
পুজোয় পেটপুজো হোক জমজমাট, পেটের সমস্যা নয়!Image Credit source: Getty Images
দুর্গাপুজো মানেই খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেল হপিং আর বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডা। তবে এইসময় অজান্তেই মাঝে মাঝে এমন খাবার খাওয়া হয়ে যায় যা পেটের সমস্যা ডেকে আনে। যেমন – অ্যাসিডিটি, গ্যাস, বদহজম বা ডায়রিয়া। তাই উৎসবের মজা নষ্ট না করতে চাই সচেতন খাওয়া-দাওয়া। সঙ্গে কিছু সহজ নিয়ম। যা মেনে চললে পুজো হবে জমজমাট, পেটও থাকবে বিন্দাস!
পেট খারাপ এড়াতে পুজোয় কী খাবেন না বা এড়িয়ে চলবেন, তা নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল—
- রাস্তার ভাজাভুজি কম খাবেন – অতিরিক্ত তেল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো যে কোনও খাবার খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।
- রাস্তার পাশের কাটা ফল বা স্যালাড খাবেন না – এগুলোতে জীবাণুর ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই এগুলো খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- অতিরিক্ত মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন – পুজোর মাজে একটু টক-ঝাল-মিষ্টি না হলে চলে না। কিন্তু বেশি ঝাল-মশলাদার খাবার অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে।
- ঠান্ডা জল বা ঠান্ডা পানীয় সাবধানে খান – একটার পর একটা প্যান্ডেলে ঘুরতে ঘুরতে কমবেশি সকলেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। সেই সময় তেষ্টায় গলা ভেজাতে কেউ ঠান্ডা জল তো কেউ ঠান্ডা পানীয়র খোঁজ শুরু করেন। তবে এগুলো একটু সাবধানে খেতে হবে। না হলে অনেক সময় এগুলো পেটে সমস্যা তৈরি করে।
- অতিরিক্ত মিষ্টি খাবেন না – মিষ্টি যতই পছন্দের হোক না কেন, সুস্থ থাকতে ধীরে ধীরে এতে রাশ টানতে হবে। কারণ বেশি মিষ্টি খেলে হজমে চাপ হয় ও গ্যাসের সমস্যা বাড়ে।
- অতিরিক্ত স্ট্রিট ফুড একসঙ্গে খাবেন না – পুজো মানেই সিংহভাগ জায়গা দখল করে থাকে ফাস্ট ফুট, স্ট্রিট ফুড। নানা ধরনের ফাস্ট ফুড বা স্ট্রিট ফুড একসঙ্গে না খাওয়া ভাল। এগুলো একসঙ্গে খেলে বদহজম হতে পারে।
- বাসি খাবার খাবেন না – পুজোতে সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করা যায় না। তাই এ সময় বাসি খাবার খাওয়া চলবে না। এতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।
- খালি পেটে ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন – পুজোতে চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে একটা সময় খিদে পেয়ে যায়। সেই সময় রাস্তার পাশ থেকে কিছু ভাজাভুজি কিনে খেতে শুরু করোন অনেকে। এতে অ্যাসিডিটি ও অস্বস্তি বাড়ে।
- অতিরিক্ত কফি বা চা খাবেন না – শুধু পুজো বলে নয়, কোনও সময়ই অতিরিক্ত কফি বা চা খাবেন না। তা হলে পেটে অম্লতা বাড়ে।
পুজোর চারটে দিন জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া অবশ্যই হবে, তবে সুস্থ থেকে দুর্গাপুজোর সময়টা কাটাতে চাইলে সামান্য সচেতন হতে হবে। তা হলেই আনন্দে ভরপুর দিনগুলো কাটবে একেবারে নিশ্চিন্তে।