Junk Food: ফাস্ট ফুড খেলে কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে? কী পরিমাণ খাওয়া উচিত?
Junk Food: দিল্লির বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. অজয় কুমার জানান, ফাস্টফুডে অনেক ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। যা শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব কমায়, অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের কাজকেও প্রভাবিত করে। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে, তখন শরীরে অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

বর্তমান জীবনযাত্রার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত হয়ে গিয়েছে ফাস্টফুড। শিশু হোক বা বড়, সকলের এটা খুব পছন্দের। কিন্তু, ফাস্টফুড স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। উদ্বেগের বিষয় হল এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও ভীষণভাবে প্রভাবিত করে। যার ফলে ডায়াবেটিস, ওবেসিটি এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়ে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ফাস্টফুডে সোডিয়াম ও চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক খাবারের চেয়ে বেশি এবং খনিজ, প্রোটিন ও ফাইবারের মাত্রা কম। এই ধরনের খাবার ক্রমাগত খাওয়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। ফাস্ট ফুডে সোডিয়াম থাকে এবং চিনির মাত্রা বেশি থাকে, যা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
ফাস্ট ফুডে কেমিক্যাল আছে
দিল্লির বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. অজয় কুমার জানান, ফাস্টফুডে অনেক ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। যা শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব কমায়, অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের কাজকেও প্রভাবিত করে। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে, তখন শরীরে অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়
অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষত, অন্ত্রের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেটের ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যারা কয়েক দশক ধরে ফাস্ট ফুড খাচ্ছেন তাদের অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় বেশি। এটা উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতেও ফাস্টফুডের প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। এটি অনেক মানুষের খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
কী পরিমাণ ফাস্টফুড খেতে পারেন?
দিল্লির রাজীব গান্ধী ক্যানসার হাসপাতালের মেডিক্যাল অঙ্কোলজি বিভাগের এইচওডি ডা. বিনীত তলওয়ার জানান, ফাস্টফুড স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়, তবে আপনি যদি এটি অল্প পরিমাণে খান তবে এটি খুব বেশি ক্ষতি করবে না। মানে মাসে একবার বা দুবার খেতে পারেন। এটি ক্ষতির কারণ হবে না, তবে এর থেকে বেশি খেলে স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে।
