Surrogacy: সারোগেসির মাধ্যমে বাবা-মা হয়েছেন নিক-প্রিয়াঙ্কা! কিন্তু ‘সারোগেসি’ বিষয়টি কী জানা আছে?

বলিউডে নতুন বাবা-মা হলেন নিক-প্রিয়াঙ্কা। সারোগেসির মাধ্যমে ১২ সপ্তাহ আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে তাঁদের কন্যা সন্তান। কিন্তু কী এই সারোগেসি?

Surrogacy: সারোগেসির মাধ্যমে বাবা-মা হয়েছেন নিক-প্রিয়াঙ্কা! কিন্তু 'সারোগেসি' বিষয়টি কী জানা আছে?
সারোগেসি প্রক্রিয়াটি কী, জানুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2022 | 4:32 PM

বলিউডে নতুন বাবা-মা (Parents) হলেন নিক-প্রিয়াঙ্কা। সারোগেসির (Surrogacy) মাধ্যমে ১২ সপ্তাহ আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে তাঁদের কন্যা সন্তান (Baby)। এর আগে শাহরুখ খান-গৌরি খান, আমির খান-কিরণ রাও, সিঙ্গেল অভিভাবক হিসাবে করণ জোহার, তুষার কাপুর, একতা কাপুরও সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন সারোগেসির মাধ্যমে। গত বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয় অর্জন করেছিল কৃতি শ্যানন অভিনীত ‘মিমি’। ‘মিমি’ ছবিতেও সারোগেসিকেই করা হয়েছিল মূল উপজীব্য। কিন্তু কী এই সারোগেসি?

সারোগেসি কী?

সারোগেসি একটি সহায়ক প্রজনন-ভিত্তিক পদ্ধতি যেখানে অভিপ্রেত পিতামাতা সারোগেট মা নামে অন্য মহিলার গর্ভাবস্থা এবং জন্ম বরাদ্দ করে। সারোগেসির অর্থ হল অন্যের সন্তানকে নিজের গর্ভে ধারণা। ওই দম্পতি সারোগেট মায়ের গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যের সম্পূর্ণ যত্ন নেওয়া এবং সমস্ত খরচের দায়িত্ব নেয়।

যে সব দম্পতি সহজে গর্ভধারণ করতে পারেন না কিংবা কেউ যদি একক পিতা কিংবা মাতা হতে চান, তাঁরা এই সারোগেসির সাহায্য নিয়ে থাকেন। ইনফার্টি‌লি, স্বাস্থ্য জনিত সমস্যা, সমলিঙ্গের অভিভাবক এবং অন্যান্য সমস্যা থাকলে অনেকেই এই সারোগেসির সাহায্যে নিজের সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করেন।

সারোগেসির মাধ্যমে কীভাবে ভ্রূণকে স্থাপন করা হয়?

সন্তান ধারণের জন্য নারী ও পুরুষের মধ্যে যৌনসম্পর্ক থাকা প্রয়োজন। কিন্তু যাঁরা একক পিতা কিংবা মাতা হতে চান, কিংবা যাঁরা সমলিঙ্গ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ, তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় সন্তানের জন্ম দেওয়া। এই সারোগেসি তাঁদের সাহায্য করে মা-বাবা হতে। সারোগেসির জন্য সারোগেট মাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুত করার পর, চিকিৎসকরা পুরুষের শুক্রাণু নিয়ে আইভিএফ কৌশলের মাধ্যমে মহিলার গর্ভে প্রতিস্থাপন করেন।

সারোগেসিতে আইভিএফ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। আইভিএফ অর্থাৎ ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন। ডয়চে ভেলের একটি স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে, ইশা ভাটিয়া সানন ব্যাখ্যা করেছেন যে নিষিক্তকরণের অর্থ হল পুরুষের শুক্রাণু এবং মহিলাদের ডিম্বাণুর মিলন, যেখান থেকে ভ্রূণ তৈরি হয়৷ ইন ভিট্রো মানে গ্লাসের ভিতরে। এখানে এর অর্থ হবে- টেস্টটিউবের ভিতরে। তাই এই কৌশলটি টেস্টটিউব বেবি নামেও পরিচিত।

সাধারণত, মহিলার শরীরের ভিতরে যে প্রক্রিয়াটি ঘটে, তা এই কৌশলের বাইরে অর্থাৎ ল্যাবে করা হয়। মহিলার শরীর থেকে ডিম্বাণু বের করে একটি সুচের মাধ্যমে শুক্রাণু প্রবেশ করানো হয়। ভ্রূণ প্রস্তুত হলে, এটি একটি মেডিকেল টিউবের মাধ্যমে মহিলার জরায়ুতে প্রবেশ করানো হয়।

সারোগেসিতে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি-

সারোগেসি খুব একটা সহজ পদ্ধতি নয়। এতে একাধিক জটিলতা ও ঝুঁকি থাকে। প্রথমত, ভ্রূণের জীবনের প্রিইমপ্ল্যান্টেশন, প্রসবপূর্ব এবং নবজাতক সময়কালে ব্যর্থতার ঝুঁকি রয়েছে। ডিম্বাশয় উদ্দীপনা, পরবর্তী আইভিএফ চক্র, এবং আইভিএফ ও জেনেটিক ল্যাবরেটরির মধ্যে ভ্রূণ, পেরিনেটাল এবং নবজাতক সময়ের মধ্যে নিযুক্ত কৌশলগুলির মতো একাধিক জটিল চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু এরপরও যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তা হল মানসিক প্রস্তুতি। এই সময় চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে একজন মহিলা যখন ‘মা’ হয়ে ওঠে, তখন শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দম্পতি বা ওই ব্যক্তিকে দিয়ে দিতে হয় যাঁর সঙ্গে তাঁর যুক্তি সাক্ষর হয়েছে।

আরও পড়ুন: একমাত্র সচেতনতাই পারবে এই মারণ রোগের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করতে