উচ্চতা এবং ওজনের পরিমাপক একক হল বিএমআই (BMI) বা বডি মাস ইনডেক্স। চোখে দেখে কোনও ব্যক্তি রোগা নাকি মোটা তা কিন্তু বলা যায় না। বরং তার ওজন এবং উচ্চতার সঠিক পরিমাপ আগে হিসেব করে বের করা প্রয়োজন। উচ্চতা এবং ওজনের অনুপাত যদি ঠিক না থাকে তখনই কিন্তু সমস্যা বেশি হয়। তবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বডি মাস ইনডেক্স কিন্তু বেশি হয়। সম্প্রতি সমীক্ষা বলছে যে সব কোভিড আক্রান্তদের বডি মাস ইনডেক্স (BMI) বেশি তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু কোভিডের জটিলতাও (Over Weight) বেশি থাকে। বলা ভাল, স্বাস্থ্য ঝুঁকি এক ধাক্কায় বেড়ে যায় অনেকখানি। PLOS-এ প্রকাশিত এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর লোভিসা সজোগ্রেন। তিনিই জানান, যাঁদের বিএমআই বেশি, কোভিড-১৯- এ আক্রান্ত হলে তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকিও বেশি থাকে।
গবেষকরা সুইডেনের প্রায় ১,৬৪৯ জন কোভিড আক্রান্তের উপর এই সমীক্ষা চালান। আক্রান্তেরা সকলেই কোভিড আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গবেষণায় দেখা যায় আইসিইউ-তে ভর্তি এবং অতিরিকিত ওজনের সমস্যা রয়েছে এমন রোগীদের ৭৮.৩ শতাংশের মধ্যেই মৃত্যু ঝুঁকি সর্বাধিক। আর বেশিরভাগই ১৪ দিন আইসিইউ-তে থেকে লড়াই করে শেষপর্যন্ত মারা গিয়েছেন। অতিরিক্ত ওজন বা বিএমআই বেশি থাকলেই সেখানে ডায়াবিটিস, উচ্চরক্তচাপ, লিভার বা কিডনির অসুখ আসেই। যাঁদের কোনও কোমর্বিডিটি থাকে এবং সেই সঙ্গে কোভিডে আক্রান্ত হন তাঁদের সব সময়ই চিকিৎসকরা যত্নে থাকতে বলেন। এক্ষেত্রে তাঁদের প্রথম থেকেই সাবধানে থাকতে হবে। COVID-19 এ আক্রান্ত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাঁদের কেও তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয়েছিল। আর এরপরই কিন্তু এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান গবে।ক চিকিৎসকরা।
কোভিড সংক্রমণের শুরুর দিকেই দেখা গিয়েছিল যাঁদের বয়স বেশি মূলত ষাটোর্ধ্বরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে পরবর্তীতে যদিও দেখা গিয়েছে যাঁদের ডায়াবিটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনির সমস্যা, লিভারের সমস্যা এসব রয়েছে- মোট কথা যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম তাঁরা কোভিড সংক্রমণের কবলে পড়ছেন সবথেকে বেশি। যেহেতু আগে থেকেই কিছু না কিছু সমস্যা থাকছিল, সেহেতু কোভিড থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হতেও কিন্তু অনেকটা সময় লাগছিল। এমনকী নানা শারীরিক জটিলতাও অন্য আক্রান্তদের তুলনায় বেশি হচ্ছিল।
ওজন বেশি হলে শরীরে একাধিক সমস্যা আসে। আর তাই সব বয়সের সকলেরঅ উচিত এই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলো অনেক সমস্যারই সহজ সমাধান সম্ভব। এছাড়াও কোভিড রুখতে বারবার প্রোটিন খাওয়ার উপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলে নজর রাখুন ডায়েটেও।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।