AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Blood poisoning food: এই ৫ সাদা খাবারেই বাড়ে সেপসিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা…

Septicemia: রক্তে বিষক্রিয়া হলে তার দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। ঠান্ডা লাগলে, জ্বর থাকলে, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন বাড়লে ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া এসব হল সেপসিসের লক্ষণ

Blood poisoning food: এই ৫ সাদা খাবারেই বাড়ে সেপসিসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা...
যে কারণে রক্তে বিষক্রিয়া হয়
| Edited By: | Updated on: Jun 04, 2022 | 7:03 PM
Share

রক্তে বিষক্রিয়া বা সেপসিস হল মারাত্মক সংক্রমণ। রক্তে ব্যাকটেরিয়া থাকলে এই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়। অনেক সময় খাবারে সংক্রমণের কারণেও রক্তে বিষক্রিয়া হতে পারে। সেপ্টিসেমিয়ার কারণে মৃত্যুর ঘটনাও কিন্তু নতুন নয়। বছরে ৫ জনের মধ্যে প্রতি ১ জনের মৃত্যু হয় এই সেপ্টিসেমিয়ায়। ল্যাটিন ভাষায় ‘এমিয়া’ কথাটির অর্থ রক্ত। ফুসফুস, কিডনি, খাদ্যনালি বা অন্য যে কোনও অঙ্গের সংক্রমণ যখন রক্তে প্রবেশ করে, তখন তাকে বলা হয় সেপ্টিসেমিয়া। ধরা যাক, কোনও ব্যক্তির ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে। সাধারণত ফুসফুসের সংক্রমণ বলতে নিউমোনিয়া বোঝানো হয়।

এ বার ফুসফুসের সংক্রমণ যদি রক্তে প্রবেশ করে, তখন সেটি সেপ্টিসেমিয়া। এর কারণে দেহে যে ক্রিয়া-বিক্রিয়া শুরু হয়, তার ফলে অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি এর জেরে একাধিক অঙ্গ অকেজো হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। এই অবস্থাকে বলা হয় সেপসিস। রক্তে বিষক্রিয়া হলে তার দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। ঠান্ডা লাগলে, জ্বর থাকলে, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদস্পন্দন বাড়লে ত্বক হলুদ হয়ে গেলে সেখান থেকে সেপসিস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই লক্ষণ গুলি দেখলেই সতর্ক হতে হবে।

পেটে সংক্রমণ হলে, পোকামাকড় কামড়ালে, কোনও ক্ষত থাকলে, কিডনির সংক্রমণ হলে, ইউটিআই, নিউমোনিয়া কিংবা ত্বকের সংক্রমণ থেকেও হতে পারে সেপ্টিসেমিয়া। একই সঙ্গে খারাপ খাদ্যাভ্যাসও কিন্তু এই সেপ্টিসেমিয়ার কারণ। রোজ আমরা এমন কিছু খাবার খাই যা আমাদের রক্তকে বিষাক্ত করে। বাড়তে পারে রক্তচাপও। বেড়ে যায় একাধিক সমস্যাও। তাই যে সব খাবার এড়িয়ে চলবেন-

মাখন- মাখনের মধ্যে চর্বি আর সোডিয়াম বেশি থাকে। যা রক্তে জমা হয় এবং সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। বাড়তে পারে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণও।

দুধ- দুধ আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। দুধের মধ্যে ফ্যাট বেশি থাকে। যা বাড়ায় হৃদরোগের ঝুঁকি। দুধের মধ্যে থাকে অতিরিক্ত সোডিয়াম। অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্তে নানা ঝুঁকি বাড়ায়। শরীরে নুনের পরিমাণ বেড়ে গেলে চাপ পড়ে রক্তনালীতে।

চিনি- চিনি যে শরীরের জন্য বিষ একথা সব সময় বলেন বিশেষজ্ঞরা। চিনির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ শর্করা। একইসঙ্গে চিনির মধ্যে থাকে কার্বোহাইড্রেট যা কিডনি, চোখের সমস্যা, স্নায়ুর সমস্যা, হৃদরোগ, স্ট্রোকের জন্য দায়ী।

ময়দা- ময়দা থেকে একাধিক খাবার তৈরি হয়। তবে ময়দাও আমাদের শরীরের জন্য একরকম বিষ। ময়দা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে ডায়াবেটিসের রোগীদের ময়দা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। রক্তকে বিষাক্ত করতেও ভূমিকা রয়েছে ময়দার।

নুন- অতিরিক্ত নুনও শরীরের জন্য ভাল নয়। নুনের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম। যা শরীরের জন্য ভাল নয়। বাড়িয়ে দেয় রক্তচাপ। আর তাই রোজকার খাবার থেকে নুন একেবারেই বাদ রাখুন। কাঁচা নুন খাবেন না।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।