ওষুধ নয়, বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে যে সব ফল
Joint Pain: আপনি কি বাতের ব্যথায় দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট পাচ্ছেন? তাহলে আজ থেকেই ডায়েটে যোগ করুন এই সব খাবার। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কয়েকটি রসালো ফল বাতের সমস্যায় অত্যন্ত উপকারী।

বাতের (Arthritis) ব্যথায় কষ্ট পান অনেকেই। একটু বয়স বাড়লে এই সমস্যা আরও তীব্র হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমা অমাবস্যায় মাটিতে পা ফেলার ক্ষমতা পর্যন্ত থাকে না অনেকের। শরীরের নানা অংশে বাত বা আর্থারাইটিসের ব্যথা হয়। এই সমস্যা বাড়তে থাকলে বিছানা সঙ্গী হয় কারও-কারও। বাতের (Joint Pain) চিকিৎসা অবশ্যই রয়েছে। তবে সবসময় যে ওষুধের দ্বারাই এই সমস্যার সমাধান হবে তেমন ভাবাটা ভুল। তাই সবার আগে লাগাম টানতে হবে জীবনযাত্রায়। এমন বেশকিছু ফল রয়েছে যা খেলে বাতের ব্যথা কমে। আপনি কি বাতের ব্যথায় দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট পাচ্ছেন? তাহলে আজ থেকেই ডায়েটে যোগ করুন এই সব ফল। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যৌগ, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কয়েকটি রসালো ফল বাতের সমস্যায় অত্যন্ত উপকারী।
আম: আমে রয়েছে ভিটামিন সি, পলিফেনল এবং ক্যারোটিনয়েড, যা প্রদাহ কমাতে এবং হাড়ের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। যদি আপনার ডায়াবেটিস না থাকে তবে অল্প পরিমাণে আম খেতে পারেন।
স্ট্রবেরি: অস্টিওআর্থারাইটিস-সহ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রদাহ এবং তরুণাস্থির ক্ষতির বিরুদ্ধে শক্তিশালী অস্ত্র হতে পারে স্ট্রবেরি। গবেষণা বলছে, ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ স্ট্রবেরি সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন কমায়,যা আর্থ্রাইটিস এবং হৃদরোগের সঙ্গে যুক্ত প্রদাহ কমায়।
তরমুজ– তরমুজে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গ্রীষ্মকালে বাজার সেজেছে তরমুজে। তরমুজ সিআরপি হ্রাস করে। এতে উচ্চ পরিমাণে ক্যারোটিনয়েড বিটা-ক্রিপ্টোক্সানথিন রয়েছে, যা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমায়।
আঙ্গুর: আঙ্গুরে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পলিফেনলের বড় উৎস। লাল এবং কালো আঙ্গুরেও রেসভেরাট্রল থাকে, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। তাই এই ফল খেতে পারেন।
বেদানা: পলিফেনলিক যৌগ সমৃদ্ধ বেদানা বাতের ব্যথা কমায়। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট রয়েছে। বেদানা খেলে দ্রুত বাতের ব্যথা কমে। তাই বাতের সমস্যা থাকলে বেদানা মাস্ট।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
