Anxiety: ঘন ঘন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন? অস্থিরতা বোধ করছেন? এক গ্লাস জল পান করুন

Mental Health: মানুষ বহু ক্ষেত্রে অ্যানজাইটির শিকার হয়। এই সমস্যা থেকে সাময়িক ভাবে আপনাকে আরাম দিতে পারে এক গ্লাস জল।

Anxiety: ঘন ঘন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন? অস্থিরতা বোধ করছেন? এক গ্লাস জল পান করুন
মানুষ বহু ক্ষেত্রে অ্যানজাইটির শিকার হয়Image Credit source: istockphoto.com
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 30, 2022 | 9:28 AM

অস্থির বা উদ্বিগ্ন বোধ করছেন? নিজেকে শান্ত করতে এক গ্লাস জল পান করুন। শরীরের এই অস্থিরতা স্বাভাবিকভাবেই চলে যাবে। প্রত্যেক মানুষের জীবনে এমন একটি সময় আসে যখন সে খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ে। মানসিক চাপ, (Mental Stree) উদ্বিগ্ন, নার্ভাসনেস, ভয় ইত্যাদি দেখা দেয়। এক কথায় বললে, মানুষ বহু ক্ষেত্রে অ্যানজাইটির (Anxiety) শিকার হয়। পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আছে যারা উদ্বেগজনিত পরিস্থিতিতে ভোগে। গত কয়েক বছরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সের ছেলেমেয়েরা এই ধরনের সমস্যায় বেশি ভুগছেন। মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) থাকলে সেখানেও গোলযোগ দেখা দিতে পারে। অ্যানজাইটি এমনই একটি সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যা থেকে সাময়িক ভাবে আপনাকে আরাম দিতে পারে এক গ্লাস জল।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টিবিদদের মতে, আমরা যা খাবার খাই তা আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। এর পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যকেও উন্নত করার জন্য এই পুষ্টির দরকার। আর যেহেতু আমাদের শরীরের ৬০-৮০% জল রয়েছে, তাই এই বিষয়টিও এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। গবেষণা বলেছে জল অনেকাংশে উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, শরীরে জলের অভাব বা ডিহাইড্রেশন অ্যানজাইটির সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

আমাদের শরীরই সংকেত দেয় যে কখন আমাদের জল পান করা দরকার। এই কারণেই গরমকালে আমাদের ঠান্ডা জল খাওয়ার পিপাসা বেশি হয়। বেশ কয়েক বছর আগে, একদল গবেষক একটি পর্যালোচনা পরিচালনা করেছিলেন যার বিষয় ছিল হাইড্রেশন স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে কিনা। এর ফলাফল বেশ আশাব্যঞ্জক ছিল। সামগ্রিকভাবে, এর থেকে জানা গিয়েছে যে, ক্লান্তির মতো নেতিবাচক আবেগ, রাগ, উদ্বেগ, বিভ্রান্তি এবং মানসিক চাপের সঙ্গে শরীরে জলের অভাব বেড়ে যায়।

ওই গবেষণার ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীরা ডিহাইড্রেটেড ছিলেন এবং দেখা গিয়েছে যে তাদের মধ্যে চাপ, ক্লান্তি এবং অস্থিরতা বেড়েছে। গবেষকরা দেখেছেন যে যারা প্রচুর পরিমাণে জল পান করেন তাঁরা শান্ত থাকেন। বরং যাঁরা কম জল পান করেন তাঁরা কম শান্ত, কম সন্তুষ্ট এবং বেশি চাপ অনুভব করেন, বিশেষত যখন তাঁদের শরীরে জলের স্তর কমে যায়।

অন্য আর একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যাঁরা ৫ বা তার বেশি গ্লাস জল পান করেন তাঁদের মধ্যে এই মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের ঝুঁকি কম। এর পাশাপাশি যদি দুই গ্লাসের কম জল পান করা হয়, তবে এই ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়। আসলে, আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা জলের উপর নির্ভর করে। এর কারণ হল মস্তিষ্কের ৭৫% টিস্যু জল। জলের অভাব মস্তিষ্কে শক্তি উৎপাদন করতে পারে না এবং মস্তিষ্কের গঠন পরিবর্তন হয়ে যায়। যার ফলে মস্তিষ্ক ধীর হয়ে যায় এবং সঠিকভাবে কাজ করে না। জলের মাত্রা খুব কম হলে আমাদের মস্তিষ্কের কোষ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।

আমাদের কোষগুলি এই জল অভাবের সংকেত দেয় শরীরে অস্থিরতার মাধ্যমে, যা উদ্বেগ সৃষ্টি করে। সেরোটোনিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার (মস্তিষ্কের কোষগুলির মধ্যে একটি রাসায়নিক বার্তাবাহক) যা আমাদের মেজাজকে স্থিতিশীল করে এবং আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে। জলের অভাবে এই মস্তিষ্কে সেরোটোনিন তৈরিতে আমাদের বিশেষত কসরত করতে হয়। যার জন্য মেজাজও পরিবর্তন হয়। এমনকি শরীরে আধ লিটার জলের অভাব থাকলেও তা স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল বাড়াতে পারে, যা উদ্বেগ সহ অনেক মানসিক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

আরও পড়ুন: গরমে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি! হার্টের রোগীরা কীভাবে নিজেদের খেয়াল রাখবেন?