Seasonal Affective Disorder: শীতকালে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশিই ঘুমাচ্ছেন? ক্লান্তি-বিষন্নতা কাটিয়ে মন ভাল রাখবেন কীভাবে?

শীতের মাসগুলি অনেকের কাছে যেমন মনোরম, তেমনি অনেকের জীবনে তা মারাত্মক হতে পারে। এই সময় চিনি-যুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করতে না পারেন, তাহলে আরও বেশি মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারেন।

Seasonal Affective Disorder: শীতকালে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশিই ঘুমাচ্ছেন? ক্লান্তি-বিষন্নতা কাটিয়ে মন ভাল রাখবেন কীভাবে?
ক্লান্তি-বিষন্নতা কাটিয়ে মন ভাল রাখবেন কীভাবে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2021 | 9:30 AM

শীতকাল মানেই উত্‍সবের মরসুম। রয়েছে বিয়ের মত আনন্দ-অনুষ্ঠানও। শিরশিরে ঠান্ডা আবহাওয়ায় নরম-গরম কম্বলের মধ্যে থেকে মুখ বের করে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফিতে তৃপ্তির চুমুক দেওয়া- এ এক উপরি পাওনা। কিন্তু অনেকের আবার এই ঋতু বিষন্নতায় ভরে থাকে। সবসময় একাত্মবোধ, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘুমান, নিয়মিত মেজাজ হারানো, বিষন্নতায় গ্রাস করে থাকে। এমন অবস্থাকে বিজ্ঞানের ভাষায় সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার বলা হয়। শীতের মাসগুলি অনেকের কাছে যেমন মনোরম, তেমনি অনেকের জীবনে তা মারাত্মক হতে পারে। এই সময় চিনি-যুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করতে না পারেন, তাহলে আরও বেশি মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মানসিক অসুস্থতার সাধারণ লক্ষণগুলি হল- অতিরিক্ত ঘুমানো, ক্রমাগত কম মেজাজ থাকা এবং কার্বোহাইড্রেট এবং শর্করার জন্য প্রবল আকাঙ্ক্ষা। এর ফলে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি হলে একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাসের উপর আঘাত হানে।

সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার

সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (এসএডি) হল এক ধরনের বিষন্নতা। যা মরসুমী বলা চলে। শীতকালে এই সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়, আবার বসন্ক বা গ্রীষ্মের শুরুতেও এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।

মনবিশেষজ্ঞের কথায়, এই ধরনের পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তির উত্‍পাদনশীলতা ও দৈনন্দিন জীবনধারাকে প্রভাবিত করে। যার ফলে সমাজের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। তবে এর পজিটিভ দিকও রয়েছে। কারণ এই সমস্যার সমাধান রয়েছে নিজেদের হাতেই। এর পরিচালনা করার উপায়ও আছে। এই গুরুতর মানসিক অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আগে থেকে ভালভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। তাহলেই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই মানসিক সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাবেন, তার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাই।

– প্রাকৃতিক আলোতে নিজেকে উন্মুক্ত করার চেষ্টা করুন- সকালে ঘুম থেকে উঠে যতক্ষণ সম্ভব ততক্ষণ রোদের তাপ গ্রহণ করতে পারেন। এর ফলে দিনের পুরোচা সময় সতেজ ও উদ্যোমীবোধ করার উত্‍স পাবেন।

কী খাচ্ছেন, সেদিকে নজর দিন- দিনে একবার ইচ্ছে হল, ক্যালোরি-সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। কিন্তু কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ এবং শর্করাযুক্ত খাবার একেবারেই খাবেন না। কারণ এতেই লুকিয়ে রয়েছে আসল রোগ। দরকার হলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা বানিয়ে রাখুন। দিনে যা খাবেন তা লিখে রাখুন। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ডায়েট প্ল্যান করা অতিআবশ্যক।

সক্রিয় থাকুন- শীতকালে অধিকাংশ মানুষই SAD-র সমস্যার মুখোমুখি হোন। কিন্তু এই মানসিক অসুস্থতা প্রথমদিকে নজরে আসে না। দিনের বেশিরভাগ সময়েই অলস অনুভূতি দেখা দেয়। তাই শরীরে শক্তি সঞ্চার করতে , মেজাজকে ফুরফুরে রাখতে কিছু শারীরিক কার্য়কলাপের দরকার। প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। পারলে একটু হেঁটেও আসতে পারেন।

অন্যকে সাহায্য করুন- বন্ধু, প্রতিবেশী বা পরিবারের মানুষজনকে সাহায্য করতে পারেন। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

আরও পড়ুন: Pollution: দূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিদিন এই ৫ ভেষজ খান! হাতেনাতে মিলব ফল