Cervical Cancer Awareness Month: একমাত্র সচেতনতাই পারবে এই মারণ রোগের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করতে

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Jan 21, 2022 | 7:00 AM

ক্যান্সার জনিত কারণে যে শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়, তার মধ্যে ১১ শতাংশ রোগীর মৃত্যুর কারণ সার্ভিকাল ক্যান্সার। এই কারণে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে সার্ভিকাল ক্যান্সার সচেতনতা মাস পালিত হয়।

Cervical Cancer Awareness Month: একমাত্র সচেতনতাই পারবে এই মারণ রোগের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করতে
প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে সার্ভিকাল ক্যান্সার সচেতনতা মাস পালিত হয়

Follow Us

বিশ্ব জুড়ে সার্ভিকাল ক্যান্সারে (Cervical Cancer) আক্রান্ত মহিলাদের (Women Health) সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১.২৫ লক্ষ মহিলা জরায়ুর মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হোন। উপরন্ত ক্যান্সার জনিত কারণে যে শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয় তার মধ্যে ১১ শতাংশ রোগীর মৃত্যুর (Death Rate) কারণ সার্ভিকাল ক্যান্সার। এই কারণে প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে সার্ভিকাল ক্যান্সার সচেতনতা মাস (Cervical Cancer Awareness Month) পালিত হয়।

এই পরিসংখ্যানটিও মর্মান্তিক যে, সার্ভিকাল ক্যান্সারের কারণে মহিলাদের মধ্যে মৃত্যু দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ। সার্ভিকাল ক্যান্সার সাধারণত হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। এটি প্রায় সব ধরনের সার্ভিকাল ক্যান্সারের সঙ্গে ঘটে।

যে এইচপিভি সংক্রমণ সাধারণত যৌন সংক্রমণ বা সংক্রামিত ব্যক্তির সঙ্গে ত্বকের যোগাযোগের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে এটিও অনেকবার দেখা গেছে যে, কিছু মহিলাদের জরায়ুর কোষের মধ্যে এইচপিভি সংক্রমণ অব্যাহত থাকে এবং পরে এটি জরায়ুর ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সার্ভিকাল ক্যান্সার জরায়ুর সঙ্গে সম্পর্কিত। সার্ভিক্স একটি পৃষ্ঠ দ্বারা আচ্ছাদিত এবং এই পৃষ্ঠের কোষেই সার্ভিকাল ক্যান্সার বাড়তে থাকে। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণ সার্ভিকাল ক্যান্সারের প্রধান কারণ। এই ভাইরাসের কারণে জরায়ুর পৃষ্ঠে উপস্থিত কোষগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। অনেক সময় এই ধরনের ক্যান্সারের কারণ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সঙ্গম, পিরিয়ড, অল্প বয়সে গর্ভধারণ এবং ধূমপানও হতে পারে।

সার্ভিকাল ক্যান্সারের উপসর্গ-

-সার্ভিকাল ক্যান্সারের প্রথম লক্ষণ অতিরিক্ত যোনি রক্তপাত। যখন নিকটবর্তী টিস্যুতে এই ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে তখন এই উপসর্গটি দেখা দেয়। এছাড়াও অতিরিক্ত পিরিয়ড বা দীর্ঘদিন ধরে পিরিয়ডও এই রোগের সাধারণ উপসর্গ।

– যৌন মিলনের সময় ব্যথা বা জ্বালাভাব অনুভব করাও এই রোগের একটি সাধারণ উপসর্গ। টিস্যু ও প্রজনন অঙ্গগুলির কাছাকাছি টিউমার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এই উপসর্গ দেখা দেয়।

-দুর্গন্ধযুক্ত যোনি স্রাব সার্ভিকাল ক্যান্সারের লক্ষণ। এই ক্ষেত্রে যোনি থেকে নির্গত স্রাব ফ্যাকাসে সাদা, গোলাপি, বা লালচে রঙের হতে পারে।

-এছাড়া কোমরে ব্যথা, খিদে কমে যাওয়া, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। এই ধরনের যে কোনও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

এই রোগ প্রতিরোধ করবেন কীভাবে-

সার্ভিকাল ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে সচেতনতা খুব জরুরি। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণ মহিলাদের মধ্যে সার্ভিকাল ক্যান্সারের ৯০ শতাংশের কারণ হিসেবে দেখা গেছে। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে এই সংক্রমণ এড়ানো যায়। এছাড়াও যৌন সঙ্গমের সময় সচেতন হওয়া জরুরি। একাধিক পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হবেন না।

নিয়মিত চেকআপ করান। সাধারণত এইচপিভি সংক্রমণ থেকে এই রোগ ক্যান্সারের আকার ধারণ করতে সময় লাগে ১০ থেকে ২০ বছর। আপনি যদি প্রথম থেকে সতর্ক থাকেন এবং নিয়মিত চেকআপ করান তাহলে বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই রোগ ধরা পড়ে যাবে। এর পাশাপাশি ধূমপান ত্যাগ করুন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। 

আরও পড়ুন: সচেতন হোন! থাইরয়েড সম্পর্কিত এই ভুল ধারণাগুলিকে ঝেড়ে ফেলে দিন

Next Article