Cancer: টিউমার মানেই কি ক্যানসার? জানুন আসল সত্য
Tumor: বহু মানুষের ধারণা, টিউমার থেকেই ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হয়। কিন্তু সবসময় তা হয় না। টিউমার মানেই যে ক্যানসার এটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। সব ধরনের টিউমার ক্যানসার না হলেও শরীরের যে কোনও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার।

দেহে কিছু কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ক্যানসার দেখা দেয়। সঠিক সময় ক্যানসার ধরা পড়লে, তা থেকে সুস্থও হয়ে ওঠা যায়। কিন্তু সময় থাকতে চিকিৎসা শুরু না হলে, ক্যানসারের কোষ দেহের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু টিউমার হয়েছে বলেই যে আপনি ক্যানসারে আক্রান্ত হবেন, এমন নয়। বহু মানুষের ধারণা, টিউমার থেকেই ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হয়। কিন্তু সবসময় তা হয় না। টিউমার মানেই যে ক্যানসার এটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।
মানবদেহে গোটা জীবনদশা জুড়ে প্রচুর কোষ জন্মায়। পুরনো কোষ মরে যায়, আবার জৈবিক নিয়মে নতুন কোষ তৈরি হয়। অনেক সময় এই প্রক্রিয়াটি ভেঙে যায়। তখন বেশ কিছু কোষ ক্যানসারের পরিণত হয়, আবার কিছু কোষ হয় না। এটাই হল সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের। বিনাইন টিউমার এবং ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের মধ্যে পার্থক্য করাই এখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সব ধরনের টিউমার ক্যানসারের কোষ গঠন করে না। বিনাইন টিউমার হল সেই টিউমার। এটি ক্যানসারের কোষ গঠন করে না এবং অন্যান্য কোষকে আক্রমণও করে না। তবে, বিনাইন টিউমার কখনও-কখনও খুব বড় আকার ধারণ করতে পারে। সম্পূর্ণ অপসারণের পর এই ধরনের টিউমার সাধারণত আর ফিরে আসে না। মোল, ফাইব্রয়েড এবং বিভিন্ন ধরনের সিস্ট হল বিনাইন টিউমারের উদাহরণ।
অন্যদিকে, ম্যালিগন্যান্ট বা প্রিম্যালিগন্যান্ট টিউমার ক্যানসার গঠন করে। প্রিম্যালিগন্যান্ট টিউমার সাধারণত আঁশযুক্ত এবং পুরু ছোপযুক্ত হয়। যেমন লিউকোপ্লাকিয়া। এটি মুখের ক্যানসারের লক্ষণ। প্রথমে এর কোনও ব্যথা হয় না কিন্তু অনিয়মিত আকার ধারণ করে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমার পেট, প্রোস্টেট, অগ্ন্যাশয়, ফুসফুস, লিভার, কোলন, স্তন, ডিম্বাশয়, মস্তিষ্ক, পেটে বা বুকে গঠিত হয়।
সব ধরনের টিউমার ক্যানসার না হলেও শরীরের যে কোনও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার। বিশেষত স্তন ও কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ক্ষেত্রে আপনি নিজেই সেই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি খুঁজে পাবেন। অর্থাৎ, সেলফ এগজামিনেশন। তবে, এমন অনেক ক্যানসার রয়েছে যেখানে কোনও মাংস পিণ্ড বা টিউমার গঠিত হয় না। যেমন লিউকেমিয়া। এই ধরনের ক্যানসারের ক্ষেত্রে উপসর্গ সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হয়। কোনও লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
টিউমার ক্যানসার কিনা তা বোঝা যায় পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রাথমিক স্তরে রক্ত পরীক্ষা এবং প্রস্রাব পরীক্ষা করা হয়। এরপর সিটি স্ক্যান, এমআরআই, আল্ট্রাসাউন্ড এবং এক্স-রে-এর মতো বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া বায়োপসি করা হয়। এতে ধরা পড়ে যাবে আপনার টিউমারে ক্যানসারের কোষ রয়েছে কিনা। শুধু দেহে যে কোনও ধরনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
