আমাদের কর্মজীবন পুরোপুরি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্ক্রিনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের চোখ। অন্যদিকে, অনলাইন ক্লাস চলায় একই ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের চোখও। তাই দেরি হয়ে যাওয়ার আগে নিজের চোখের যত্ন নিন।
প্রতীকী ছবি
Follow Us
করোনার কারণে মানুষের জীবনযাত্রা অনেকটাই পালটে দিয়েছে। বাড়ির মধ্যেই ক্রমশ অফিস হয়ে উঠছে। এখনও অনেকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন। আমাদের কর্মজীবন পুরোপুরি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ স্ক্রিনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের চোখ। অন্যদিকে, অনলাইন ক্লাস চলায় একই ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের চোখও। তাই দেরি হয়ে যাওয়ার আগে নিজের চোখের যত্ন নিন।
চিকিৎসক নিতিকা কোহলি যিনি একজন আয়ুর্বেদিক ডাক্তার, তিনি ইনস্টাগ্রামে নিজের অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন আমাদের চোখের যত্ন নিতে হয়। তার ক্যাপশনে লেখা ছিল “আমাদের চোখ আগের চেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে, বিশেষ করে গত কয়েক দশকে মোবাইল এবং ল্যাপটপ ব্যবহারের জন্য। এই অতিরিক্ত ব্যবহার মাথাব্যথা, চোখে জ্বালাভাব বা শুষ্ক চোখ, অন্ধকার বৃত্ত এবং দৃষ্টি সম্পর্কিত নানা সমস্যার আকারে চোখের ওপর চাপের বিভিন্ন লক্ষণ তৈরি করছে।”
এই পরিস্থিতিতে আয়ুর্বেদিক উপায়ে কীভাবে চোখের যত্ন নেবেন তারও টিপস শেয়ার করেছেন নিতিকা। দেখে নিন সেগুলি কী কী-
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে (টয়লেট ব্যবহারের আগে বা পরে), আপনার মুখ জল ভরে নিন এবং চোখ বন্ধ করে কয়েক সেকেন্ডের জন্য ধরে রাখুন। এরপরে সেই জল ফেলে দিন মুখ থেকে। এটি প্রতিকারটি ২-৩ বার করুন প্রতিদিন সকালে।
ত্রিফলা: চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ত্রিফলা। এর জন্য আপনি ত্রিফলা ভেজানো জল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে পারেন অথবা আইওয়াশ ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
ষট-কর্ম: আয়ুর্বেদে শরীর পরিষ্কার, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ, শরীরকে শক্তিশালী করে তোলা এবং রোগ মুক্ত করার ছয়টি শুদ্ধিকরণ কৌশল বর্ণনা করা হয়েছে এই ষট-কর্মে। তাদের মধ্যে, নেটি এবং ত্রাতক শুষ্ক চোখ এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য সর্বোত্তম আয়ুর্বেদিক প্রতিকার হিসাবে কাজ করে।
আপনার চোখে এবং মুখে ১০-১৫ বার শীতল বা স্বাভাবিক জল দিয়ে ছেটা দিন। আপনি কাজ থেকে ফিরে সন্ধ্যায় আবার এই প্রতিকারটির পুনরাবৃত্তি করুন।
অঞ্জন: অঞ্জন হল চোখের ভাল স্বাস্থ্য প্রসারের জন্য চোখের পাতার অভ্যন্তরীণ অংশে প্রয়োগ করা একটি আয়ুর্বেদিক প্রস্তুতি।
সর্তকতা: কখনও চোখে গরম বা বরফের জল ব্যবহার করবেন না। এছাড়াও, আকস্মিক তাপমাত্রা পরিবর্তন এড়িয়ে চলুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি গরম এবং ঘেমে থাকেন তাহলে আপনার মুখ এবং চোখে ঠান্ডা জল ছিটিয়ে দেওয়ার আগে, ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন, যতক্ষণ না আপনার শরীর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসছে।