Covid Vaccine And Mental Health: কোভিড ভ্যাকসিন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে আদৌ কোনও সংযোগ আছে? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা…
Covid Vaccination: ভ্যাকসিন সম্পর্কিত যে কটি গবেষণা সামনে এসেছে সেই সবকটিতেই প্রমাণিত ভ্যাকসিন কমাতে পারে কোভিড মৃত্যুঝুঁকি। ভ্যাকসিন নিলে যে একেবারেই সংক্রমণের সম্মুখীন হতে হবে না তা নয় কিন্তু উপসর্গ খুব একটা জটিল হবার সম্ভাবনা কম
গত দু’বছরে বিশ্বজুড়েই বদল এসেছে জীবনযাত্রায়। সেই সঙ্গে মানসিকতাতেও। রোজকার চেনা জীবনছন্দে পড়েছে ছেদ। বিশ্বজুড়েই দেখা দিয়েছে আর্থিক সংকট। পর্যটন থেকে শিল্প -সবকিছুতেই পড়েছে কোভিডের (COVID-19) প্রভাব। গত দুই তরঙ্গে প্রচুর মানুষ যেমন প্রাণ হারিয়েছেন তেমনই অনেকের কাজ চলে গিয়েছে। দীর্ঘ লকডাউনে মুখ থুবড়ে পড়েছে সবকিছুই। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এসেছে ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যেই কোভিড টিকার দুটো ডোজ প্রায় সকলেই নিয়েছেন। দেশ জুড়েই দেওয়া হচ্ছে কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ। কোভিড ঠেকাতে যাবতীয় নিয়মবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা সব সময়ই জোর দিচ্ছেন টিকাকরণে (Coronavirus Vaccine)। একমাত্র টিকাকরণই পারে কোভিড ঝুঁকি কমাতে ( Covid Death)।
গত নভেম্বর মাসের শেষ থেকে যে ভাবে নয়া কোভিড ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে তাতে আরও বেশি জোরদার করা হয়েছে টিকাকরণ। তবে কোভিড আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও কিন্তু প্রভাব ফেলেছে। অর্থনৈতিক ক্ষতি, চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি অনেকেই। এছাড়াও দীর্ঘ সময় ধরে বাড়িতে বসে কাজ করার ফলে গ্রাস করেছে মানসিক অবসাদও।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়েছে কোভিড টিকার প্রভাব রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যেও। সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ (CESR) এর গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য। কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রভাব ফেলছে মানস্ক স্বাস্থ্যের উপরেও। ৮,০০৩ জন প্রাপ্ত বয়স্কের উপরই চালানো হয় এই সমীক্ষা। ১০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাঁদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়। সেখানেই বলা হয়েছে যাঁরা ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে মানসিক অবসাদ বা মানসিক কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এই সময়ের পর যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য কোনও না কোনও ভাবে বিঘ্নিত। যদিও ভারতীয় গবেষকরা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে এই গবেষণাটি কোনও ভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। সেই সঙ্গে এরকমও বলেছেন দেশে দেশে এই ধরণের গবেষণায় ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের সঙ্গে মানসিক অবসাদের কোনও সম্পর্ক নেই।
ভ্যাকসিন সম্পর্কিত যে কটি গবেষণা সামনে এসেছে সেই সবকটিতেই প্রমাণিত ভ্যাকসিন কমাতে পারে কোভিড মৃত্যুঝুঁকি। ভ্যাকসিন নিলে যে একেবারেই সংক্রমণের সম্মুখীন হতে হবে না তা নয় কিন্তু উপসর্গ খুব একটা জটিল হবার সম্ভাবনা কম। আর তাই যাঁরা এখনও ভ্যাকসিন নেননি, তাঁদের বার বার টিকাকরণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কোভিড টিকার দুটো ডোজ নেওয়া থাকলে বুস্টার ডোজও নিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ভ্যাকসিনের প্রভাবে সামান্যই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকছে। কিন্তু ভ্যাকসিন নিরাপদ নয় এরকমটা কেউ বললেনি। এমবকী ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শারীরিক সমস্যা জটিল হয়েছে, তেমনও কোনও প্রমাণ নেই।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Smelly Urine: প্রস্রাবে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ? জটিল কোনও রোগের ইঙ্গিত নয় তো!