Omicron in Children: ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও, কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন? পড়ুুন চিকিৎসকের পরামর্শ
বাচ্চার পাশাপাশি সতর্কতা মেনে চলতে হবে অভিভাবকদেরও। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে, সব সময় মাস্ক পরতেই হবে। হাত না ধুয়ে যাতে বাচ্চা কোনও ভাবেই মুখে হাত না দেয় সেইদিকেও খেয়াল রাখুন
ওমিক্রনে বড়দের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। এমনকী শিশুরা অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কারণ একটাই , তাদের টিকাকরণ হয়নি। শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের হার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে, যে কারণে শুরু হয়েছে শিশুদের টিকাকরণও। শিশুদের মধ্যে যে ভাবে কোভিড সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরাও। তবে এখনও পর্যন্ত শিশুদের দেহে যে সব লক্ষণ দেখা দিয়েছে তা খুব একটা জটিল নয়। ডেল্টা কিংবা কোভিডের প্রথম ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব শিশুদের ফর ততটাও পড়েনি যতটা পড়ছে ওমিক্রনে।
তবে ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন অনেক দ্রুত ছড়াচ্ছে। একথা সকলেই জানেন। অজান্তেই অনেকে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন। ডেল্টার মতই ওমিক্রনে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। তবে ডেল্টার প্রভাব এখনও পুরোপুরি কাটেনি। যে কারণে ডেল্টা আর কোভিডের সংমিশ্রণেই জটিল হচ্ছে রোগ লক্ষণ। তবে সব ক্ষেত্রেই টিকা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে বুস্টার ডোজ এবং শিশুদের টিকাকরণের উপর এত বেশি জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ওমিক্রন আর সাধারণ ফ্লু এর লক্ষণ কিন্তু অনেকটাই একরকম। ঠান্ডা লাগা, নাক দিয়ে সর্গি পড়া, গলা ব্যথা, কাশি এসব হল সাধারণ ফ্লু এর লক্ষণ। আর ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে গলা ব্যথা, শুকনো কফ, জ্বর, সর্দি, শরীরে ব্যথার মত উপসর্গের কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। এমনকী কাশি থেকে হতে পারে শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণও। যে কারণে আরও বেশি সাবধনে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকরদের।
যেহেতু বাচ্চাদের এখনও টিকাকরণ হয়নি তাই মাস্ক বাধ্যতামূলক। সব সময় মাস্ক পরতেই হবে। সেই সঙ্গে বাড়ির বাইরে যতটা সম্ভব কম যাওয়ার চেষ্টা করুন। ভিড়, ভ্রমণ এসব এড়িয়ে চলুন। সব সময় হাত ধুয়ে খাওয়া, স্যানিটাইজারের ব্যবহার এসব অভ্যাস করান। বাড়ির বাকি সদস্যদেরও কিন্তু সাবধানে চলাফেরা করতে হবে। তাঁদের মারফত সন্তান কিংবা বাড়ির বয়স্করা যাতে সংক্রমিত না হন সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
বাচ্চারা শেখে বাড়ির বড়দের দেখেই। তাই এমন কিছু আচরণ করবেন না যা বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকারক। পরামর্শ মুম্বইয়ের গ্লোবাল হাসপাতালের সিনিয়র কনসাল্টট্যান্ট ডাঃ হরিশ সাফলের। তিনি আরও বলেন, একমাত্র সঠিক মাস্কের ব্যবহারই আমাদের পূর্ণ সুরক্ষা দিতে পারে। বাড়ির বড়রাই বাচ্চাদের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠুন। তাঁদের মাস্ক পরতে শেখান। সেই সঙ্গে তারা যাতে সব সময় হাত ধোওয়ার মত সতর্কতা মেনে চলে, কোনও ভাবেই হাত মুখে না দেয় সেদিকেও খেয়াল রাকা জরুরি। এই সময় বাইরের খাবার একদম নয়। বাচ্চাকে বাড়ির তৈরি পুষ্টিকর খাবার দিন। প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। গরম দুধে মধু আর কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে টিকাকরণও কিন্তু সমান ভাবে জরুরি।
আরও পড়ুন: covid-omicron symptoms: তুলনায় কম পরিচিত ত্বক, ঠোঁট, নখের এই লক্ষণগুলিও হতে পারে করোনার উপসর্গ!