টি ধাপ) চড়ার জন্য বলা হয়েছিল। গবেষকদের ধারণা, ”সিঁড়ি পরীক্ষা আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার একটি সহজ উপায়,”। “যদি সিঁড়ির চারটি ধাপ উঠতে আপনার দেড় মিনিটেরও বেশি সময় লাগে, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা ভাল।’

হার্টের কীভাবে যত্ন নেবেন, দেখে নিন একনজরে

রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার পরীক্ষা করে এবং আপনার পরিবারের হৃদরোগের ইতিহাস সম্পর্কে আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। যদিও আপনি কিছু ঝুঁকির কারণ পরিবর্তন করতে পারবেন না তবে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে অনেক কিছু করতে পারেন। সেগুলিই দেওয়া রইল এখানে…

ধূমপান ত্যাগ করুন – ধূপপান করার মাত্রারিক্ত অভ্য়াস থাকলে তা হ্রাস করার চেষ্টা করুন।

রক্তচাপ লক্ষ্য করুন- উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদপিন্ডে চাপ পড়তে পারে। যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ থাকে, আপনার ডাক্তারের পরামর্শ সাবধানে অনুসরণ করুন, প্রতিদিন আপনার নির্ধারিত ওষুধ সেবন করুন।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন- হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন। নিয়মিত ব্যায়াম কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

আপনার ওজন দেখুন – অতিরিক্ত ওজন বা মোটা হওয়ার কারণে আপনার হৃদরোগের হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করুন।

নিয়মিত রক্তের শর্করা পরীক্ষা করুন – ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তে শর্করার কারণে আপনার হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখলে আপনার ঝুঁকি কমতে পারে।

ভিটামিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড- প্রাকৃতিকভাবে মাছ, বাদাম, বীজ এবং উদ্ভিজ্জ তেলে পাওয়া যায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড । ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড ট্রাইগ্লিসারাইডের নিম্ন ও প্রদাহের মাত্রা চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।

মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণ করুন- স্ট্রেস উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। যা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। স্ট্রেস ধূমপান, অতিরিক্ত খাওয়া এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাবের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে। একজন থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলে নানান চাপের সঙ্গে পজিটিভভাবে মোকাবেলা করার উপায়গুলি খুঁজে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন পালন করুন।

আরও পড়ুন: Weight loss: ভারী কিছু তুলতে গেলে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে? ওবেসিটির কবলে পড়লেন না তো!

Next Article