Omicron guidelines: কাঁটা যখন ওমিক্রন, বড়দিনের পার্টিতেও মেনে চলুন বাড়তি সতর্কতা! পরামর্শ চিকিৎসকের

Coronavirus: করোনা এখনও আমাদের পিছু ছাড়েনি। ভোল বদলে আবার হাজির হয়েছে সে। তাই ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়া থাকলেও মেনে চলতে হবে যাবতীয় কোভিড বিধি। ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল

Omicron guidelines: কাঁটা যখন ওমিক্রন, বড়দিনের পার্টিতেও মেনে চলুন বাড়তি সতর্কতা! পরামর্শ চিকিৎসকের
সংক্রমণ ঠেকাতে ভিড় এড়িয়ে চলুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 25, 2021 | 8:36 AM

কেক, কমলালেবু, পিকনিক আর চিড়িয়াখানা….বড়দিনের সঙ্গে মিশে রয়েছে এমনই কিছু শব্দ। এখন বড়দিন মানেই পার্কস্ট্রিট, আলোর রোশনাই, রাতভর হুল্লোড় আর হাউস পার্টি। বছর কয়েক আগেও কিন্তু চিত্রটা ঠিক এরকম ছিল না। বড়দিনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকত অনেক নস্ট্যালজিয়া, অনেক গল্প। স্কুলের পরীক্ষা শেষে শীতের ছুটিতে মেতে ওঠা আনন্দ উৎসবে। শীতের দুপুরে মিঠে কড়া রোদে পিঠ দিয়ে বসে গল্পের বই পড়ার মজাটাই ছিল অন্যরকম। আর ছিল আচার চুরি করে খাওয়া। এসব এখন অতীত। শীতের ছুটি গিয়েছে চুরি। নেই রোদের দেখা। সূয্যিমামা লুকোচুরি খেলে শহরের সবচেয়ে উঁচু ফ্ল্যাটবাড়িটার সঙ্গে। কিন্তু শেষ দু’বছরে ছেদ পড়েছে এই ছবিতেও। নেপথ্যে কোভিড।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনা সংক্রমণের কথা শোনা যায় চিনে। কিন্তু তা যে এভাবে সুনামির মতো আছড়ে পড়বে বিশ্বজুড়ে তা ভাবতে পরেননি কেউই। এর পরের ঘটনাতো আরএ অনেক বেশি কল্পনাতীত। আমাদের শব্দভান্ডারে আজীবনের মতো জুড়ে গেল লকডাউন, মাস্ক, করোনাভাইরাস, সামাজিক দূরত্ববিধির মতো শব্দ। বিশ্বজুড়ে কয়েকমাসের জন্য স্তব্ধ সবকিছু। ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ সবেতেই মন্দা। এক অজানা আতঙ্কে ভুগছেন সকলে। বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেরে ফেলতে হচ্ছে বাজার-দোকান। তবুও প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই মারণ ভাইরাসে। অনেকে যেমন এই ভাইরাসের লঙ্গে লড়াইয়ে হাসি মুখে ফিরে এসেছেন তেমনই আবার অনেককেই আমরা হারিয়েছি।

আনন্দ, উৎসব-অনুষ্ঠান গত বছরে সবই ছিল কোভিডের জাঁতাকলে। এবছর দুর্গাপুজো থেকেই মানুষ আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। গত বছরের তুলনায় ভিড় বেড়েছে প্যান্ডেলেও। যদিও সেখানে কোভিড বিধি মেনে চলা ছিল বাঞ্ছনীয়। উৎসবপ্রিয় বাঙালির Festive mood- শুরু হয়ে যায় পুজো থেকেই। দিওয়ালী, ভাইফোঁটা, বড়দিন…পিছু পিছু সব লেগেই থাকে। সব ভালর মধ্যে এবছর ফের ছন্দপতন। চেনা ভাইরাস রূপ বদলে এবার হাজির ওমিক্রন হিসেবে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম সংক্রমণ শুরু হওয়ার দিন পাঁচেকের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। ভারতেও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে ২৩৮। রোগ-লক্ষণ প্রকট না হলেও সাবধানে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যে ভাবে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসকরা। জ্বর-সর্দি-গলা ব্যথার মতো সামান্য উপসর্গ থাকলেও পরবর্তীতে তা যে প্রকট হবে না এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। উৎসবের মরশুমে কী ভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রেখে আনন্দে মাতবেন সে বিষয়ে আমরা পরামর্শ চেয়েছিলাম শহরের চিকিৎসক দ্বৈপায়ন মজুমদারের কাছে। কী বললেন দ্বৈপায়ন? পড়ুন…

বছর শেষে উৎসব, আড্ডা, পিকনিক, রাতের পার্ক স্ট্রিট, প্রায় সব কিছুই হয়ত মনে হবে আগের মত । ভুলে যেতে ইচ্ছে করবে গত বছর থেকে চলতে থাকা অতিমারি । মাস্ক ভুলে অথবা খুলে ঝলমলে আলোর নিচে অনেকেই হয়ত ছবি তুলবেন । ভুলে যাবেন দূরত্ববিধির সতর্কতা । অনেকেই হয়ত আসবেন দূর দেশ থেকে, কেউ ছুটি নিয়ে পাহাড় অথবা সমুদ্র । কিন্তু এসবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকবে বিপদ । যে কোন উৎসব, বড় জমায়েতের থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে ।

মনে রাখতে হবে অতিমারি এখনও শেষ হয়নি । এখনও কেউ কেউ দুটো ডোজ ভ্যাকসিন নেননি, অথবা কেউ হয়ত একটাও ডোজ নেননি । তাই অবিলম্বে যেটা জরুরি এই রকম ভিড় জায়গা একটু কম যাওয়া । একান্তই কোন অনুষ্ঠানে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে । বাইরে থেকে এসে ভাল করে হাত ধোয়া আবশ্যক । চোখে নাকে অপরিষ্কার হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকা ।

আর দিনের শেষে জ্বর অথবা কোভিডের অন্য কোন লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই টেস্ট করানো । অসুখ চেপে রাখলে সেটা বিপদ ডেকে আনে । শুধু নিজের না নিজের আশেপাশের লোকগুলোরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা বাড়ে । ভুলে যাবেন না, এই কয়েক মাস আগেই হাসপাতালের পরিস্থিতি, অক্সিজেনের কী পরিমাণ চাহিদা ছিল, প্রায় পুরো দেশ জুড়েই ।

তাই এই বড়দিনে যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চললে ভাল । নিজের কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে কেক না হয় বাড়িতেই খেলেন, সাবধানতা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ।

আরও পড়ুন: Omicron: ওমিক্রনের এই দুই উপসর্গের দেখলে সতর্ক হোন, এটি সাধারণ সর্দি থেকে আলাদা…