
স্থুলতার কারণে যে সব রোগ শরীরে বাসা বাঁধে, তার মধ্যে অন্যতম ফ্যাটি লিভার। চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খেলে কিংবা মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ে। মূলত অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়ার ফলেই লিভারে মেদ জমা হতে থাকে। সময়মতো সাবধান না হলে এবং চিকিৎসার সাহায্য না হলে এখান থেকে লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের মতো হরমোনজনিত সমস্যা থাকলে সেখান থেকেও ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তবে, শুধু যে খাওয়া-দাওয়ার কারণে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ে, তা নয়। শরীরচর্চার অভাবও এই রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। সুতরাং, ফ্যাটি লিভারের হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে আপনাকে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি শরীরচর্চার উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যোগাসনের উপর ভরসা রাখতে পারেন। কোন কোন যোগাসন করলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমবে, রইল টিপস।
ধনুরাসন: এই যোগাসন লিভারকে প্রসারিত করে এবং লিভারের কার্যকারিতাকে সক্রিয় করে তোলে। নিয়মিত ধনুরাসন করে আপনি সহজেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারেন। উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাঁটু ভাঁজ করে দু’হাত দিয়ে গোড়ালি দুটো ধরুন। এবার পুরো শরীরটা তুলে ধরুন। ১০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন।
ভুজঙ্গাসন: এই যোগাসন লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটা খুব সহজ এটি যোগব্যায়াম। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে এই ভুজঙ্গাসন করতে হবে। তবেই ফ্যাটি লিভার এবং লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি কমবে। উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাত দুটো কাঁধের দু’পাশে রাখুন। এবার ধীরে ধীরে কাঁধ মাটি থেকে তুলুন, ১০ সেকেন্ড এভাবে থাকুন তারপর আবার শুয়ে পড়ুন।
কপালভাতি: প্রতিদিন কপালভাতি যোগাসন করলে সহজেই লিভারকে সুস্থ রাখা যায়। এই যোগাসনও শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ায়। এই উপায়েও আপনি লিভারকে সুস্থ রাখতে পারবেন। পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বসুন। এই অবস্থায় নিঃশ্বাস ছাড়ুন। এটা আপনাকে ২০ সেকেন্ড করতে হবে। মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি নিন। তারপর আবার করুন। এভাবে ৩০ মিনিট এই ব্যায়াম করুন।
হলাসন: লিভারের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে আপনি হলাসনও করতে পারেন। সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত মাটিতে রাখুন। এবার অ্যাক্সেলের সঙ্গে পা দু’টিকে ধীরে ধীরে শিরদাঁড়ার জয়েন্ট মাথার উপর দিয়ে মাটিতে ফেলুন। এই অবস্থায় ১০ সেকেন্ড থাকুন। নিয়মিত এই ব্যায়ামগুলো করলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমতে পারে।