AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cold & Cough: পারদের ওঠানামায় জ্বর-সর্দি লেগে রয়েছে ঘরে-ঘরে, প্রতিরোধের উপায় কী?

Health Tips: কখনও ঠান্ডা, কখনও গরম পরিস্থিতির সঙ্গে শরীর চটজলদি মানিয়ে নিতে পারে না। এতেই বেড়ে চলেছে জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্তের সংখ্যা।

Cold & Cough: পারদের ওঠানামায় জ্বর-সর্দি লেগে রয়েছে ঘরে-ঘরে, প্রতিরোধের উপায় কী?
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2023 | 8:25 AM
Share

বছরের শুরুতে পারদ বেশ কম ছিল। মকর সংক্রান্তির পর থেকে একটু একটু করে বাড়তে শুরু করেছিল তাপমাত্রা। তারপরই আবার এক ধাক্কায় কিছুটা কমে গিয়েছে শহরের তাপমাত্রা। সকালের দিকে ঘন কুয়াশা, ঠান্ডা হাওয়া কাঁপ ধরিয়ে দিচ্ছে শরীরে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদ উঠছে। আবহাওয়া মনোরম বলে মনে হলেও একটু সুখকর হচ্ছে না শরীরের জন্য। পারদের ওঠানামা জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যাকে আরও ডেকে আনছে। হঠাৎ করে পারদ নামায় জ্বরে পরছেন বেশিরভাগ বঙ্গবাসী। তার সঙ্গে দেখা দিচ্ছে সর্দি ও কাশির উপসর্গ। আর যেহেতু দূষণের মাত্রাও বেশি, সুতরাং হাঁপানির ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে।

চিকিৎসকদের মতে, এই পারদের ওঠানামা জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায়। তাছাড়া শীতে ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ বেশি করে মাথাচাড়া দেয়। অন্যদিকে, শীতে মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাছাড়া কখনও ঠান্ডা, কখনও গরম পরিস্থিতির সঙ্গে শরীর চটজলদি মানিয়ে নিতে পারে না। এতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশিরভাগ মানুষ। তাই এখন ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দিতে ভুগছেন বেশিরভাগ মানুষ। সারতে সময় নিচ্ছেও এক সপ্তাহের বেশি। জ্বর, সর্দি কমলেও সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে শুকনো কাশি। কাশির সমস্যা সহজে পিছু ছাড়ছে না।

তাপমাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে গেলে গলায় থাকা ভাইরাসগুলো অতিসক্রিয় হয়ে যায়। প্রথম থেকে সতর্ক না থাকলে এখান থেকে টনলিসে সংক্রমণ, শ্বাসনালির উপরিভাগে সংক্রমণ ইত্যাদি ঘটে। তাছাড়া এই শীতের দূষণও তো রয়েছেই। যাঁদের দূষণে অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও কষ্টকর হয়ে ওঠে। তবে, বুকে সর্দি বসে গেলে কিন্তু এখান থেকে নিউমোনিয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। এই অবস্থায় রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানোই একমাত্র উপায়।

শীতবস্ত্র অবশ্যই পরবেন, পাশাপাশি আরও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন, সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। নিয়মিত গরম জলে স্নান করুন এবং হাতে ধুয়ে খাবার খান। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে রোগের ঝুঁকি কমে যায়। খাওয়া-দাওয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। শীতের মরশুমি ফল এবং সবজি কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। মানসিক চাপ কমাতে পারলে খুবই ভাল।

প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের পরও যদি জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভোগেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করুন। এখন খুসখুসে কাশির সমস্যা বেশ ভোগাচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনি আদা দিয়ে চা পান করতে পারেন। এতে ভাল উপকার পাওয়া যায়।