AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভাং-গাঁজা খাওয়ার পর মিষ্টি খেলে নেশা চড়ে? ডাক্তাররা কী বলছেন শুনুন

অনেকেই বলেন, নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ার পর মিষ্টি খেলে নেশা নাকি বেড়ে যায়। আদৌ তা কি সত্যি? জেনে নিন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ।

ভাং-গাঁজা খাওয়ার পর মিষ্টি খেলে নেশা চড়ে? ডাক্তাররা কী বলছেন শুনুন
ভাং-গাঁজা খাওয়ার পর মিষ্টি খেলে নেশা চড়ে? ডাক্তাররা কী বলছেন শুনুনImage Credit: Henrik Sorensen/DigitalVision/Getty Images
| Updated on: Mar 15, 2025 | 1:34 PM
Share

বসন্তের মিষ্টি হাওয়া মন জুড়িয়ে দিচ্ছে। সঙ্গে আবির খেলা। যেন মিলেমিশে একাকার। হোলি মানেই অনেকের কাছে রং খেলে কাটিয়ে দেওয়া। আবিরে রাঙিয়ে ভূত হওয়া। নাচ, গান, আনন্দের সঙ্গে দেদার খানাপিনা। খানা যাই থাকুন না কেন, পিনা-তে অর্থাৎ পানীয়তে ঠান্ডাই না থাকলে হোলি জমে না। আর সেই সুস্বাদু ঠান্ডাইতে যদি থাকে ভাং, তা হলে তো কথাই নেই। দোলের দিন অনেকেই ভাং খান। এ ছাড়া অন্য নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করেন বা খান। আর এই অবস্থায় বসন্তের মিহি হাওয়া গায়ে লাগতেই স্বর্গের মতো অনুভূতি হয়। অনেকেই বলেন, নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ার পর মিষ্টি খেলে নেশা নাকি বেড়ে যায়। আদৌ তা কি সত্যি? জেনে নিন কী বলছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।

অনেকেই বলেন, যে সিদ্ধি বা ভাং খাওয়ার পর মিষ্টি খেলে নেশার পরিমাণ বেড়ে যায়। এই বিষয়ে জানার জন্য TV9Bangla-র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সায়ন গুপ্তর সঙ্গে। তাঁর কথায়, “কে কী ধরণের নেশা করছেন, তার উপর নির্ভর করছে পুরোটাই। অ্যালকোহল খাওয়ার পর যদি সিম্পল কার্বোহাইড্রেট খাওয়া হয়, তা হলে অ্যালকোহল রক্তের সঙ্গে সহজে মিশতে পারবে না।”

অ্যালকোহল ছাড়া অনেকেই ভাং, গাঁজা বেছে নেন নেশা করার জন্য। গাঁজা খেলে যে নেশা হয়, ঘোর ঘোর লাগে তার পরিমাণ মিষ্টি খেলে বাড়ে বহুগুণ। এ কথা বহুল প্রচলিত। এমনটা অবশ্য বলছেন না বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই সংক্রান্ত তথ্য এখনও প্রমাণিত হয়নি। চিকিৎসক সায়ন গুপ্ত বলেছেন, “গাঁজা বা টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (THC) তা খাওয়ার পর সুগার জাতীয় খাবার বা মিষ্টি খেলে যে হ্যাংওভার বেশি থাকে, অনেকেই বলেন, তেমনটা কিন্তু নয়। এটা একটা মিথ।”

হোলির দিন অতিরিক্ত মদ্যপান করে, ভাং খেয়ে অনেকেই বেসামাল হয়ে পড়েন। পরের দিন এর হ্যাংওভার কাটতে চায় না। তার জন্য সারাদিন অল্প অল্প জল খেলে দ্রুত হ্যাংওভার কাটবে। ফলের রসও খাওয়া যেতে পারে। গ্রিন টি, হার্বাল টি পান করাও ভালো।