Dengue Prevention: ডেঙ্গুর জ্বর থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এই স্বাস্থ্যবিধিগুলো অবশ্যই মেনে চলুন…
যদি আপনার ডেঙ্গু ধরা পড়ে তবে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, এছাড়াও আপনি ডঃ দীক্ষা ভাবসারের দেওয়া নিম্নলিখিত টিপস অনুসরণ করতে পারেন।
দেশজুড়ে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় আমাদের বিভিন্ন ধরনের সতর্কতা মেনে চলতে হবে। ফুল হাতা জামা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমনোর সময় মশারির ব্যবহার এই নতুন ভয়াবয় সংক্রমণের হাত থেকে আমাদের কিছুটা বাঁচাতে পারে। এছাড়াও ডাক্তাররা খাবারের রুটিন আর সুস্থতার আরও নানান পরামর্শ দিচ্ছেন প্রতিদিন।
ডেঙ্গু জ্বরের সাধারণ লক্ষণগুলি হল খুব বেশি পরিমাণে জ্বর, মাথাব্যথা, সারা শরীর জুড়ে মারাত্মক ব্যথা, পিঠের ব্যথা, বমি বমি ভাব, খিঁচুনি। আপনি যদি এই উপসর্গগুলির মধ্যে কোনোটি অনুভব করেন, তাহলে এই মুহূর্তেই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ডেঙ্গুতে প্লেটলেটের সংখ্যাও খুব বেশি পরিমাণে কমতে থাকে। এই সময় তাই পর্যাপ্ত হাইড্রেশন প্রয়োজন। এছাড়াও সহজে হজম হয়ে যায় এমন খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
যদি আপনার ডেঙ্গু ধরা পড়ে তবে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, এছাড়াও আপনি ডঃ দীক্ষা ভাবসারের দেওয়া নিম্নলিখিত টিপস অনুসরণ করতে পারেন।
বিশ্রাম:
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া বাধ্যতামূলক। ঘুম আমাদের রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই যতটা বেশি সম্ভব বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।
জল:
সারাদিনে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান করতে হবে। ফলের রস (চিনি ছাড়া) একটি ভাল বিকল্প। প্রচুর পরিমাণে জল খেলে ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
যে খাবারগুলি খাবেন এবং এড়িয়ে যাবেন:
আমলা, কিউই, কমলালেবু এবং আনারসের মতো সাইট্রাস ফল খান। ডালিম এবং পেঁপে খাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনি সবজির স্যুপও খেতে পারেন। বাড়িতে রান্না করা হালকা খাবার যেমন খিচুড়ি এবং মুগ ডালের স্যুপ খান। মাখন হাইড্রেশনের জন্যও ভাল এবং হজমে সাহায্যও করে। গমের রুটি এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে জোয়ারের রুটি খান। এগুলি সহজেই হজম হয়ে যেতে পারে। ডেঙ্গুর সময় ফাস্ট ফুড খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এছাড়াও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
প্রতিকার:
পেঁপে পাতার রস (২০ মিলি দু’বার থেকে তিনবার) পান করুন। এটি প্লেটলেট উন্নত করতে খুব কার্যকর। যদি আপনার এটা খেতে তিতে লাগে, সেক্ষেত্রে আপনি এর মধ্যে অল্প পরিমাণে মধু যোগ করতে পারেন।
সেরে ওঠার পর:
তরল পদার্থ যেমন নারকেল জল, চুনের জল, মৌরি জল, চিনি ছাড়া তাজা ফলের রস প্রচুর পরিমাণে খেতে থাকুন। পাশাপাশি অবশ্যই বেশি পরিমাণে জল খান। এগুলি আপনাকে ডেঙ্গু পরবর্তীকালে স্বাভাবিক জীবনযাপন ফেরাতে সাহায্য করবে। ভিটামিন ডি-এর জন্য যতটা সম্ভব রোদে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। চিনি জাতীয় খাবার এবং ফাস্ট ফুডের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মধ্যে তফাৎ না করেই কোনওরকম ওষুধ খাবেন না!
আরও পড়ুন: আমাদের বিপাক ক্রিয়ার গুরুতর ক্ষতির জন্য আমাদের প্রতিদিনের এই অভ্যেসগুলোই দায়ী!