বেশি ফ্যাট খেলেই দ্রুত ওজন ঝরাতে পারবেন, বিশ্বাস হচ্ছে না? চেষ্টা করে দেখুন
Weight Loss: স্বাস্থ্যের জন্য স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট ক্ষতিকারক। স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট যত বেশি গ্রহণ করবেন, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে। পাশাপাশি ওজনও বাড়তে থাকবে। তার সঙ্গে শারীরিক প্রদাহ বাড়তে থাকে। ওজন কমাতে গেলে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে ডায়েটরি ফ্যাট দরকার।

খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, শারীরিক ভাবে সক্রিয় না থাকলে, মানসিক চাপ বাড়লে ওজনও বাড়তে থাকে। ওজন কমানোর কথা ভাবলেই সবার আগে জিমে ভর্তি হয়ে যান অধিকাংশ মানুষ। তার জন্য শুরু করে ডায়েট। ওজন কমানোর জন্য শরীরচর্চা ও ডায়েট সমপরিমাণ জরুরি। কিন্তু এই ডায়েট করতে গিয়ে ফ্যাটকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দিয়ে দেওয়ার ভুল করলেই বিপদ। বরং, মেদ ঝরাতে গেলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট জরুরি। ফ্যাট দেহে শক্তিতে রূপান্তর হয়। তবেই, আপনি কাজ করার এনার্জি পান। অর্থাৎ, ফ্যাট খেলে আপনি জিমে গিয়ে কসরত করার এনার্জি পাবেন।
স্বাস্থ্যের জন্য স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট ক্ষতিকারক। স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট যত বেশি গ্রহণ করবেন, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে। পাশাপাশি ওজনও বাড়তে থাকবে। তার সঙ্গে শারীরিক প্রদাহ বাড়তে থাকে। এমনকি ইনসুলিনের কার্যকারিতা ব্যাহত হয় এবং মেটাবলিক ডিসঅর্ডার দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় এই ধরনের ক্ষতিকারক ফ্যাট গ্রহণের কারণে। স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট পাওয়া যায় প্রক্রিয়াজাত খাবারে। তাই ওজন কমাতে গেলে পিৎজা, বার্গার, সসেজ বা মাটনের তৈরি খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
ওজন কমানোর জন্য ফ্যাট জরুরি। ফ্যাট কার্বস ও প্রোটিন হজমে সাহায্য করে। সীমিত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খেলে এটি খিদেকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং আপনাকে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকেও বিরত রাখে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর ফ্যাট মেটাবলিজমের জন্য অপরিহার্য। অর্থাৎ, ফ্যাট খেলে দেহে জমে থাকা মেদ গলবে। স্বাস্থ্যকর খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ারও কোনও ভয় নেই।
ওজন কমাতে গেলে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে ডায়েটরি ফ্যাট দরকার। স্বাস্থ্যের জন্য ডায়েটরি ফ্যাট অপরিহার্য। এটি ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে-এর মতো পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে, মস্তিষ্ক ও টিস্যুকে রক্ষা করে এবং শারীরিক প্রদাহ কমায়। কিন্তু এই ডায়েটরি ফ্যাট হিসেবে কী-কী খাবেন, রইল টিপস।
পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট- পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ওজন বৃদ্ধি করে না। এই ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ জরুরি। সামুদ্রিক মাছ, বাদাম ও বীজের মধ্যে আপনি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট পেয়ে যাবেন।
মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট- সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়ানের মতে, মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণের জন্য আপনি অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং বীজ খেতে পারেন।
