
সাম্প্রতিক একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন এবং ওষুধ থাকা সত্ত্বেও, জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, যেসব শিশুর মধ্যে ডাউন সিনড্রোমের উপসর্গ থাকে, তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। এই কারণে আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন এবং কার্যকর পদ্ধতি খুঁজে বের করতে হবে এই রোগের হাত থেকে ছুটি পেতে। সম্প্রতি ডাউন সিনড্রোমের সঙ্গে যুক্ত আর্থ্রাইটিসের নাম পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন পেশ করেন গবেষকরা।
এর আগে চলুন ডাউন সিনড্রোম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। ডাউন সিনড্রোম এমন একটি ব্যাধি যা যেকোনও বয়সে শিশুকে প্রভাবিত করতে পারে। এমনকি ৬ মাসের বেশি বয়সের শিশুও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই ব্যাধির কারণে শিশুর ক্রোমোজোমের সংখ্যা বেড়ে যায়, যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে প্রভাবিত করে।
অন্যদিকে, জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিস হল শিশুদের মধ্যে একটি অটোইনফ্লেমেটরি রোগ। এই রোগ তখন দেখা দেয় যখন শরীরের ইমিউন সিস্টেম ভুল করে স্বাস্থ্যকর টিস্যুগুলিকে আক্রমণ করে যা শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টগুলিকে যুক্ত করে। এই আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে জিনগত কারণ এবং পরিবেশগত কারণও দায়ী থাকে। তবে যে সব শিশুরা ডাউন সিনড্রোমের শিকার, তাদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়।
গত কয়েক বছরে, ডাউন সিনড্রোমের আর্থ্রোপ্যাথির মধ্যে জুভেনাইল ইডিওপ্যাথিক আর্থ্রাইটিসের সমস্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই জিআইএ-এর চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকটি বায়োলজিক্সের ব্যবহার করা হয়েছে। তবুও কোনওভাবে এই রোগকে পুরোপুরি শেষ করে ফেলা যায়নি। সমস্যা হল, সঠিক চিকিৎসা না হলে এই আর্থ্রাইটিস দীর্ঘস্থায়ী আর্থ্রাইটিসে পরিণত হবে।
সম্প্রতি জিআইএ-তে আক্রান্ত ১৫৯৯ জন রোগীকে নিয়ে একটি ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড ডেটা অধ্যয়ন করা হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে সিনসিনাটি চিলড্রেন’স হসপিটাল মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা করা জিআইএ রোগীদের রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে ডেটা তৈরি করা হয়েছিল। গবেষণার প্রধান লেখক এবং সিসিএএমসির সিনিয়র গবেষক হারমায়োনি আই বার্নারের মতে, “বর্তমানে জেআইএ আক্রান্ত শিশুদের জন্য উপলব্ধ চিকিৎসার বিকল্পগুলির দ্রুত উন্নত এবং পরিবর্তন করা প্রয়োজন।” আমাদের এমন নতুন এবং কার্যকর থেরাপি দরকার, যা শিশুদের এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি দিতে পারে।
আরও পড়ুন: আপনার বাচ্চা কি ওমিক্রনে আক্রান্ত! ভাইরাস থেকে রক্ষা করবেন কীভাবে, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও, কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন? পড়ুুন চিকিৎসকের পরামর্শ
আরও পড়ুন: সাবধান! জানেন কি গাঁটে ব্যথার কারণ শুধু বাত নয়, বরং ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে