Curcumin- Weight Loss: কারকিউমিনই কমাবে কোমরের মাপ, কোন খাবারে মিলবে এই যৌগ?

Health Benefits: বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমাতে গেলেই লাইফস্টাইলের উপর নজর দিতে হয়। কিন্তু হলুদ হল এমন একটি উপাদান যা আপনি যে কোনও লাইফস্টাইলের মধ্যে রাখতে পারেন। হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।

Curcumin- Weight Loss: কারকিউমিনই কমাবে কোমরের মাপ, কোন খাবারে মিলবে এই যৌগ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 10, 2023 | 9:30 AM

ওবেসিটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল গুগলেও সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয় ওজন কমানোর টিপস। তাছাড়া এই ওজন কমানো নিয়ে সারা বিশ্বে নানা গবেষণা হয়ে চলেছে। সম্প্রতি দ্য আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত থেকে জানা গিয়েছে, কারকিউমিন নামের যৌগ ওজন কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। এমনকী এই কারকিউমিন যৌগ নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম এবং মেটাবলিক সিন্ড্রোমের উপসর্গ কমাতেও সাহায্য করে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, এই কারকিউমিন যৌগ কী বা এই যৌগের জন্য কোন ধরনের ওষুধ খেতে হবে। কারকিউমিন যৌগের জন্য ওষুধের প্রয়োজন নেই। হলুদ খেলেই কাজ হবে। কারকিউমিন পাওয়া যায় হলুদের মধ্যে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমাতে গেলেই লাইফস্টাইলের উপর নজর দিতে হয়। কিন্তু হলুদ হল এমন একটি উপাদান যা আপনি যে কোনও লাইফস্টাইলের মধ্যে রাখতে পারেন। হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি যে সব হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে ওজন বাড়ে, সেগুলোকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

শরীরে চর্বি জমতে শুরু করলে তা লেপটিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং অ্যাডিপোনেক্টিনের মাত্রা কমে যায়। এটি অ্যাডিপোজ টিস্যুর কর্মহীনতা এবং দীর্ঘস্থায়ী নিম্ন-গ্রেড প্রদাহের কারণ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কারকিউমিন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা স্থূলতা বাড়ায়। ১,৬০০ টিরও বেশি ঘটনায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের পক্ষে ওজন কমানো কঠিন তাঁদের মধ্যে মেটাবলিক সিন্ড্রোম এবং এই সংক্রান্ত রোগ রয়েছে।

হলুদের মধ্যে পাওয়া যায় এই কারকিউমিন নামের জৈবিক যৌগ। আর হলুদ হল এমন একটি মশলা যা ভারতীয় রান্না এবং বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। আর হলুদের মধ্যে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান। এমনকী হলুদ খেলে আপনার বাতের ব্যথা, পেটের গণ্ডগোল এবং ডিপ্রেশন কমতে পারে।

হলুদের মধ্যে থাকা প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য স্মৃতিশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে। এটি বয়সের সঙ্গে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি অক্সিডেটিভ চাপ কমায় এবং হৃদরোগের হাত থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখে। বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধেও সক্ষম হলুদ। সুতরাং, সুস্থ থাকতে আপনাকে রোজের ডায়েটে হলুদ রাখতে হবে। এটাই কারকিউমিন যৌগ সেবনের সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায়।