ভ্যাজাইনাল ইচিং ও বার্নিং থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে? রইল এই ৫ ঘরোয়া প্রতিকার

বিষয়টি জটিল না হলেও উপেক্ষা করাও যায় না। দীর্ঘদিন চিকিত্সা না করলে উপসর্গগুলি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, যৌন সঙ্গমের কারণে এমনটা হয়ে থাকে।

ভ্যাজাইনাল ইচিং ও বার্নিং থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে? রইল এই ৫ ঘরোয়া প্রতিকার
ভ্যাজাইনাল ইচিং ও বার্নিং থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2021 | 3:54 PM

বিশেষ করে মহিলাদের যৌনাঙ্গে ভ্যাজাইনাল ইস্ট সংক্রমণ খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। ভ্যাজাইনাল সংক্রমণের জেরে যৌনাঙ্গে ও যোনিদ্বারে জ্বালা ধরা, অস্বস্তি হওয়া ঘন সাদাস্রাব নিঃসরণ হয়। গোপনাঙ্গে ইস্ট সংক্রমণ হল একধরনের ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া। একে ডাক্তারি পরিভাষায় ভ্যাজাইনাল ক্যান্ডিডায়সিস বলা হয়।

বিষয়টি জটিল না হলেও উপেক্ষা করাও যায় না। দীর্ঘদিন চিকিত্সা না করলে উপসর্গগুলি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, যৌন সঙ্গমের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। ভ্যাজাইনাল চুলকানি ও শুষ্কতায় ভ্যাজাইনার চারিপাশে লাল ভাব দেখা যায়। জ্বালাভাব দেখা যায়। নিয়মিত সঠিক পরিচর্চা না করার কারণে এই সমস্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় । তবে এই অস্বস্তিকর সমস্যার প্রতিকারের চেষ্টা না করলে পরবর্তীকালে যন্ত্রণাদায়ক উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। সেগুলি একবার দেখে নেওয়া যাক…

টক দই ও মধু- প্রোবায়োটিক হিসেবে দই ভ্যাজাইনাল ইচিং ও বার্নিং রোধ করতে দারুণ কার্যকরী।দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে একটি প্যাক ইস্ট সংক্রমণ ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের প্রবণতা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। কারণ মধু ও টকদইেয়র মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমাটরির সম্পদ। দিনে একবার ব্যবহার করলে চুলকানি থেকে মুক্তি মিলবে দ্রুত। যদি দিনে দুবার ব্যবহার করতে পারেন, তার ফল পাবেন দ্রুত।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার-  অ্যাপেল সিডার ভিনিগার যে কোনও সমস্যাকে ম্যাজিকের মত দূর করার ক্ষমতা রাখে। এতে রয়েছে উচ্চমানের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল সম্পত্তি, যা ভ্যাজাইনালের চুলকানি. জ্বালাভাব দূর করতে সাহায্য করে। গোপানাঙ্গের ত্বকে পিএইচ ব্যালান্স নিয়ন্ত্রণের জন্যও এই ভিনিগার খুব উপকারী। প্রতিদিন এক চা চামচ করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার একগ্লাস জলে গুলে খেলে বা হাফ কাপ স্নানের জলে ফেলে স্নান করলে উপকার মেলে।

টি ট্রি অয়েল- অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল সমৃদ্ধ টি ট্রি অয়েলের সাহায্য ভ্যাজাইনাল ইচিং ও বার্নিংয়ের সমস্যা উধাও হয় তাড়াতাড়ি। হাতের আঙুলে ২-৩ ড্রপ টি ট্রি অয়েল নিয়ে ভ্যাজাইনার চারিপাশের ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভ্যাজাইনাল ইস্ট সংক্রমণ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

বেসিল পাতা- বেসিল হল একধরণের উপকারী হার্বস। যাতে অ্যান্টিইনফ্লেমাটরি, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গালের উপাদান ভরপুর রয়েছে। ভ্যাজাইনাল চুলকানি ও জ্বালাভাব দূর করতে কিছু বেসিল পাতা জলের মধ্যে ফুটিয়ে নিন। এরপর ওই জল ঠান্ডা করে ভ্যাজাইনা পরিস্কার করতে পারেন। দিনে ২-৩বার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে দ্রুত আরাম ও মুক্তি পেতে পারেন।

ঠান্ডা জলের ভাব- চুলকানি থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে ইনস্ট্যান্ট রিলিফার হিসেবে ঠান্ডা জল ব্য়বহার সর্বজনবিদিত। জ্বালাভাব, লাল র্যাসেস, চুলকানির প্রবণতা কমাতে কিছু আইস কিউব ভর্তি আইসব্যাগ বা পরিস্কার সুতির কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। দিনে ৩-৪ বার এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলে উপকার পাবেন।

আরও পড়ুন: Stiff Neck: একটানা কাজ করার পর হঠাৎ ঘাড় শক্ত হলে কী কী করবেন?