Bird Flu Outbreak: ফের ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু, মানুষের মধ্যেও কি সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে? যা কিছু জানবেন…
মূলত সংক্রমিত পাখি বা মৃত পাখির মল, কাঁচা মাংস, পালক বা মুরগির মাংস থেকে বানানো কোনও খাবার থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। যদি মাংস ঠিক মতো রান্না না হয় তাহলে সেখান থেকেও হতে পারে বার্ড ফ্লু এর সংক্রমণ

একে কোভিডের গেরোতে হাবুডুবু খাচ্ছে বিশ্ব, তার মধ্যে নতুন করে উপস্থিত হয়েছে বার্ড ফ্লু। এর আগেও আমাদের দেশে হয়েছে এই বার্ড ফ্লু এর সংক্রমণ। সম্প্রতি নতুন করে মহারাষ্ট্রের শাহপুরে একটি পোল্ট্রি ফার্মে মৃত্যু হয়েছে ১০০ টি মুরগির। সংক্রমণ ছড়িয়েছে থানেতেও। ওই পোল্ট্রি ফার্মে যে সব মুরগির মৃত্যু হয়েছে তাদের প্রত্যেকের রক্তপরীক্ষায় বার্ড ফ্লু এর জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। পুনের একটি পরীক্ষাগারে এই পরীক্ষা করা হয়। সেখানেই রিপোর্টে বলা হয়েছে এই প্রতিটি পাখির রক্তেই H5N1- এর ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। আর এই ভাইরাসের সংক্রমণেই সব কয়েকটি মুরগির মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকায় পরপর বেশ কয়েকটি মুরগির খামারে দেখা গিয়েছে এই সংক্রমণ। ফলে প্রায় ২৫ হাজার মুরগি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মধ্যে নিধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা।
বার্ড ফ্লু মূলত পাখিদের ইনফ্লুয়েঞ্জা। পাখিদের মধ্যেই তা অনেক বেশি সংক্রমিত হয়। তবে বার্ড ফ্লু কিন্তু মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদেরও সংক্রমিত করতে পারে। বছরে মূলত এই চারটি স্ট্রেনই দেখা যায়। আর এই H5N1, H7N9, H5N6 এবং H5N8- মূলত উদ্বেগের কারণ।
মূলত সংক্রমিত পাখি বা মৃত পাখির মল, কাঁচা মাংস, পালক বা মুরগির মাংস থেকে বানানো কোনও খাবার থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। যদি মাংস ঠিক মতো রান্না না হয় তাহলে সেখান থেকেও হতে পারে বার্ড ফ্লু এর সংক্রমণ। অনেকের ধারণা, ডিম থেকেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। কিন্তু ডিম যদি ঠিকমতো সিদ্ধ করা হয় এবং মাংস যদি সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করা হয় তাহলে কিন্তু সেখান থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে না। কাজেই হাফ সিদ্ধ ডিম, পোচ বা ভাল করে রান্না করা মাংস ছাড়া অন্য কোনও কিছু না খাওয়াই কিন্তু ভাল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ১৯৯৭ সালে বার্ড ফ্লু এর ভাইরাস প্রথম ধরা পড়ে। H5N1- ভাইরাসটির প্রথম হদিশ কিন্তু মেলে মানব দেহেই। প্রায় ৬০ শতাংশের মত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন এই ভাইরাসে। যদিও পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে, মানুষের থেকে সহজেই অন্যান্য প্রাণী ও পাখির দেহে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। পরবর্তীতে দেখা যায় এটি মানুষের থেকেও মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে সহজেই।
বার্ড ফ্লু এর লক্ষণ ও উপসর্গ
বার্ড ফ্লুর এর উপসর্গ আর সাধারণ ফ্লু এর মধ্যে কিন্তু তেমন কোনও ফারাক নেই।
কাশি শ্বাসকষ্ট শ্বাসকষ্ট জ্বর (100.4°F বা 38°C এর বেশি) মাথাব্যথা পেশীর ব্যথা সর্দি গলা ব্যথা নাক ও মাড়ি থেকে রক্তপাত
আর তাই যা যা করবেন-
হাত ধোয়া, বিশেষত বাথরুমে যাওয়ার আগে এবং খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নেবেন। হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখবেন। সর্দির জন্য আলাদা টিস্যু ব্যবহার করুন। যে কোনও ভিড় এড়িয়ে চলুন। গরম জল দিয়ে হাত ধুতে পারলে ভাল। সরাসরি হাঁস-মুরগির সংস্পর্শে আসবেন না। এছাড়াও কাঁচা ডিম বা কাঁচা মাংস একেবারেই খাবেন না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।





