Stomach Upset: বমি-পায়খানা একসঙ্গে হচ্ছে? এই মরশুমে পেট খারাপ থেকে মুক্তি পেতে যেসব খাবার খাবেন
Nausea & Diarrhea: পেট খারাপ হলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে, তাই নুন-চিনির জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। নুন-চিনির জল বা ওআরএস-এর জল খেলে শরীরে এনার্জি আসে, কিন্তু পেট ভরে না। ডায়ারিয়া হলেও পেটকে ভর্তি রাখতে হবে। কী খাবেন, রইল টিপস।

একদিন খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম হলেই পেটের গোলমাল শুরু হয়ে যায়? বাইরের খাবার যত খাবেন, পেটের সমস্যা বেশি ভুগতে হবে। অনেক সময় বাড়ির তৈরি খাবার ভুল সময়ে খাওয়ার কারণেও পেট খারাপ করে যায়। জলে কোনও ব্যাকটেরিয়া মিশে থাকলে সেখান থেকেও ডায়ারিয়া হতে পারে। পেট খারাপের কোনও ঋতু থাকে না। পেট খারাপ করলে ঘন ঘন পায়খানা হয়, বমি হয়। তার সঙ্গে অসহ্য পেটের যন্ত্রণা। যেহেতু এই সময় শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ে, তাই নুন-চিনির জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। নুন-চিনির জল বা ওআরএস-এর জল খেলে শরীরে এনার্জি আসে, কিন্তু পেট ভরে না। ডায়ারিয়া হলেও পেটকে ভর্তি রাখতে হবে। পেট খারাপ হলে ভারী ও মশলাদার খাবার চলবে না। বরং, পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খেতে হবে। পেট খারাপ হলে সবসময় হালকা খাবার খান। কী-কী খাবেন, রইল টিপস।
ভাত: পেট খারাপেও ভাত খাওয়া যায়। সেদ্ধ ভাত, আলু সেদ্ধ ও নুন দিয়ে খেতে পারেন। সঙ্গে ডালের জল রাখতে পারেন। দুপুর কিংবা রাতে এই খাবার খেলে পেটও ভরবে এবং পেটের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।
চিকেন স্যুপ: শুধু চিকেন সেদ্ধর জল খান। চিকেন ব্রথের মধ্যে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও নিয়াসিন রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। চিকেন ব্রথের সঙ্গে সবজিও সেদ্ধ করতে পারেন। এতে দেহে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ও ক্যালোরি পাবেন, যা আপনাকে এনার্জি জোগাবে।
কলা: পেট খারাপ আর খিদেও পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কলা খান। কলা পুষ্টিকর ফল। এটি আপনার ক্লান্ত শরীরে এনার্জি জোগাবে। এনার্জি স্ন্যাকস হিসেবেও কলা খেতে পারেন। কলায় পটাশিয়াম রয়েছে, যা বমি ও ডায়ারিয়াকে প্রতিরোধ করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: বমি আর পায়খানা একসঙ্গে হলে মাছ-মাংস, ডিম খেতে পারেন। এগুলো শরীরে এনার্জি জোগাতে এবং পেটকে ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বমি বমি ভাবের উপসর্গকে প্রতিরোধ করে।
পেট খারাপ থেকে দ্রুত সুস্থ হতে আর যে নিয়ম মেনে চলবেন-
১) মিল স্কিপ করবেন না। ১-২ ঘণ্টার ব্যবধানে অল্প পরিমাণে খাবার খেতে থাকুন।
২) খাবার ভাল করে চিবিয়ে খান। যে কোনও পানীয়ও ধীরে ধীরে খান। তরল ও সলিড খাবার একসঙ্গে খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৩) বাইরের খাবার সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন। ভাজাভুজি, চর্বিযুক্ত খাবার, মিষ্টিযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলুন।
৪) পেট খারাপ থেকে দূরে থাকতে চাইলে মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। পাশাপাশি কফি এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে ভেষজ চা বা হার্বাল টি খেতে পারেন।
