হোলি
সারা ভারতে সব ঋতুতেই রয়েছে বিভিন্ন উত্সব অনুষ্ঠান। তার মধ্যে রঙের উত্সব হল অন্যতম। উত্তরে হোলি বলে বেশি পরিচিত, কিন্তু বাংলায় এই রঙের উত্সবকেই দোলযাত্রা বা বসন্ত উত্সব বলে পরিচিত। হোলি বা দোলযাত্রায় তিনটি অঙ্গ। পঞ্জিকা মতে, ফাল্গুন মাসের শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে বুড়িনেড়া বা ন্যাড়াপোড়া, যা উত্তরে হোলিকা দহন নামে পরিচিত, দ্বিতীয় দিন বা পরের দিন রাধাকৃষ্ণের পুজো করে দোলায় বসিয়ে নানা রঙের আবির নিয়ে খেলা। পরের দিন রঙ ও আবির নিয়ে সকলের সঙ্গে মেতে ওঠার উত্সব, যা সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। বর্তমানে, সনাতন হিন্দু ধর্মের গণ্ডি ছাড়িয়ে সব ধর্মের কাছে হোলি বা রঙের উত্সব শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সারা বিশ্বের কাছেই এই উত্সব বেশ আকর্ষণেরও বটে। হিন্দু ছাড়া বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত ধর্মের কাছেও হোলি উত্সব বেশ গুরুত্বের ও তাত্পর্যের। হোলি বা দোলযাত্রার অর্থ একই। শুধু পৌরাণিক কাহিনিগুলি যা আলাদা। দোলযাত্রার পিছনে রয়েছে রাধাকৃষ্ণের প্রেমকাহিনি। বসন্তে প্রেমের উত্সব হিসেবেও পালন করা হয় এই উত্সব। দোলযাত্রা বা হোলি উৎসব হল দেশের এক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম দিক। এদিন সকলেই নিজের অতীতের ভুলগুলি শুধরে এগিয়ে যাওয়ার ব্রতী হন। ঝগড়া-বিবাদ ভুলে সকলের মন জয় করতে ও ক্ষমা করে দেওয়ার দিন। বসন্তের আগমনে মানুষ নতুন বন্ধু পাতানোর উত্সব পালন করেন।