Holi 2025: ভাং-এর পেটেন্ট আছে কার কাছে? কী ভাবে দোলে চালু হল এই প্রথার?
Holi 2025: ভাং খাওয়ার মূল উদ্দেশ্য একটাই, হোলির দিনে একটু বেসামাল হয়ে যাওয়া। আসলে এটি খেলেই লোপ পায় আপনার মস্তিষ্কের সাধারণ কর্মক্ষমতা।

‘রং বরষে ভিগে চুনারওয়ালি, রং বরষে’ হোলি মানেই এই গান, সঙ্গে ঠান্ডাই খাওয়া। ভাং মেশানো ঠান্ডাই না খেলে যেন জমেই না হোলি খেলা। দুধ, ভাং, কাজু, আমন্ড, সন্দেশ বরফ দিয়ে বানানো সেই ঠান্ডাই গলা দিয়ে নামার পরে বসন্তের কোমল হাওয়া গায়ে লাগলেই যেন স্বর্গসুখ।
যদিও ভারতে গাঁজা, চরস ইত্যাদি উপাদান যা গাঁজা গাছ থেকে মানে মারিজুয়ানা বা ক্যানেবিস গাছ থেকে তৈরি হয়, সেই সব উপাদান নিষিদ্ধ। তবে গাঁজা গাছ থেকে তৈরি এই একটি জিনিস খাওয়ার চল হাজার হাজার বছরের পুরনো হলেও, তা খাওয়ায় কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। গাঁজা গাছের পাতা এবং ফুল শুকিয়ে তৈরি করা হয় ভাং। বিক্রি হয় কালো গোল গোল মণ্ডর মতো করে। তাই গুঁড়ো করে কখনও মিশিয়ে শরবতে, কখনও পকোড়ার মতো করে ভেজেও খায়।
ভাং খাওয়ার মূল উদ্দেশ্য একটাই, হোলির দিনে একটু বেসামাল হয়ে যাওয়া। আসলে এটি খেলেই লোপ পায় আপনার মস্তিষ্কের সাধারণ কর্মক্ষমতা। ঠান্ডাইকে কেউ কেউ বলেন সিদ্ধি। হোলি, মহাশিবরাত্রি থেকে দূর্গা পুজোর দশমীর দিন এই জিনিসের নেশা করা চল বহু বছরের।
আয়ুর্বেদ মতে, এই বস্তুটি যেমন কড়া নেশার কারণ তেমনই শরীরের নানা উপকার করে। বিশেষ করে ক্লান্তি কাটাতে বেশ কাজে লাগে। জ্বর, আমাশা, সানস্ট্রোকে কার্যকর এই নেশাবস্তু। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে তাই ঠান্ডাই। হোলির মূল আকর্ষণ এই ভাঙের পেটেন্ট কিন্তু রয়েছে মহাদেবের কাছে।
কথিত, একবার শিব তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া করার পরে মাঠে ছুটে গিয়েছিলেন। ক্লান্ত এবং হতাশ হয়ে, তিনি একটি গাছের নীচে ঘুমিয়ে পড়েন। জেগে উঠে, কৌতুহল বশত গাছের পাতা খেয়ে দেখেন। সেই খেয়েই যে অনুভূতি তাঁর হয়েছিল তারপরেই শিব সেই গাছটিকে তাঁর প্রিয় খাবারে পরিণত করেন। এভাবেই ভাঙের সঙ্গে চিরতরে জুড়ে যায় স্বয়ং দেবাদেবীদের নাম। সেই থেকেই ভাঙ মহাদেবের প্রিয় বলে পরিচিত। যেহেতু দোল পূর্ণিমায় বিশেষ ভাবে পূজিত হন মহাদেবও তাই সেই থেকেই নাকি ভাং খাওয়ার চল।





